রাজশাহীতে বাড়ছে এইডস রোগী, বেশির ভাগই সমকামী

প্রকাশিত: ২:৩২ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ৮, ২০২৫

রাজশাহীতে বাড়ছে এইডস রোগী, বেশির ভাগই সমকামী

Manual2 Ad Code

রাজশাহীতে চলতি বছরের ১০ মাসে নতুন ২৮ জনের শরীরে এইচআইভি ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। সম্প্রতি রাজশাহীতে সমকামী সম্পর্কের মাধ্যমে এইচআইভি সংক্রমণ বাড়ছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। একই সময়ে এইডসে আক্রান্ত একজনের মৃত্যু হয়েছে।

Manual5 Ad Code

এই অবস্থায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সচেতনতা বাড়াতে গুরুত্ব আরোপের পাশাপাশি রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ট্রিটমেন্ট সেন্টার চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

রামেকের এইচআইভি টেস্টিং অ্যান্ড কাউন্সেলিং (এইচটিসি) সেন্টার সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ থেকে চলতি বছরের অক্টোবর পর্যন্ত ১২ হাজার ৪৬৪ নমুনা পরীক্ষায় এইচআইভি পজিটিভ হয়েছে ৯৩ জন। এরমধ্যে ২৫ জন পুরুষ, ২ জন নারী ও ১ জন তৃতীয় লিঙ্গের। একই সময়ে এইচআইভিতে মারা গেছেন আটজন। আক্রান্তদের অধিকাংশের বয়স ২০ থেকে ৩৫ বছর। এখানে প্রতিদিন গড়ে ১০ থেকে ১৫ জন পরীক্ষা করাতে আসেন। যাদের পজিটিভ রিপোর্ট আসে তাদের কাউন্সেলিং করা হয়। বলা হয়, ‘এইচআইভি সম্পূর্ণ নিরাময় না হলেও নিয়ন্ত্রণ করা যায়। অর্থাৎ নিয়মিত চিকিৎসা এবং ওষুধ সেবনে আক্রান্তরা স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারেন।’

সংশ্লিষ্টরা জানান, এর আগে ২০১৯ সালে রামেক হাসপাতালে এইচআইভি পরীক্ষা শুরু হয়। প্রথম বছর ৭৭ জনের নমুনায় কারো দেহে ভাইরাস শনাক্ত হয়নি। ২০২০ সালে দুইজন পজিটিভ হন। এরপর ২০২১ সালে ৮ জন, ২০২২ সালে ৮ জন, ২০২৩ সালে ২৪ জন, ২০২৪ সালে ২৭ জন ও ২০২৫ সালের অক্টোবর পর্যন্ত ২৮ জনের শরীরে ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।

তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২০২৪ সালে আক্রান্ত ২৭ জনের ১৬ জনই সমকামীতার মাধ্যমে সংক্রমিত হয়েছেন। এরমধ্যে যৌনকর্মীর মাধ্যমে ১০ এবং রক্তের মাধ্যমে একজন সংক্রমিত হয়েছেন। চলতি বছর অক্টোবর পর্যন্ত শনাক্ত ২৮ জনের ১৭ জন সমকামী সম্পর্কের মাধ্যমে সংক্রমিত হয়েছেন। এ ছাড়া যৌনকর্মীর মাধ্যমে ১০ ও রক্তের মাধ্যমে একজন সংক্রমিত হয়েছেন।

Manual7 Ad Code

রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এএফএম শামীম আহাম্মদ বলেন, এইচআইভি রোগীদের চিকিৎসার জন্য আমরা একটি ট্রিটমেন্ট সেন্টার চালুর উদ্যোগ নিয়েছি। রুম রেনোভেশনের কাজ চলছে। শিগগিরই এটি চালু হলে এইচআইভি পজিটিভ রোগীদের চিকিৎসার জন্য আর বগুড়ায় যেতে হবে না।

Manual5 Ad Code

রাজশাহী এইচটিসি সেন্টারের ফোকাল পারসন ডা. ইবরাহীম মো. শরফ গণমাধ্যমকে বলেন, অরক্ষিত যৌন মিলন; নারী-পুরুষে অথবা পুরুষ-পুরুষে মিলন, এইচআইভি সংক্রমণের সবচেয়ে বড় মাধ্যম। এছাড়া গর্ভকালীন সময়, সন্তান জন্ম ও বুকের দুধ পানে মা থেকে শিশুর শরীরে এইচআইভি সংক্রমণ হতে পারে। সংক্রমণ প্রতিরোধে সচেতনতার কোনো বিকল্প নেই।


 

Manual1 Ad Code

সর্বমোট পাঠক


বাংলাভাষায় পুর্নাঙ্গ ভ্রমণের ওয়েবসাইট

Manual1 Ad Code
Manual3 Ad Code