তুরস্কে অভ্যুত্থান চেষ্টায় বিশ্বনেতাদের প্রতিক্রিয়া

প্রকাশিত: ১১:৫৭ অপরাহ্ণ, জুলাই ১৬, ২০১৬

ইস্তাম্বুল : তুরস্কে ডানপন্থি সরকারকে হটাতে সেনাবাহিনীর অভ্যুত্থান কার্যত ব্যর্থ হয়েছে। সরকারের পক্ষে রাজপথে অবস্থান নিয়েছে জনতা, পুলিশ আটক করছে বিদ্রোহী সেনা সদস্যদের।

রাজপথে অভ্যুত্থানকারীদের কর্তৃত্ব হারানোর প্রকাশ ঘটলেও তাদের পক্ষ থেকে এক ই-মেইল বার্তায় বলা হয়েছে, লড়াই চালিয়ে যাবেন তারা।

এই পরিস্থিতিতে বিবিসি অবলম্বনে বিশ্বের বিভিন্ন নেতার প্রতিক্রিয়া এই প্রতিবেদনে তুলে ধরা হল।

হোয়াইট হাউজ থেকে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরির সঙ্গে কথা বলেছেন। তারা দুজনেই একমত হয়েছেন, তুরস্কের সবপক্ষকেই ‘গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত’র প্রতি সমর্থন জানানো উচিৎ।

তুরস্কে সব পক্ষকে সংযত হয়ে যেকোনো ধরনের সহিংসতা ও রক্তপাত এড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন তারা।

রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সার্গেই ল্যাভরভ যেকোনো ধরনের ‘রক্তপাত’ এড়ানোর বিষয়ে গুরুত্ব দিয়েছেন। তিনি বলেন, তুরস্কের এই সমস্যা সংবিধানের আলোকে সমাধান হওয়া প্রয়োজন।

জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন এই পরিস্থিতিতে তুরস্কে সবাইকে শান্ত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। জাতিসংঘের একজন মুখপাত্র এই তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘তুরস্কের পরিস্থিতি গভীরভাবে অনুসরণ করছেন মহাসচিব। দেশটিতে সেনা অভ্যুত্থানের খবর সম্পর্কে তিনি সজাগ রয়েছেন।’

ফারহান হক আরো বলেন, ‘জাতিসংঘ এই পরিস্থিতির বিষয়ে স্পষ্ট ধারণা পাওয়ার চেষ্টা করছে এবং সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান জানাচ্ছে’।

নেটোর মহাসচিব জেনস স্টোলটেনবার্গ বলেন, তুরস্ক নেটোর গুরুত্বপূর্ণ মিত্র। তিনি সবাইকে শান্ত ও সংযত থাকার এবং তুরস্কে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি সম্মান প্রদর্শন করার আহ্বান জানিয়েছেন।

ইরান জানিয়েছে, তারা পরিস্থিতি নিয়ে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।

দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মাদ জাভেদ জারিফ নিজের ট্যুইটার পৃষ্ঠায় লিখেছেন, ‘স্থিতিশীলতা, গণতন্ত্র এবং তুর্কি জনগণের নিরাপত্তাই প্রধান। ঐক্য ও বিচক্ষণতা প্রয়োজন’।

তুরস্কের মিত্র উপসাগরীয় রাষ্ট্র কাতার সেনা অভ্যুত্থানের এই বিষয়টির সমালোচনা করে এর নিন্দা জানিয়েছে।

জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মের্কেলের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, তুরস্কের ‘গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থাকে অবশ্যই সম্মান জানাতে হবে।’

যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসন জানিয়েছেন, বিষয়টি নিয়ে তিনি গভীর উদ্বিগ্ন। তুরস্কে যুক্তরাজ্যের নাগরিকদের সব ধরনের গণজমায়েতস্থল এড়িয়ে যাওয়ার এবং সতর্ক থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।