পরিবর্তনের অভূতপূর্ব সাড়া, ‘ভোট বিপ্লব’ করার জন্য দেশবাসী প্রস্তুত : ড. কামাল

প্রকাশিত: ৬:২৫ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ২৭, ২০১৮

পরিবর্তনের অভূতপূর্ব সাড়া, ‘ভোট বিপ্লব’ করার জন্য দেশবাসী প্রস্তুত : ড. কামাল

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন বলেছেন, সারা দেশে পরিবর্তনের জন্য অভূতপূর্ব সাড়া পড়েছে। কিন্তু এখনো সবখানে নেতাকর্মীদের আটকের ঘটনা নিন্দাজনক।

তিনি আগামী ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ‘ভোট বিপ্লব’ করার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান।

বৃহস্পতিবার (২৭ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর বিজয় নগরে ঐক্যফ্রন্টের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে ড. কামাল এ আহ্বান জানান। এর আগে জরুরি বৈঠক করে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের স্টিয়ারিং কমিটি।

ড. কামাল বলেন, সরকার ও নির্বাচন কমিশনের যেকোনো গণবিরোধী নীলনকশা রুখে দেবে জনগণ। জনগণ ঐক্যবদ্ধ থাকলে দেশে কার্যকর গণতন্ত্র ও আইনের শাসন নিশ্চিত হবে।

তিনি বলেন, আগামী ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আপনারা সাহস করে নেমে পড়ুন, ভোটের বিপ্লব করুন। ১৬ ডিসেম্বর যে বিজয় হয়েছিল, ৩০ ডিসেম্বর তেমনই বিজয় হবে।

রাষ্ট্রের মালিক জনগণ উল্লেখ করে ড. কামাল হোসেন বলেন, নির্বাচনই জনগণের মালিকানা নিশ্চিত করবে। ধানের শীষে ভোট দিলে রাষ্ট্রের মালিকানা জনগণের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হবে।

গণফোরাম সভাপতি বলেন, অনেকে ভয় পান, আমরা ভয় পেলে দেশ স্বাধীন করতে পারতাম না। ১৯৯০ সালে দেশ স্বৈরাচারমুক্ত করতে পারতাম না। অতএব, ভোট গণনা না করা পর্যন্ত পাহারা দিন। ১৬ কোটি মানুষ, কতজনকে গ্রেফতার করবে তারা?

উন্নয়নের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে ক্ষমতাসীনদের প্রচারণায় তাগিদ দেওয়ার দিকে ইঙ্গিত করে ড. কামাল বলেন, উন্নয়ন উন্নয়ন, এটা আইয়ুব খানের প্রত্যাখ্যাত বক্তব্য। ১৯৭১ সালে এটা প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে।

কামাল দাবি করে বলেন, মাঠপর্যায় থেকে তিনি নিয়মিত অসংখ্য ফোনকল রিসিভ করছেন এবং জনগণের বিপুল সাড়া পাচ্ছেন ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীরা।

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, সরকারের নৈতিক পরাজয় হয়েছে। নির্বাচনে রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করছে তারা। দেশের মানুষ পরিবর্তন চায়। ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে জনগণ ঐক্যবদ্ধ। গণতন্ত্রের মুক্তি, রাষ্ট্রের মালিকানা ফিরে পেতে ধানের শীষে ভোট দিন।

এ সময় বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেন, যারা ৬৯ দেখেছেন, ৭১ দেখেছেন, তারা ২০১৮ সালের ঐক্য দেখে বিস্মিত হবেন। আচরণের কারণে বর্তমান সরকার নিজেই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ইসি যে ভূমিকা পালন করছে, মীরজাফরদের মতো নিন্দিতের তালিকায় নাম লেখাচ্ছে।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, গণফোরামের কার্যকরী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান প্রমুখ।