১৫ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৩০শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১২:২১ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২২, ২০১৬
চট্টগ্রাম : সফরকারী ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম টেস্টের তৃতীয় দিন ব্যাট করতে নেমে ২৪৮ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। ইংলিশদের থেকে ৪৫ রান পিছিয়ে থেকে শেষ হয় স্বাগতিকদের ইনিংস।
প্রথম ইনিংসে ইংলিশদের থেকে ৭২ রান দূরে থেকে তৃতীয় দিন ব্যাটিং শুরু করে টাইগাররা। প্রথম ইনিংসে ইংল্যান্ডের করা ২৯৩ রানের জবাবে দ্বিতীয় দিন শেষে টাইগারদের দলীয় সংগ্রহ দাঁড়ায় ৭৪ ওভারে পাঁচ উইকেটে ২২১ রান। দ্বিতীয় দিন শেষে সাকিব আল হাসান ৩১ রানে অপরাজিত ছিলেন। অপর প্রান্তে ছিলেন শফিউল ইসলাম। শেষদিকের ‘ছন্দপতন’ আর বিপর্যয় এড়াতেই ‘নাইট ওয়াচম্যান’ হিসেবে শফিউলকে ব্যাটিংয়ে নামিয়ে দেয় টিম ম্যানেজমেন্ট।
উইকেটে স্পিন বেশ কার্যকর হওয়ায় ইংলিশ দলপতি অ্যালিস্টার কুক চার স্পিনারকে দিয়ে বোলিং করান। এর আগে সবশেষ ১৯৮২ সালে কানপুরে ভারতের বিপক্ষে ইংল্যান্ড টেস্টের এক ইনিংসে চারজন স্পিনার ব্যবহার করেছিল।
তৃতীয় দিন শেষের দিকে ব্যাটিংয়ের অপেক্ষায় থাকা টেস্টে ‘অনভিজ্ঞ’ সাব্বির আর মিরাজকে নিয়ে বড় লিডের জন্য সাকিবের দিকে তাকিয়ে ছিল স্বাগতিকরা। অথচ দিনের শুরুতে প্রথম ওভারেই বিদায় নেন সাকিব। ‘বিদায় নেন’ লেখার থেকে উইকেট বিলিয়ে দিয়ে আসেন লেখাটাই স্বাভাবিক। মঈন আলীর করা ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই উইকেট থেকে বেরিয়ে এসে বড় শট খেলতে চেয়েছিলেন সাকিব।
বলের লাইন মিস করে আর নিজের নির্বুদ্ধিতার পরিচয় দিয়ে স্কোরবোর্ডে কোনো রান যোগ না হতেই ফেরেন তিনি। বেয়ারস্টোর কাছে স্টাম্পিংয়ের ফাঁদে পড়ে বিদায়ের আগে তার নামের পাশে যোগ হয় ৬২ বলে তিনটি চারে ৩১ রান।
সাকিবের বিদায়ের পর সাজঘরে ফেরেন শফিউল। আদিল রশিদের বলে বিগ শট নিতে গিয়ে স্টুয়ার্ট ব্রডের হাতে মিডঅনে ক্যাচ তুলে দেন ২৯ বলে ২ রান করা শফিউল। সাব্বির-মেহেদির দিকে বাংলাদেশ তাকিয়ে থাকলেও শফিউলের বিদায়ের কিছু পরেই মেহেদি স্টোকসের বলে এলবির ফাঁদে পড়ে ব্যক্তিগত ১ রান করে সাজঘরে ফেরেন। ২৩৯ রানের মাথায় স্বাগতিকদের অষ্টম উইকেটের পতন ঘটে।
এরপর সাব্বির-তাইজুল জুটি (৯ রান) গড়ার চেষ্টা করে খুব একটা সফল হননি। স্লিপে দাঁড়ানো অ্যালিস্টার কুকের দুর্দান্ত এক ক্যাচে ফিরতে হয় সাব্বিরকে। স্টোকসের বলে আউট হওয়ার আগে সাব্বির ৩২ বল মোকাবেলা করে তিনটি বাউন্ডারিতে ১৯ রান করেন। একই ওভারে বিদায় নেন শূন্য রানে বোল্ড হওয়া কামরুল ইসলাম রাব্বি। তাইজুল ৩ রানে অপরাজিত থাকেন।
ইংলিশদের হয়ে বেন স্টোকস চারটি উইকেট দখল করেন। তিনটি উইকেট পান মঈন আলী আর দুটি উইকেট নেন আদিল রশিদ। একটি উইকেট নেন গ্যারেথ ব্যাটি।
এর আগে দ্বিতীয় দিন তামিম ইকবালের (৭৮) পর অর্ধশতকের কাছাকাছি গিয়েও সাজঘরে ফেরেন অধিনায়ক মুশফিক। ৭৭ বলে ৪৮ রান করে ৭২তম ওভারে বেন স্টোকসের বলে জনি বেয়ারস্টোর গ্লাভসে ধরা পড়েন। তার আগে ইনিংসের ১৪তম ও নিজের প্রথম ওভারেই জোড়া আঘাত হানেন মঈন আলী। ইমরুল কায়েসকে (২১) ক্লিন বোল্ড করার পর মুমিনুল হককে (০) বেন স্টোকসের ক্যাচে পরিণত করেন এ ডানহাতি অফস্পিনার। দলীয় ২৯ রানেই দুই উইকেট হারায় টাইগাররা।
তৃতীয় উইকেট জুটিতে ৯০ রান তুলে প্রাথমিক ধাক্কা সামাল দেন তামিম ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ৪৪তম ওভারে ১১৯ রানের মাথায় আদিল রশিদের বলে জো রুটের হাতে ধরা পড়েন মাহমুদউল্লাহ (৩৮)। পরে মুশফিকের সঙ্গে ৪৪ রানের পার্টনারশিপ গড়েন তামিম। কিন্তু টেস্ট ক্যারিয়ারের অষ্টম সেঞ্চুরির আক্ষেপ নিয়ে মাঠ ছাড়েন দেশসেরা এ ওপেনার।
১৬৩ রানের মাথায় শতক থেকে ২২ রান দূরে থাকতে আউট হন। অফস্পিনার গ্যারেথ বেটির করা ৫৫তম ওভারের চতুর্থ বলটি তার ব্যাট ছুঁয়ে জনি বেয়ারস্টোর গ্লাভসে আটকা পড়ে।
এর আগে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্টে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামে সফরকারীরা। টেস্ট অভিষেকেই মিরাজের স্পিন ঘূর্ণিতে কোণঠাসা হয়ে পড়ে ইংলিশ ব্যাটিং লাইনআপ। প্রথমদিন শেষে ইংলিশদের সংগ্রহ দাঁড়ায় সাত উইকেটে ২৫৮। দ্বিতীয় দিন সকালে ব্যাটিংয়ে নেমে ২৯৩ রানে অলআউট হয় ইংলিশরা।
সাদা পোশাকের অভিষেকের প্রথমদিন পাঁচ উইকেটের অভিজাত ক্লাবে নাম লেখানো মিরাজ নেন ইনিংস সর্বোচ্চ ছয়টি উইকেট। সাকিব নেন দুটি উইকেট আর বাকি দুটি তুলে নেন তাইজুল ইসলাম।
EDITOR & PUBLISHER :
DR. ARIF AHMED MOMTAZ RIFA
MOBILE : 01715110022
PHONE : 0821 716229
Office : Central Market (1st floor),
Bandar Bazar (Court Point),
Sylhet – 3100, Bangladesh.
E-mail : sylhetsangbad24@gmail.com
Hello : 01710-809595
Design and developed by M-W-D