শীতলক্ষ্যায় লঞ্চডুবি : ৩০ মরদেহ উদ্ধারের পর অভিযান সমাপ্ত ঘোষণা

প্রকাশিত: ১২:১৫ পূর্বাহ্ণ, এপ্রিল ৬, ২০২১

শীতলক্ষ্যায় লঞ্চডুবি : ৩০ মরদেহ উদ্ধারের পর অভিযান সমাপ্ত ঘোষণা

নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যায় মালবাহী কার্গোর ধাক্কায় ডুবে যাওয়া এমভি সাবিত আল হাসান লঞ্চটি ১৯ ঘণ্টা পর উদ্ধার করা হয়েছে। লঞ্চ দুর্ঘটনায় এ পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ৩০ জনে।

তাৎক্ষণিকভাবে নিহত ৩০ জনের পরিচয় জানা যায়নি। নিহতদের পরিচয় শনাক্ত করছে ফায়ার সার্ভিস এবং মরদেহগুলো পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হচ্ছে।

সোমবার (৫ এপ্রিল) দুপুর সোয়া ১২টার দিকে ডুবে যাওয়া লঞ্চ উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার করা হচ্ছে ডুবে যাওয়া লঞ্চ।এরপরই লঞ্চটির ভেতর থেকে মরদেহ বের করতে শুরু করেন উদ্ধারকারীরা।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) চেয়ারম্যান কমোডর গোলাম সাদেক জানান, উদ্ধার অভিযান সমাপ্ত করে মরদেহগুলো ফায়ার সার্ভিসকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। তারা শনাক্ত শেষে পরিবারের সদস্যদের কাছে মরদেহ বুঝিয়ে দেবে।

ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের ঢাকার সহকারী পরিচালক সালেহ উদ্দিন জানান, জেলা প্রশাসন সমাপ্ত ঘোষণা করলেও আমাদের কার্যক্রম বিকেল পর্যন্ত চলবে। ইতোমধ্যে আমরা ৩০টি মরদেহ উদ্ধার করেছি।

এর আগে, ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের নারায়ণগঞ্জের উপ-সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল আরেফীন জানান, প্রচণ্ড বাতাস ও বৃষ্টির কারণে আমাদের উদ্ধার কাজ ব্যাহত হচ্ছে। আমাদের কার্যক্রম চলছে। সন্ধ্যা ৬টার পর লঞ্চটি নারায়ণগঞ্জ থেকে মুন্সিগঞ্জের দিকে রওয়ানা দেয়। একটি কার্গোর সঙ্গে ধাক্কা লেগে এটি ডুবে যায় বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। আমাদের উদ্ধারকারীরাই ৫ জন নারীর মরদেহ উদ্ধার করেছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রবিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় দিকে শীতলক্ষ্যা নদীর কয়লাঘাট এলাকায় এসকে-৩ নামের একটি কার্গো জাহাজের ধাক্কায় লঞ্চটি ডুবে যায়। ওই দিন রাতেই উদ্ধার অভিযান শুরুর পর রাত ৩টার দিকে উদ্ধার কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়। সোমবার সকাল ৮টায় পুনরায় উদ্ধার কাজ শুরু করা হয়। ফায়ার সার্ভিস, বিআইডব্লিউটিএ, কোস্টগার্ড, নৌ-বাহিনী, নৌ-পুলিশ ও জাহাজ ‘প্রত্যয়’ উদ্ধার কাজ চালায়। সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ডুবে যাওয়া সাবিত আল হাসান লঞ্চটি টেনে তীরে তোলার পর একে একে মৃতদেহ নিয়ে আসেন ফায়ার সার্ভিস, কোস্টগার্ড, নৌবাহিনীর ডুবুরিরা। এ সময় মৃতদের স্বজনদের আহাজারিতে নদীর দুই তীরের বাতাস ভারি হয়ে উঠে।

দুপুর দেড়টার দিকে উদ্ধার করা লাশগুলো ট্রলার ও স্পিডবোটে করে শীতলক্ষ্যার পশ্চিম তীর কয়লাঘাট এলাকায় নিয়ে আসা হয়। সেখানে সারিবদ্ধভাবে রাখা হয় লাশগুলো। এ সময় স্বজনরা লাশ শনাক্তে হুমড়ি খেয়ে পড়েন। স্বজনদের পাশাপাশি উৎসুক জনতাও ভিড় জমান লাশগুলো একনজর দেখতে।


 

সর্বমোট পাঠক


বাংলাভাষায় পুর্নাঙ্গ ভ্রমণের ওয়েবসাইট