৫ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২২শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৬:২৪ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ৩, ২০২৪
১৯ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছেন ১৫ বছর আগে। ঋণ গ্রহিতা সিলেট নগরের মজুমদারী এলাকার ১৩১ মজুমদার বাড়ির বাসিন্দা মকসুদ আহমদ চৌধুরী। নিজে আয়েশী জীবনযাপন করলেও ঋণের টাকা ফেরত দেননি আজো।
তাই খেলাপি ঋণ আদায়ে ব্যতিক্রমী কর্মসূচী পালন করলেন সিলেটের এক্সিম ব্যাংক জিন্দাবাজার শাখার কর্মকর্তারা। তারা ঋণ খেলাপি গ্রাহকের বাসার সামনে গিয়ে ব্যানার টানিয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন।
মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) বিকেলে নগরের মজুমদারী এলাকার ১৩১ মজুমদারী বাড়ির সামনে গিয়ে ব্যানার টানিয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন।
ব্যানারে উল্লেখ করেন, মেসার্স মকসুদ আহমদ চৌধুরী নাম দিয়ে এক্সিম ব্যাংক সিলেটের জিন্দাবাজার শাখা থেকে বিনিয়োগের নামে ২০০৯ সালে ১৯ কোটি ঋণ নেন। বিলাশী জীবনযাপনকারী মকসুদ আহমদ গত ১৬ বছরে একটি টাকাও ফেরত দেননি। ঋণের টাকা পরিশোধ না করে টানবাহানা করে ১৬ বছর কাটিয়ে দেন। বিগত বছরগুলোতে তাকে নোটিশের পর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। এমনকি নোটিশ দিলেও কোনো লাভ হয়নি। ব্যাংকের লোকজন প্রতিনিয়ত তার বাসায় আসলেও কোনো লাভ হয়নি। তাই বাধ্য হয়ে গ্রাহকের বাসার সামনে অবস্থান কর্মসূচী পালনের সিদ্ধান্ত নেন তারা।
ব্যাংক কর্মকর্তারা বলেন, এসব গ্রাহকের জন্যই রাষ্ট্রের অর্থনীতি, ব্যাংক ও দেশ নষ্ট হচ্ছে। ব্যাংকিং সেক্টর টালমাটাল হয়েছে। এখন আমরা টাকা চাচ্ছি, যতক্ষণ টাকা পাবো না, ততক্ষণ এখানে অবস্থান করবো।
মানববন্ধনে বক্তব্যে আরেক ব্যাংক কর্মকর্তারা বলেন, ব্যাংকের নিজস্ব কোনো টাকা নেই, জনগনের টাকা থেকে ব্যবসা বানিজ্য করার জন্য ঋণ দেওয়া হয়। কিন্তু ঋণ গ্রহিতা মকসুদ আহমদ চৌধুরী আয়েশী জীবনযাপন করা স্বত্বেও ব্যাংকের টাকা ফেরত দিচ্ছেন না। যে কারণে আমরা গ্রাহকদের টাকা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। এজন্য ঋণ ফেরত দিতে সচেতন নাগরিকদের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। এরকম লোককে খেলাপি ঋণ পরিশোধে চাপ সৃষ্টি ও সামাজিকভাবে বয়কটের আহ্বান জানান তারা। এছাড়া মকসুদ আহমদ চৌধুরীর কাছে ১৯ কোটি টাকা খেলাপি রয়েছে। যেভাবে টাকা দিয়েছিলেন, সেভাবে ফেরত চান তারা। কেননা এই টাকা জনগণের টাকা।
এসময় মকসুদ চৌধুরীর ভাগ্নি সম্পর্কে এক তরুণী বেরিয়ে বলেন, ঋনের বিষয়টি জানি, তার মামা অল্প অল্প করে দিয়ে যাচ্ছেন। তাদের (ব্যাংকের) কাছে সময় চেয়েছেন। তারা সমাধানের সময় দিয়েও বাসার সামনে এসে অবস্থান করছেন। এলাকায়তো একটা মানসম্মান আছে। এটা ঠিক নয়।
EDITOR & PUBLISHER :
DR. ARIF AHMED MOMTAZ RIFA
MOBILE : 01715110022
PHONE : 0821 716229
OFFICE : SHUVECHCHA-191
MIAH FAZIL CHIST R/A
AMBAKHANA WEST
SYLHET-3100
(Beside Miah Fazil Chist Jame Masjid & opposite to Rainbow Guest House).
E-mail : sylhetsangbad24@gmail.com
Hello : 01710-809595
Design and developed by M-W-D