রমজানে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রন করুন : ন্যাপ

প্রকাশিত: ১২:১৬ পূর্বাহ্ণ, মে ২৭, ২০১৭

রমজানে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রন করুন : ন্যাপ

রোজাদারদের প্রতি শ্রদ্ধা দেখিয়ে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য জনগণের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রাখতে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সরকার এবং অধিক মুনাফা লাভের মানসিকতা পরিহার করার জন্য ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ।

শুক্রবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃততে এ আহ্বান জানানো হয়।

দলের চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়ার যৌথ বিবৃততে বলা হয়, পৃথিবীর অন্যসব দেশে মাহে রমজান এলে প্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্য মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখার প্রতিযোগিতা চলে। কিভাবে রোজাদারদের সেবা করা যায়, সাহারি ও ইফতারকে আরো বর্ণিল করা যায়- এসব কথা মাথায় রেখে ব্যবসায়ীরা নিত্যপণ্যের ওপর বিশেষ ছাড় দিয়ে থাকেন।

মধ্য ও নিন্ম আয়ের মানুষ রমজান এলে একটু সস্তিতে নিঃশ্বাস ফেলে। এই মাসে সুন্দরভাবে চলার পরও কিছু সঞ্চয় করা যাবে, কিছু দান কর যাবে- এই ভেবে তাদের প্রশান্তি আরো বেড়ে যায়।

এর ঠিক উল্টো চিত্র দেখা যায় বাংলাদেশে। এখানে রমজান যেন এক বিভিষীকার নাম। দেশের নিন্ম-মধ্য আয় ও উচ্চ-মধ্য আয়ের মানুষের জন্য মাহে রমজান এক বড় আতংক। রমজান মনেই অতিরিক্ত খরচ। অন্য মাসে কোনোরকম চললেও রমজানে এসে হোঁচট খেতে হয় মাসের শুরুতেই। দেড়/দুই মাস আগে থেকেই বাড়তে থাকে নিত্যপণ্যের দাম। রমজান যত কাছে আসে বাজারের আগুন তত ছড়িয়ে পড়ে মানুষের ঘরে ঘরে। কত মানুষ যে গোপনে চোখের অশ্রু ফেলে খোদার কাছে প্রার্থনা করেন- ‘হে আল্লাহ! এবারের রমজানটা স্ত্রী-সন্তান নিয়ে কোনোরকম পার করার ব্যবস্থা করে দাও। এই অল্প টাকায় তুমি অনেক বরকত দিয়ে দাও। হে আল্লাহ!…

মাহে রমযানের পবিত্রতা রক্ষা এবং তাক্বওয়া ভিত্তিক চরিত্র গঠনের মাধ্যমে আত্মগঠনে প্রচেষ্টা চালানোর আহ্বান জানিয়ে বিবৃততে বলা হয়, রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের সওগাত নিয়ে মাহে রমযান আবার সমাগত। পবিত্র এ রমযান মাস কুরআন নাজিলের মাস। পবিত্র কুরআন মানবতার মুক্তির সনদ। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, এ মাসের প্রথম অংশ রহমতের, মধ্যবর্তী অংশ মাগফিরাতের ও শেষ অংশ নাজাতের। এ মাসের শেষ ১০ দিনের মধ্যে রয়েছে একটি বরকতময় রাত, যা হাজার মাসের চেয়েও উত্তম। এ মাসে একটি ফরজ কাজ আঞ্জাম দিলে অন্য মাসের ৭০টি ফরজ কাজের সমান সওয়াব পাওয়া যায়। আর ১টি নফল কাজের আঞ্জাম দিলে ফরজ কাজের সমপরিমাণ সওয়াব পাওয়া যায়। এ মাস সবর ও পরস্পরের প্রতি সহানুভূতিশীলতার মাস।

বিবৃততে আরো বলা হয়, যেভাবে জিনিসপত্রের দাম বেড়ে চলছে, যদি এতে লাগাম না দেয়া যায় তবে সাধারণ মানুষের সুন্দর রমজান যাপন ও স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যহৃত হবে। তাই সরকার ও আইনশৃংখলা বাহিনীর কাছে অনুরোধ, দয়া করে বাজার তদারকির বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হোক। ব্যবসায়ীদের বলছি, আপনারাও অতি মুনাফার লোভ থেকে বেরিয়ে এসে সাধারণ মানুষের কথা ভাবুন। নিত্যপণ্য সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রাখুন।

যৌথ বিবৃতিতে রমজান মাসটি পূর্ণ মর্যাদাসহকারে পরিপূর্ণ আন্তরিকতা, নিষ্ঠা ও তাক্বওয়ার সাথে পালন করার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান ও দেশবাসীকে মাহে রমজানের শুভেচ্ছা জানানো হয়।

সর্বমোট পাঠক


বাংলাভাষায় পুর্নাঙ্গ ভ্রমণের ওয়েবসাইট