সোনার টয়লেট ব্যবহার করি প্রমাণ দিতে পারলে প্রেসিডেন্টশিপ ছেড়ে দেব

প্রকাশিত: ২:৪২ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ৩০, ২০১৮

সোনার টয়লেট ব্যবহার করি প্রমাণ দিতে পারলে প্রেসিডেন্টশিপ ছেড়ে দেব

আঙ্কারা : প্রেসিডেন্ট এরদোগান তার নতুন প্রাসাদে বিলাসবহুল জীবন যাপন করছেন বলে তুরস্কের প্রধান বিরোধীদলীয় নেতা যে অভিযোগ করেছেন তা প্রমাণের জন্য চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন তিনি।

প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগান তার সুবিশাল প্রাসাদে স্বর্ণের টয়লেট ব্যবহার করেন-বিরোধী নেতার এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এরদোগান বলেন, তিনি যদি তার প্রাসাদে একটিও স্বর্ণের টয়লেটের সিট দেখা পারেন তবে তিনি পদত্যাগ করতে সম্মত আছেন।

২৪ জুনের আসন্ন পার্লামেন্টারি নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রধান বিরোধী দল রিপাবলিকান পিপলস পার্টির (সিএইচপি) নেতা কেমাল কিলিকদারোগলো একাধিক নির্বাচনী জনসভায় এরদোগানের বিলাসবহুল জীবন যাপনের কড়া সমালোচনা করেছেন।

শনিবার ইজমির প্রদেশের ইজিয়ান শহরে এক সমাবেশে এরদোগানকে উদ্দেশ্য করে কিলিকদারোগলু বলেন, ‘আপনি নিজের জন্য প্রাসাদ বানিয়েছেন, প্লেন কিনেছেন, মারসিডিজ গাড়ি কিনেছেন, স্বর্ণের আসন কিনেছেন, যেটি আপনি টয়লেটে ব্যবহার করেন।’

গত আগস্টে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার পর এরদোগান এক হাজার রুম বিশিষ্ট নতুন একটি প্রাসাদে স্থানান্তরিত হন।

রবিবার রাতে রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারকারী গণমাধ্যম ‘টিআরটি’-এর সঙ্গে সাক্ষাতকালে এরদোগান বলেন, ‘আমি তাকে (কিলিকদারোগলু) আমার প্রাসাদে আসার জন্য আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। তিনি আমার কোনো ওয়াশরুমের ভিতর এই ধরনের একটিও স্বর্ণের টয়লেট সিট খুঁজে পেলে আমি আশ্চর্য হব।’

কিলিকদারোগলুকে তার অভিযোগ প্রমাণের জন্য চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে তিনি আরো বলেন, ‘যদি তিনি এটি খুঁজে পান, তবে আমি প্রেসিডেন্ট পদ থেকে পদত্যাগ করব।’

আগামী ২৪ জুন দেশটিতে প্রথমবারের মতো নতুন পদ্ধতির সরকারের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। ওই নির্বাচনের মাধ্যমে আরো বাড়ানো হচ্ছে প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা। ২০১৭ সালের এপ্রিলে সংবিধান সংশোধনীর জন্য নেয়া গণভোটের ফলে নতুন করে নির্বাচিত প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা কয়েক গুণ বাড়ানো হয়।

দেশটির ভাইস-প্রেসিডেন্ট, মন্ত্রী ও উঁচু পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তা ও জ্যৈষ্ঠ বিচারকদের নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্টের একচ্ছত্র ক্ষমতা দেয়া হয়। নির্বাচনের আগাম ঘোষণা দেয়ার পরই দেশটির মুদ্রার মান বেড়েছে। একে পার্টির সাবেক নেতা আহমেদ দাভাতোগলো জানিয়েছেন, ‘অর্থনৈতিক উদ্বেগ, সিরিয়া যুদ্ধে নিজেদের জড়ানোর কারণেই আগাম নির্বাচন দিচ্ছেন এরদোগান। এরদোগান ও তার শরিক দলের নেতারা চান, বিরোধী দলকে রাজনীতির মাঠ গোছানোর সুযোগ দেয়ার আগেই নির্বাচন অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে ফের ক্ষমতায় ফেরা।’

সূত্র : জেরুজালেম পোস্ট