তারেকের মৃত্যুদণ্ড হওয়া উচিত ছিল : আইনমন্ত্রী

প্রকাশিত: ৩:১৬ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১০, ২০১৮

তারেকের মৃত্যুদণ্ড হওয়া উচিত ছিল : আইনমন্ত্রী

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার রায়ে সন্তুষ্ট আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তবে তারা আশা করেছিলেন, এ ঘটনার মূল নায়ক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমানেরও মৃত্যুদণ্ড হওয়া উচিত ছিল।

তিনি বলেন, রায় পাওয়ার পর সেটি পর্যালোচনা করে তারেক রহমান, কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদ ও হারিছ চৌধুরীর সাজা ফাঁসিতে বর্ধিত করা যায় কি না, সে জন্য উচ্চ আদালতে আপিল করবেন তারা।

বুধবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের কাছে এ রায়ের প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে আইনমন্ত্রী এ কথা বলেন।

আইনমন্ত্রী বলেন, তারা যতটুকু জেনেছেন, এ ঘটনায় ৫২ জন আসামির মধ্যে ৪৯ জনের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা হয়েছে। এর মধ্যে ১৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড ও ১৯ জনকে যাবজ্জীবন দেওয়া হয়েছে। অন্যদের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়েছে।

আইনমন্ত্রী বলেছেন, তারা মনে করেন, এ ঘটনার মূল নায়ক তারেক রহমান। তাই রায়ে তারেকের মৃত্যুদণ্ড হওয়া উচিত ছিল।

২০০৪ সালের ২১ অগাস্ট বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসবিরোধী শোভাযাত্রায় গ্রেনেড হামলায় আইভি রহমানসহ ২৪ জন নিহত হন; আহত হন কয়েকশ নেতাকর্মী।

সেদিন অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান আজকের প্রধানমন্ত্রী আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা। কিন্তু গ্রেনেডের প্রচণ্ড শব্দে তার শ্রবণশক্তি নষ্ট হয়।

শেখ হাসিনাকে হত্যা করে দলকে নেতৃত্বশূন্য করতেই এই হামলা হয়েছিল এবং তাতে তৎকালীন ক্ষমতাসীন বিএনপি-জামায়াত জোটের শীর্ষ নেতাদের প্রত্যক্ষ মদদ ছিল বলে এ মামলার রায়ে উঠে আসে।

ঢাকার এক নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক শাহেদ নূর উদ্দিন এই মামলার রায়ে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, সাবেক উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুসহ ১৯ জনের মৃত্যুদণ্ডের রায় দিয়েছেন।

খালেদা জিয়ার বড় ছেলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরীসহ ১৯ জনকে দেওয়া হয়েছে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড।

এছাড়া এ মামলার আসামি ১১ পুলিশ ও সেনা কর্মকর্তাকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

সর্বমোট পাঠক


বাংলাভাষায় পুর্নাঙ্গ ভ্রমণের ওয়েবসাইট