৪ঠা জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২০শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৪:৩৭ অপরাহ্ণ, মার্চ ৩১, ২০১৮
পূর্ব জেরুজালেম : গাজা সীমান্তে ফিলিস্তিনিদের বিক্ষোভ মোকাবেলায় ইসরাইল শুক্রবার নতুন প্রযুক্তির ব্যবহার করেছে। বিক্ষোভকারীদের ওপর কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপের জন্য ইহুদিবাদী দেশটি ছোট ছোট ড্রোন ব্যবহার করে।
এএফপি’র একজন সংবাদদাতার বরাত দিয়ে ‘টাইমস অব ইসরাইল’ জানায়, ওই সংবাদদাতা ইসরাইলি ছোট ছোট ড্রোন থেকে সীমান্তে বিক্ষোভকারীদের ওপর অন্তত ১০টি গ্যাস কনটেইনার নিক্ষেপ করতে দেখেছেন।
এএফপি’র প্রতিনিধি জানান, ১০ থেকে ২০ মিটার (৩০-৩০ ফুট) উচ্চতা থেকে নিক্ষেপ করা এই গ্যাস কন্টেইনারে বেশ কয়েকজন লোক আহত হন।
ইসরাইলি পুলিশের একজন মুখপাত্র নতুন এই প্রযুক্তি ব্যবহারের বিষয়টি স্বীকার করেছেন।
পুলিশের মুখপাত্র মিকি রোসেনফেল্ড জানান, টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপের জন্য অজ্ঞাত বায়ুবীয় যানের ব্যবহার সাম্প্রতিক উদ্ভাবন।
তিনি বলেন, ‘কয়েক সপ্তাহ আগে গাজা স্ট্রিপ এলাকায় এটি ব্যবহার করা হয়েছে এবং গাজার সীমান্তে বিক্ষোভকারীদের প্রতিরোধ করতে আজও (শুক্রবার) এটি ব্যবহার করা হচ্ছে।’
ভূমি দিবস উপলক্ষে টানা ছয়দিনের বিক্ষোভের প্রথমদিনে শুক্রবার ইসরাইলি দখলদার বাহিনীর গুলিতে ১৭ ফিলিস্তিনি নিহত হন।
এদিন গাজার ইসরাইল সীমান্তের ছয়টি স্থানে এই বিক্ষোভ হয়। ‘গ্রেট মার্চ অব রিটার্ন’ নামের এই বিক্ষোভ চলাকালে ইসরাইলি বাহিনীর হামলায় আরো কমপক্ষে ১৪০০ মানুষ আহত হয়েছেন। আর নিহতদের স্মরণে শনিবার একদিনের শোক ঘোষণা করেছে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ।
এদিকে, জাতিসংঘ মহাসচিব এই সহিংসতার একটি স্বতন্ত্র ও স্বচ্ছ তদন্ত চেয়েছেন।
অন্যদিকে, নিরাপত্তা পরিষদ কোনো সমঝোতায় আসতে না পারায় নিজের হতাশা ব্যক্ত করে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূত রিয়াদ মনসুর বলেছেন, শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীদের ওপর ইসরাইলি গণহত্যার ঘটনায় নিন্দা জানাতে নিরাপত্তা পরিষদের একমত না হওয়াটা দুঃখজনক।
তিনি বলেন, ‘ফিলিস্তিনিদের প্রত্যাশা নিরাপত্তা পরিষদ যথাযথভাবে তার দায়িত্ব পালন করুক এবং এই অস্থিতিশীল পরিস্থিতিকে প্রশমিত করতে প্রদক্ষেপ নিক। ইসরাইলের এই কর্মকাণ্ড পরিষ্কারভাবে আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য হুমকি সৃষ্টি করছে।’
ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলছেন, ইসরাইলি সেনাদের হাতে নিহতদের মধ্যে অল্প বয়সী ফিলিস্তিনি শিশু ও কিশোরও রয়েছে।
ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী হামাস এই সহিংসতার জন্য ইসরাইলকে দায়ী করেছে। হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়েহ বলেছেন, তারা এক ইঞ্চি ফিলিস্তিনি জমিও ইসরাইলের কাছে ছাড়বেন না।
তিনি বলেন, ‘ফিলিস্তিনের কোনো বিকল্প নেই এবং আমাদের ফিরে যাওয়ার অধিকার ছাড়া এই সংকটের কোনো সমাধান নেই।’
গাজা-ইসরাইল সীমান্তে সব সময় ইসরাইলের কড়া সামরিক পাহারা থাকে। সেখানে ইসরাইল তাদের সামরিক উপস্থিতি আরও বাড়িয়েছে।
ফিলিস্তিনিরা প্রতি বছরের ৩০ মার্চকে ‘ভূমি দিবস’ হিসেবে পালন করে। ১৯৭৬ সালের এই দিনে ফিলিস্তিনিরা যখন তাদের জমি দখলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাচ্ছিল, তখন ইসরাইলি সৈন্যদের গুলিতে ছ’জন নিহত হয়।
ছ’সপ্তাহ ব্যাপী এই বিক্ষোভ শেষ হবে আগামী ১৫ মে, যেদিনটিকে ফিলিস্তিনিরা ‘নাকবা’ কিংবা বিপর্যয় দিবস হিসেবে পালন করে। ১৯৪৮ সালের ঐ দিনে লাখ লাখ ফিলিস্তিনি তাদের বাড়িঘর ফেলে চলে আসতে বাধ্য হয়েছিল ইসরাইল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পর।
ফিলিস্তিনিরা বহু দশক ধরে ইসরাইলে তাদের ফেলে আসা বসত বাড়িতে ফিরে যাওয়ার অধিকার দাবি করছে। কিন্তু ইসরাইল এই অধিকারের স্বীকৃতি দেয়নি।
সূত্র : টাইমস অব ইসরাইল, দ্যা গার্ডিয়ান
EDITOR & PUBLISHER :
DR. ARIF AHMED MOMTAZ RIFA
MOBILE : 01715110022
PHONE : 0821 716229
OFFICE : SHUVECHCHA-191
MIAH FAZIL CHIST R/A
AMBAKHANA WEST
SYLHET-3100
(Beside Miah Fazil Chist Jame Masjid & opposite to Rainbow Guest House).
E-mail : sylhetsangbad24@gmail.com
Hello : 01710-809595
Design and developed by M-W-D