অলিম্পিক কমিটিতে বক্তৃতা দিলেন অধ্যাপক ইউনূস

প্রকাশিত: ১:১৩ অপরাহ্ণ, আগস্ট ৫, ২০১৬

ব্রাজিলের রিও অলিম্পিক গেমসে মশাল বহন করবেন শান্তিতে নোবেলজয়ী অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। গত মঙ্গলবার এমন তথ্যই জানানো হয় ঢাকায় ইউনূস সেন্টারের পক্ষ থেকে। পরের দিনই (বুধবার) আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির ১২৯তম সেশনে ভাষণ দেন অধ্যাপক ইউনূস।

রিও ডি জেনিরোর ওশেনিকো কনভেনশন সেন্টারে দেয়া ভাষণে অধ্যাপক ইউনূস তুলে ধরেন সামাজিক ব্যবসার সম্ভাবনা এবং পৃথিবীর বিভিন্ন সামাজিক সমস্যার সমাধানে অলিম্পিকস ও খেলাধুলার একসঙ্গে কাজ করার বিষয়টি। বিশেষ করে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক কাঠামোর বাইরে থাকা মানুষদের কীভাবে সহায়তা করা যায়, সে ব্যাপারে গুরুত্বারোপ করেন এই নোবেলজয়ী।

পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের অলিম্পিক কমিটিগুলোর দুই শতাধিক প্রেসিডেন্ট ও তাদের অতিথিরা যোগদান করেন অলিম্পিক কমিটির এই সেশনে। আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির প্রেসিডেন্ট টমাস বাখের সঞ্চালনা করেন অনুষ্ঠানটি। যুক্তরাজ্যের প্রিন্সেস অ্যান, মোনাকোর প্রিন্স অ্যালবার্ট এবং ডেনমার্কের ক্রাউন প্রিন্স লুক্সেমবার্গের গ্র্যান্ড ডিউক উপস্থিত ছিলেন এই বক্তৃতা অনুষ্ঠানে।

ওই অনুষ্ঠানে পৌঁনে এক ঘণ্টা বক্তৃতা দেন প্রফেসর ইউনূস। এরপর আয়োজন করা হয় প্রশ্নোত্তর পর্ব। কমিটির ১৫ জন সদস্য তাকে প্রশ্ন করেন। অলিম্পিক গেমসের আয়োজক হতে আগ্রহী শহরগুলোর কী কী করা উচিত, প্রতিটি শহরে অলিম্পিকের ধারাবাহিকতা কী হবে, সামাজিক ব্যবসা কীভাবে অপরাধ সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো মোকাবেলা করবে, অবসর গ্রহণকারী অলিম্পিক অ্যাথলেটরা কী করবে- এভাবে সমসাময়িক বিষয়ে উত্থাপিত প্রশ্নের জবাব দেন এই বাংলাদেশি। প্রশ্নোত্তর পর্বের জন্য ১৫ মিনিট বরাদ্দ থাকলেও তা গড়ায় প্রায় ৪০ মিনিটে।

প্রসঙ্গত, অলিম্পিকের ইতিহাসে রিও অলিম্পিকে প্রথমবারের মতো অংশ নিচ্ছেন শরণার্থী অ্যাথলেটরা। তাদের বিশেষ মর্যাদা দেয়া হয়েছে। তারা অলিম্পিক মশাল বহন করবেন। গতকাল বৃহস্পতিবার অন্যান্য সেলিব্রিটিদের সঙ্গে মশাল বহনকারী হিসেবে মশাল রিলেতে অংশ নিয়েছেন অধ্যাপক ইউনূস।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

সর্বমোট পাঠক


বাংলাভাষায় পুর্নাঙ্গ ভ্রমণের ওয়েবসাইট