আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে রায়ের দিন ধার্য করা ন্যায়বিচারের পরিপন্থী : ফখরুল

প্রকাশিত: ৮:২৮ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১৬, ২০১৮

আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে রায়ের দিন ধার্য করা ন্যায়বিচারের পরিপন্থী : ফখরুল

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায় ঘোষণার যে দিন নির্ধারণ করা হয়েছে তাকে ‘বেআইনি’ বলেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি আরো বলেন, যুক্তিতর্ক এবং আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায়ের দিন ধার্য করা ন্যায়বিচারের পরিপন্থী। বিনা বিচারে সাজা দেওয়ার উদ্দেশ্যে সরকারের নির্দেশে রায়ের দিন ধার্য করা হয়েছে।

মঙ্গলবার জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি ও সাবেক মন্ত্রী আ স ম আবদুর রবের উত্তরার বাসায় জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।

এর আগে সকালে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় আগামী ২৯ অক্টোবর রায় ঘোষণার দিন ধার্য করা হয়। ওই মামলার অন্যতম আসামি কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বর্তমানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

পুরান ঢাকার পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারের ভেতরে স্থাপিত ঢাকার বিশেষ জজ আদালত ৫-এর বিচারক ড. মো. আখতারুজ্জামান রায়ের জন্য এ দিন ঠিক করেন। আদালতে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে মোশাররফ হোসেন কাজল এবং খালেদা জিয়ার পক্ষে মাসুদ আহমেদ তালুকদার ও সানাউল্লাহ মিয়া উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা বলেন, হাইকোর্ট খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতে মামলার কার্যক্রম চালাতে পারবে বলে যে আদেশ বহাল রেখেছেন আমরা তার বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে যাব। খালেদা জিয়া চিকিৎসার জন্য হাসাপাতালে আছেন। তাই আদালতে আসতে পারছেন না। তাই মামলার কার্যক্রম মুলতবি রাখার আবেদন করছি।

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া বলেন, ‘আবারও বলছি, আমরা ন্যায়বিচার পাইনি। হাইকোর্ট বিভাগ থেকে আমরা আপিল বিভাগে যাব। এখন উচ্চ আদালতে যাওয়ার জন্য আজকের একটি অর্ডার এবং আগের একটি অর্ডার নিতে হবে যে আমাদের কোনো সুযোগই দেওয়া হচ্ছে না। আর্গুমেন্ট এবং যুক্তিতর্ক করার কোনো সুযোগ না দেওয়ার কারণে আমরা আজকের আদেশের বিরুদ্ধে আদালতে যাব।’

অপরদিকে দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল বলেন, মামলার কার্যক্রম চালাতে কোনো বাধা নেই। উনারা যেহেতু বক্তব্য দিবেন না তাই বলা যায় তাদের কোনো বক্তব্য নেই। তাই আদালত রায়ের দিন ধার্য করুক। উভয়পক্ষের আবেদনের শুনানি শেষে আদালত রায়ের জন্য আগামী ২৯ অক্টোবর দিন ধার্য করেন।

সর্বমোট পাঠক


বাংলাভাষায় পুর্নাঙ্গ ভ্রমণের ওয়েবসাইট