বৃষ্টি আইনে পাকিস্তানের জয়

প্রকাশিত: ২:৩৫ পূর্বাহ্ণ, জুন ৪, ২০১৯

বৃষ্টি আইনে পাকিস্তানের জয়

আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে বুধবার জয় পেয়েছে পাকিস্তান। বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে ডাকওয়ার্থ লুইস পদ্ধতিতে তারা ১৯ রানে হারিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকাকে। এর ফলে জমে উঠেছে ‘বি’ গ্রুপের লড়াই। ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং পাকিস্তান; সবারই সংগ্রহে সমান দুই পয়েন্ট করে। এক পয়েন্ট নিয়ে তালিকার তলানীতে অবস্থান করছে শ্রীলংকা।

আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে বুধবার এজবাস্টনে প্রথমে ব্যাট করে পাকিস্তানকে ২২০ রানের লক্ষ্য দেয় দক্ষিণ আফ্রিকা। জয়ের লক্ষ্য ব্যাট করতে নেমে দলীয় ৪০ রানে প্রথম উইকেট হারায় পাকিস্তান। ২৩ বলে ছয় চারে ব্যক্তিগত ৩১ রান করে সাজঘরে ফেরেন পাকিস্তানের হয়ে প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলতে নামা ফখর জামান। ব্যক্তিগত নয় রানে আজহার আলীকেও আউট করে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ম্যাচে রাখার ইঙ্গিত দেন মরনে মরকেল।

কিন্তু বিপর্যস্ত পাকিস্তানকে টেনে তোলার দায়িত্ব নেন বাবর আজম এবং মোহাম্মদ হাফিজ। হাফিজ অবশ্য ২৬ রান করেই আউট হন। ২৭ ওভারে ৩ উইকেটে ১১৯ রান তোলে পাকিস্তান। তখন জয়ের জন্য ২৩ ওভারে তাদের প্রয়োজন ১০১ রান। কিন্তু এরপরই হানা দেয় বৃষ্টি। দীর্ঘ অপেক্ষার পরও বৃষ্টি বন্ধ না হলে ডাকওয়ার্থ লুইস পদ্ধতিতে পাকিস্তানকে ১৯ রানে জয়ী ঘোষণা করা হয়। রান তোলার গতির হিসেবে এগিয়ে থাকায় ফল পাকিস্তানের পক্ষে যায়।

এর আগে টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় দক্ষিণ আফ্রিকা। দলীয় ৪০ রানে প্রথম উইকেট হারায় ডি ভিলিয়ার্সের দল। ব্যক্তিগত ১৬ রানে ইমাদ ওয়াসিমের বলে আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান হাশিম আমলা। মোহাম্মদ হাফিজের বলে ব্যক্তিগত ৩৩ রানে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন কুইন্টন ডি ককও। এক পর্যায়ে ১১৮ রানে দলের প্রথম সারির ছয় ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে বিপর্যয়ে পড়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা।

প্রোটিয়ারা দেড়’শ রানের কোটা ছাড়াতে পারবে কি না তা নিয়েই সংশয় দেখা দেয়। কিন্তু ডেভিড মিলারের অপরাজিত ৭৫, ক্রিস মরিসের ২৮ এবং কাগিসো রাবাদার ২৬ রানের ওপর ভর করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে ২১৯ রান সংগ্রহ করে দক্ষিণ আফ্রিকা।

পাকিস্তানের হাসান আলী তিনটি, জুনায়েদ খান ও ইমাদ ওয়াসিম দুটি করে এবং মোহাম্মদ হাফিজ একটি উইকেট লাভ করেন। দুর্দান্ত বোলিং তোপে দক্ষিণ আফ্রিকাকে অল্প রানে আটকাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখায় ম্যাচ সেরার পুরস্কার জেতেন হাসান আলী।

সর্বমোট পাঠক


বাংলাভাষায় পুর্নাঙ্গ ভ্রমণের ওয়েবসাইট