গ্রেনেড হামলা মামলার রায়ে আ’লীগ ন্যায় বিচার প্রত্যাশা করে’

প্রকাশিত: ১১:৪০ পূর্বাহ্ণ, অক্টোবর ৯, ২০১৮

গ্রেনেড হামলা মামলার রায়ে আ’লীগ ন্যায় বিচার প্রত্যাশা করে’

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার রায়ে আওয়ামী লীগ ন্যায় বিচার প্রত্যাশা করে। মঙ্গলবার সকালে এক অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এ কথা বলেন।

এদিকে ইতিহাসের বর্বরোচিত ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার রায় ঘোষণা করা হবে আগামীকাল বুধবার। ১৪ বছর বিচারিক কার্যক্রম শেষে গত ১৮ সেপ্টেম্বর ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল ১-এর বিচারক শাহেদ নুর উদ্দীন রায়ের দিন ধার্য করেন।

একইসঙ্গে এই মামলায় জামিনে থাকা আট আসামির জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এই আট আসামির মধ্যে সাবেক দুই আইজিপি আশরাফুল হুদা এবং শহুদুল হকও রয়েছেন।

গত ১৮ সেপ্টেম্বর আসামিপক্ষের আইনজীবী এসএম শাহজাহান যুক্তি তুলে ধরেন। এরপর সাইফুল ইসলাম ডিউকের পক্ষে যুক্তি দেন আব্দুর রেজ্জাক খান ও খন্দকার মাহবুব হোসেন। আর বেলা একটা ৫৩ মিনিটের দিকে রায়ের তারিখ জানান বিচারক।

এই মামলার ৫২ জন আসামিদের মধ্যে আছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিণ্টু, খালেদা জিয়ার ভাগ্নে ও ডিজিএফআইয়ের সাবেক কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম ডিউক।

এর আগে রবিবার এক অনুষ্ঠানে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপি ক্ষমতার পরিবর্তন চায়। কিন্তু ক্ষমতার পরিবর্তন হতে হলে নির্বাচনের কোন বিকল্প নেই। ক্ষমতার পরিবর্তন চাইলে তাদের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে হবে।’

কাদের বলেন, দেশের মানুষ বিএনপি জামায়াতের আন্দোলনের নামে সন্ত্রাস, নাশকতা ও সহিংসতাকে পছন্দ করে না। তারা নির্বাচন বানচাল ও সরকার পতনের আন্দোলনের নামে সন্ত্রাস ও নাশকতা করেছে এবং পেট্রলবোমা মেরে মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করেছে। তাই জনগণ কখনো বিএনপিকে বিশ্বাস করবে না। বিএনপি দেশের

একটি গুজব সন্ত্রাসী রাজনৈতিক দল। তারা শিক্ষার্থীদের নিরাপদ সড়কের দাবীতে আন্দোলনের সময় ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার কার্যালয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর নির্যাতন চলানো হয়েছিল বলে গুজব ছড়িয়েছিল।

কাদের বলেন, জাতিসংঘের মহাসচিব আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে আলোচনার জন্য বিএনপিকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে বলেও তারা গুজব ছড়িয়েছিল। কিন্তু বিএনপির নেতারা যখন জাতিসংঘে যান, তখন জাতিসংঘ মহাসচিব এক বিশিষ্ট ব্যক্তির অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় যোগ দিতে ঘানায় অবস্থান করছিলেন। জাতিসংঘের মহাসচিবের আমন্ত্রণপত্র নিয়ে যারা দেশের মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে তাদের কাছে দেশ, গণতন্ত্র ও আইনের শাসন কখনো নিরাপদ থাকতে পারে না।

বিএনপি নির্বাচন বানচালের নামে আবার সন্ত্রাস ও নাশকতা করতে চাইলে দলীয় নেতাকর্মীরা প্রতিহত করতে পারবেন কিনা প্রশ্ন রেখে কাদের বলেন, ‘আগামী নির্বাচনে বিএনপি জামায়াতের যে কোন ধরনের নাশকতা ও সহিংসতা জনগনকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিহত করার জন্য আপনাদের প্রস্তুত থাকতে হবে।’

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশীদের উদ্দেশ্যে কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশীদের আমলনামা রয়েছে। যারা জনগণের কাছে গ্রহনযোগ্য তারাই মনোনয়ন পাবেন। ‘তবে দলীয় মনোনীত প্রার্থীর বিরুদ্ধে যিনি বিদ্রোহ করবেন তাকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কখনো ক্ষমা করবেন না। দলে আর কখনো তার জায়গা হবে না।’

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

সর্বমোট পাঠক


বাংলাভাষায় পুর্নাঙ্গ ভ্রমণের ওয়েবসাইট