গাজীপুর আদালতে বোমা হামলায় ছয় জেএমবির ফাঁসি বহাল

প্রকাশিত: ৩:৩৩ অপরাহ্ণ, জুলাই ২৮, ২০১৬

গাজীপুরে আইনজীবী সমিতি ভবনে ১১ বছর আগে আত্মঘাতী বোমা হামলা চালিয়ে আটজনকে হত্যার ঘটনায় ছয় জেএমবি সদস্যের মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখেছে হাইকোর্ট।

অপর চার জনের মধ্যে দুই জনের সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও দুজনকে খালাস দিয়েছে আদালত। এ মামলায় ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল ২০১৩ সালে ওই দশ আসামির সবাইকে মৃত্যুদণ্ড মৃত্যুদণ্ড প্রদান করেছিলো।

বৃহস্পতিবার বেলা ১১.৪৫ মিনিটে বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি জে বি এম হাসানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- এনায়তুল্লাহ ওরফে ওয়ালিদ, আরিফুর রহমান, সাইদুর রহমান মুনসি, আবদুল্লাহ আল হোসাইন, নিজামুদ্দিন রেজা ও তৈয়বুর রহমান।

যাবজ্জীবন প্রাপ্ত দুইজন হলেন- মসিদুল ইসলাম মাসুদ ওরফে ভুট্টো ও আদনান সামী ওরফে আম্মার ওরফে জাহাঙ্গীর। খালাশ পেয়েছেন- আশরাফুল ইসলাম ও শফিউল্লাহ।

রায় ঘোষণার পর রাষ্ট্রপক্ষ জানিয়েছে খালাশ এবং সাজা কমানোর বিপক্ষে তারা আপিল করবে।

এর আগে, গত ২০ জুলাই মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ১০ জেএমবি সদস্যর ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের শুনানি শেষে রায়ের জন্য এ দিন ধার্য করেন আদালত।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ এ কে এম মনিরুজ্জামান ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল শহিদুল ইসলাম খান শুনানি করেন। আসামিদের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আফজাল এইচ খান ও হেলাল উদ্দিন মোল্লা।

গত ১৩ জুলাই হাইকোর্টে আপিল শুনানি শুরু হয়। চলতি বছর ৫ মে এই মামলার ডেথ রেফারেন্স শুনানির জন্য হাইকোর্টে আসে।

এই মামলায় ২০১৩ সালের ২০ জুন ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৪ এর বিচারক মো. মোতাহার হোসেন রায়ে নিষিদ্ধ জামাআতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশের (জেএমবি) ১০ জঙ্গিকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন।

মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়া ১০ জঙ্গি হলেন- এনায়তুল্লাহ ওরফে ওয়ালিদ, আরিফুর রহমান, মসিদুল ইসলাম, সাইদুর রহমান মুনসি, আবদুল্লাহ আল হোসাইন, নিজামুদ্দিন রেজা, তৈয়বুর রহমান, আশরাফুল ইসলাম, শফিউল্লাহ ও আদনান সামি।

এর মধ্যে চারজন জেএমবি সদস্য আপিল ও ১০ জন জেএমবি সদস্যর সবাই হাইকোর্টে জেল আপিল করেন।

মামলার বিবরণী থেকে জানা যায়, ২০০৫ সালের ২৯ নভেম্বর গাজীপুর আইনজীবী সমিতির কার্যালয়ে বোমা হামলার ঘটনা ঘটে।

এতে চার আইনজীবী আমজাদ হোসেন, গোলাম ফারুক, নুরুল হুদা ও আনোয়ারুল আজিম, চার বিচারপ্রার্থীসহ মোট আটজন নিহত হন। আত্মঘাতী হামলাকারী আসাদ ওরফে জিয়াও নিহত হন।

এ ঘটনায় ওই দিনই পুলিশ বাদী হয়ে গাজীপুরের জয়দেবপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।