১০ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৫শে কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৯:০৬ পূর্বাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২, ২০২৪
সিলেট থেকে প্রকাশিত অধুনালুপ্ত দৈনিক জালালাবাদী ও সাপ্তাহিক সমাচারের সম্পাদক আবদুল ওয়াহেদ খান আর নেই।ইন্নালিল্লাহী ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।
বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারী) দিবাগত রাত সাড়ে ১১ টার দিকে তিনি সিলেট নগরের একটি হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন।
মরহুমের জানাজা আজ শুক্রবার বাদ জুমা হযরত শাহজালাল র: দরগাহ মসজিদে অনুষ্ঠিত হবে।
আব্দুল ওয়াহেদ খান নগরীর দক্ষিণ সুরমা এলাকার ২৫নং ওয়ার্ডের বারখলায় ১৯৪৩ খ্রিস্টাব্দের ১৫ সেপ্টেম্বর জন্রহণ করেন। শিক্ষক পিতা আব্দুল আজিজ খান ও মাতা মোছাম্মৎ রাবেয়া খাতুনের তৃতীয় সন্তান তিনি।
আবদুল ওয়াহেদ খান এবং স্ত্রী নাজনীন হক খান এক ছেলে ও দুই মেয়ের জনক।
আবদুল ওয়াহেদ খান ১৯৬২-১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দের মার্চ পর্যন্ত ইত্তেফাকের ঢাকা অফিসে কাজ করেন। ১৯৭২-১৯৭৮ পর্যন্ত বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস)-এর সিলেট ব্যুরো প্রধানের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭৭ সালে যাত্রা শুরু করা সাপ্তাহিক সিলেট সমাচার ও ১৯৮৪-তে দৈনিক জালালাবাদীর তিনি সম্পাদক ছিলেন। আব্দুল ওয়াহেদ খান জাতীয় ও স্থানীয় সমাজ উন্নয়নমূলক প্রতিষ্ঠানের সাথে অঙ্গাঅঙ্গীভাবে জড়িত ছিলেন।
পেশাগত প্রশিক্ষণের জন্য তিনি দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকার মাধ্যমে ব্রিটিশ মনো ইনস্টিটিউট ইস্ট পাকিস্তান সেন্টার থেকে ডিপ্লোমা ইন মনো অপারেশন কোর্স এবং ব্রিটিশ কাউন্সিলের উদ্যোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হতে জার্নালিজম সার্টিফিকেট কোর্স গ্রহণ করেন।
আবদুল ওয়াহেদ খান ১৯৮৮ সালে কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। সংসদের প্রাণ পুরুষ আজীবন সম্পাদক মুহম্মদ নূরুল হকের ইন্তেকালে যে শূন্যতা ও স্থবিরতা দেখা দেয় এ অবস্থা কাটিয়ে উঠতে তিনি নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেন।
সাংবাদিকতায় সফল আব্দুল ওয়াহেদ খান সাংবাদিক প্রতিনিধি হিসেবে ১৯৭৩ সালে সাবেক রাষ্ট্রপতি বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরীর সঙ্গে ভারতের শান্তিনিকেতন এবং সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সঙ্গে আমেরিকা, সিঙ্গাপুর, জাপান, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, ফিলিপাইন, বৃটেন, সাবেক রাষ্ট্রপতি হোসেইন মো: এরশাদের সঙ্গে মালদ্বীপ, শ্রীলংকা, পাকিস্তান, ভূটান, নেপাল ভ্রমণ করেন।
তিনি একমাত্র সিলেটি সাংবাদিক যিনি সাবেক রাষ্ট্রপতি বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরী, সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান, সাবেক রাষ্ট্রপতি হোসেইন মো: এরশাদের সঙ্গে একাধিক রাষ্ট্রীয় সফরে প্রতিনিধি হিসাবে বিদেশ সফর করেন। তিনি তৎকালীন এরশাদ সরকারের মন্ত্রী হুময়ুন রশিদ চৌধুরীর সাথে ইংল্যান্ডে রাষ্ট্রিয় সফর করেন।
সাংবাদিক প্রতিনিধি হিসেবে ১৯৭৮ খ্রিস্টাব্দে (এসোসিয়েট প্রেস অব আমেরিকা কর্তৃক আয়োজিত) প্যাসিফিক রিজিওনাল জার্নালিস্ট কনফারেন্স (বান্দুং) ইন্দোনেশিয়ায়, ১৯৮৬ খ্রিস্টাব্দের জাতিসংঘের ৪১ তম অধিবেশনে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের সদস্য হিসেবে যোগদান করেন। ১৯৮৬ সালে আন্তর্জাতিক সমাজকল্যাণ পরিষদের উদ্যোগে আয়োজিত রিজিওনাল একচেন্জ প্রোগ্রামে সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, হংকং ও ফিলিপাইন ভ্রমণ করেন। চিয়াংমাই বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ কল্যাণ বিভাগ ও আন্তর্জাতিক সমাজ কল্যাণ পরিষদ ও ইউ এন ডিপির উদ্দ্যোগে ১৯৯৩ সালের জানুয়ারী থেকে ২৮শে মে পর্যন্ত হংকং মালয়েশিয়া, বৃটেন, কানাডা, আমেরিকা ও থাইল্যান্ড সফর করেন। এছাড়া সরকারী বেসরকারীভাবে অস্ট্রেলিয়া, সিংগাপুর, জাপান, কানাডা, খ্রীস, হল্যান্ড, জার্মানী, ইরাণ, আরব আমিরাত, কাতার, মরক্কো, সুইজারল্যান্ড, সৌদি আরব ভ্রমন করেন।
১৯৮৬ খ্রিস্টাব্দে গ্রেট ব্রিটেনস্থ বাংলাদেশ ন্যাশনাল স্টুডেন্টস ত্যাওয়ার্ড কমিটি সাংবাদিক ও সমাজসেবায় বিশেষ অবদানের জন্য তাকে নগদ অর্থ ও সম্মাননা প্রদান করে। ১৯৮৮ খ্রিস্টাব্দে কানাডার মন্ট্রিস্থ দৈনিক ক্রিসেন্ট পত্রিকার বোর্ড অব ডিরেক্টর কর্তৃক সাহসী সাংবাদিকতায় বিশেষ অবদানের জন্য ক্রিসেন্ট এওয়ার্ড প্রদান করে। ১৯৯৫ খ্রিস্টাব্দে আমেরিকান বায়োগ্রাফিক্যাল ইনস্টিটিউট কর্তৃক ‘International Cultural Diploma of Honor’ হিসেবে মনোনীত এবং এই প্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রকাশিত Five Thousand Personalities of the World এর পঞ্চম এডিশনের অন্তর্ভুক্তকরণ করা হয়।
২০০৯ খ্রিস্টাব্দে আমেরিকাভিত্তিক হিউম্যান রাইটস ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে, ফিলিপাইনের ম্যানিলা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারন্যাশনাল রিলেশনস্ হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড মাস কম্যুনিকেশনস্ সোসাইটি কর্তৃক পরিচালিত ১৯৭০ থেকে ২০০০ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত তিন দশকে, এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ৪৭টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ সহ যে সব দেশে সামরিক শাসন জারী হয়েছিল, তৎকালীন সময়ে এসব দেশের প্রচার মাধ্যম ও পত্র পত্রিকার ভূমিকার উপর নিরবচ্ছিন্ন ও ব্যাপক জরিপ ও গবেষণা চালানো হয়। চুড়ান্ত পর্যায়ে নির্দলীয় ও স্বাধীন পত্রিকাগুলোর মধ্যে বাংলাদেশী সাপ্তাহিক সিলেট সমাচার পত্রিকা ও সম্পাদক আব্দুল ওয়াহেদ খান বিশেষভাবে মূল্যায়িত ও প্রশংসতি হন।
আব্দুল ওয়াহেদ খান যেসব প্রতিষ্ঠানের সাথে কাজ করেছেন, চেয়ারম্যান সিলেট বিভাগীয় সমাজ কল্যাণ ফেডারেশন, চেয়ারম্যান জালালাবাদ একাডেমী সিলেট, সদস্য বাংলাদেশ ওভারসীজ সেন্টার ট্রাষ্ট, ফাউন্ডার মেম্বার ও ট্রাষ্টী সিলেট খাজাঞ্চীবাড়ী ইন্টারন্যাশনাল স্কুল, সাধারণ সম্পাদক ১৯৮৮-১৯৯২ ও পেট্রন কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদ, সিলেট স্পোর্টস এন্ড কালচার ট্রাষ্ট, ফাউন্ডার মেম্বার সিলেট প্রেস ক্লাব, সহসভাপতি বাংলাদেশ সংবাদপত্র পরিষদ, বাংলাদেশ কাউন্সিল অব এডিটরস, জাতীয় সমাজ কল্যাণ পরিষদ, সমাজ কল্যাণ নির্বাহী পরিষদ বাংলাদেশ সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়, সদস্য আন্তর্জাতিক সমাজ কল্যাণ কাউন্সিল, জেলা সমাজ কল্যাণ পরিষদ, সিলেট পৌর সমাজ সেবা প্রকল্প পরিষদ, বি.এ.ভি.এস সিলেট, সিলেট জেলা যুব উন্নয়ন বোর্ড, জেলা স্কাউট কমিটি, সদস্য কমনওয়েলথ জার্নালিষ্ট এসোসিয়েশন।

EDITOR & PUBLISHER :
DR. ARIF AHMED MOMTAZ RIFA
MOBILE : 01715110022
PHONE : 0821 716229
OFFICE : SHUVECHCHA-191
MIAH FAZIL CHIST R/A
AMBAKHANA WEST
SYLHET-3100
(Beside Miah Fazil Chist Jame Masjid & opposite to Rainbow Guest House).
E-mail : sylhetsangbad24@gmail.com
Hello : 01710-809595
Design and developed by M-W-D