২৮শে মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৪ই চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১০:৪৫ পূর্বাহ্ণ, এপ্রিল ৫, ২০২১
নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীতে যাত্রীবাহী লঞ্চডুবির ঘটনায় পাঁচ নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
রবিবার (৪ এপ্রিল) মধ্যরাত পর্যন্ত ঘটনাস্থল ও আশপাশে উদ্ধার অভিযান চালিয়ে লাশগুলো উদ্ধার করা হয়। লঞ্চডুবির ঘটনায় এখনও ১৫ জন নিখোঁজ বলে জানা গেছে।
জানা গেছে, দুর্ঘটনার পর সাঁতরে তীরে উঠেছেন ২৬ জন যাত্রী। ঘটনাস্থলে নিখোঁজ যাত্রীদের উদ্ধারে কাজ করছে বিআইডব্লিউটিএ, কোস্টগার্ড, দমকল বাহিনী, নৌ ও থানা পুলিশের উদ্ধারকর্মীরা। লঞ্চটিতে মোট ৪৬ জন যাত্রী ছিল। এ ঘটনায় নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসন ও বিআইডব্লিউটিএ দুটি পৃথক তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।
রবিবার মধ্যরাতে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ উদ্ধারকাজের সর্বশেষ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি জানান, ডুবে যাওয়া লঞ্চটি উদ্ধার হওয়ার আগ পর্যন্ত উদ্ধার অভিযান চলবে। শীতলক্ষ্যা নদীর পূর্ব পাশের বন্দর উপজেলার মদনগঞ্জ ঘাট দিয়ে ১০ জন ও পশ্চিম পাশের ঘাট দিয়ে আরও ১৬ জন জীবিত অবস্থায় তীরে উঠেছেন বলে আমরা জানতে পেরেছি।
জেলা প্রশাসক জানান, লঞ্চডুবির ঘটনায় পাঁচ নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে প্রত্যেক নিহত পরিবারের জন্য ২৫ হাজার টাকা দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি আহতদের প্রশাসনের পক্ষ থেকে চিকিৎসার ভার নেওয়া হয়েছে।
মোস্তাইন বিল্লাহ আরও জানান, এই ঘটনায় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট তাহেরা খানম ববিকে প্রধান করে সাত সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে কমিটিকে রিপোর্ট পেশ করতে বলা হয়েছে।
এদিকে নৌ মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম খান জানিয়েছেন, দুর্ঘটনার কারণ জানতে বিআইডব্লিউটিএর পরিচালক নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক মো. রফিকুল ইসলামকে প্রধান করে চার সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের নারায়ণগঞ্জের উপ-সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল আরেফীন জানান, প্রচণ্ড বাতাস ও বৃষ্টির কারণে আমাদের উদ্ধার কাজ কিছুটা ব্যাহত হচ্ছে। আমরা ইতোমধ্যেই ডুবে যাওয়া লঞ্চটি শনাক্ত করেছি। আমাদের কার্যক্রম চলছে।
এদিকে ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী শীতলক্ষ্যা নদীর উপর নির্মাণাধীন তৃতীয় শীতলক্ষ্যা সেতুর ১৬ নম্বর পিলারের নিরাপত্তকর্মী মোহাম্মদ হালিম জানিয়েছেন, এসকেএল-৩ (এম : ০১২৬৪৩) নামের একটি কোস্টার জাহাজ যাত্রীবাহী লঞ্চটিকে পেছন থেকে ধাক্কা দিয়ে অন্তত ২০০ মিটার টেনে নিয়ে যায়। এরপর লঞ্চটি যাত্রীসহ ডুবে যায়।
ডুবে যাওয়া লঞ্চটির মালিকের নাম আলাল হোসেন। তিনি মুন্সিগঞ্জের বাসিন্দা বলে জানান লঞ্চ মালিক সমিতির সহসভাপতি মনিরুজ্জামান।
তিনি বলেন, এই রুটে ২৫টি যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচল করে। আমাদের যাত্রীবাহী লঞ্চগুলোর আয়তন ছোট। কোস্টার জাহাজগুলো এই রুটে বেপরোয়াভাবে চলাচল করে। বারবার বলার পরও তারা কোনো সমঝোতা করে চলাচল করে না। কোস্টার জাহাজগুলোকে নিয়ম মেনে চলাচল করার দাবি জানান তিনি।
EDITOR & PUBLISHER :
DR. ARIF AHMED MOMTAZ RIFA
MOBILE : 01715110022
PHONE : 0821 716229
OFFICE : SHUVECHCHA-191
MIAH FAZIL CHIST R/A
AMBAKHANA WEST
SYLHET-3100
(Beside Miah Fazil Chist Jame Masjid & opposite to Rainbow Guest House).
E-mail : sylhetsangbad24@gmail.com
Hello : 01710-809595
Design and developed by M-W-D