বদরুলের ঘটনা আড়াল করতেই সামনে আনা হয়েছে জঙ্গি : দুদু

প্রকাশিত: ১১:৩৯ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ৯, ২০১৬

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) ছাত্রলীগের সহসাধারণ সম্পাদক বদরুল আলমের ঘটনা আড়াল করতেই শনিবার সরকার জঙ্গিবাদের ঘটনা সামনে নিয়ে এসেছে। তিনি বলেন, জঙ্গিদের আইনের আওতায় না এনে হত্যা করা হচ্ছে। গতকাল রবিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী নাগরিক দল আয়োজিত এক প্রতিবাদ নাগরিক সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন। ‘বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি’ শীর্ষক এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। : শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ক্ষমতাসীনরা বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের বিচার করতে চাচ্ছে। তবে সরকারের কাছে আমার প্রশ্ন, সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকা ও শেয়ারবাজারের দুর্নীতির কারণে আপনারা কেন অর্থমন্ত্রীকে গ্রেফতার করছেন না। কেন তাকে আইনের আওতায় আনছেন না? বাংলাদেশ সরকার ভারতের পাশে আছেÑ প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যের সমালোচনা করে তিনি বলেন, বাংলাদেশের জনগণ কাশ্মীরের সঙ্গে আছে। কারণ আমরা সাধারণ মানুষকে হত্যা করা হোক, তা আমরা সমর্থন করি না। আর বিএনপিও এই নীতিতে বিশ্বাস করে না। বিএনপির এই নেতা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারকে সাংবিধানিক নয়, কৌশলী সরকার।  জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত নয়, গায়ের জোরে ক্ষমতায় থাকা সরকার। অথচ সংবিধানে উল্লেখ রয়েছে, প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার গঠন করতে হবে। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের নাম বাংলাদেশ থেকে মুছে ফেলা হলে গণতন্ত্রকে মুছে ফেলা হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে বিএনপির এ নেতা বলেন, আপনি নির্বাচনকে ভয় পাচ্ছেন। নির্বাচন দিয়ে নিজেদের জনপ্রিয়তা যাচাই করে দেখুন। আর অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে কিভাবে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত করা যায়, সেই বিষয়ে আলোচনা করতে বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে বসুন। শাহজাদা সৈয়দ মো. ওমর ফারুক পীর সাহেবের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর) প্রেসিডিয়াম সদস্য আহসান হাবিব লিংকন, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মোহাম্মদ রহমতউল্লাহ, খালেদা ইয়াসমিন, ছাত্রদলের দফতর সম্পাদক আব্দুস সাত্তার পাটোয়ারী, শাহবাগ থানা কৃষক দলের সভাপতি এম জাহাঙ্গীর আলম। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন  মিরপুর থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এবিএম রাজ্জাক, আয়োজক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. জাবেদ ইকবাল, সিনিয়র সহসভাপতি হাজি মো. সফিকুল ইসলাম, আলহাজ মো. ওয়াজ উদ্দিন মিয়া, সহসভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মাসুম বিলাল, অ্যাডভোকেট মনির হোসেন, মোহাম্মদ হানিফ মোল্লা, মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, মো. মোস্তফা কামাল, মো. দীন ইসলাম দিলু, মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন, মো. শাহ্জাহান কবির, মো. ইলিয়াছ পাটওয়ারী, ইঞ্জিনিয়ার মাসুম বিলাল, এমএম মশিউর রহমান, ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সামাদ, মো. নজরুল ইসলাম, মো. জসিম উদ্দিন, মো. বিল্লাল হোসেন হাওলাদার, মো. বসিউর রহমান, মো. রফিকুল ইসলাম, মো. মনির হোসেন, মো. শহিদ মোস্তফা টিটু প্রমুখ।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

সর্বমোট পাঠক


বাংলাভাষায় পুর্নাঙ্গ ভ্রমণের ওয়েবসাইট