মাহমুদুর রহমানকে দেখতে ইউনাইটেড হাসপাতালে খালেদা জিয়া

প্রকাশিত: ১:১৮ পূর্বাহ্ণ, ডিসেম্বর ১, ২০১৬

বিনা বিচারে ১৩১৯ দিন কারাভোগের পর জামিনে মুক্ত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে দেখতে গেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।

বুধবার রাত আটটার দিকে রাজধানীর গুলশানস্থ ইউনাইটেড হাসপাতালে যান খালেদা জিয়া।

হাসপাতালে গিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন মাহমুদুর রহমানের শারীরিক অবস্থার খোঁজ খবর নেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, উপদেষ্টা আফরোজা খান রীতা ও সাংগঠনিক সম্পাদক শ্যামা ওবায়েদ প্রমুখ।

প্রসঙ্গত, রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে। দীর্ঘদিন কারাভোগের কারণে তার শরীরে নানা রোগ বাসা বেঁধেছে।

তার ঘনিষ্ঠজনরা জানান, মাহমুদুর রহমানের শারীরিক অবস্থা এতটাই নাজুক যে, তিনি ঠিকমত চলাফেরা করতে পারছেন না। তিনি ঘাঢ়, পিঠ এবং কোমরে ব্যথা অনুভব করছেন। দুই হাত উপরের দিকে তুলতে পারছেন না।

ইউনাইটেড হাসপাতালের সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক ও তার ঘনিষ্ঠজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, টানা সাড়ে তিন বছর কারাভোগের ফলে সূর্যের আলোর অভাবে তার শরীরে ভিটামিন ডি’র ঘাটতিতে হাড়ে ক্ষয়রোগসহ বেশ কিছু জটিলতা দেখা দিয়েছে। শরীরের ওজন অস্বাভাবিক কমে গেছে। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, তার শরীরের হাড়গুলো দ্রুত ক্ষয় হয়ে যাচ্ছে। এতে তিনি ঘাঢ়, পিঠ এবং কোমরে ব্যথা অনুভব করছেন। এছাড়াও তার শরীরে নানা সমস্যা দেখা দিয়েছে।

গত বুধবার দুপুর একটার দিকে গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার-২ থেকে মুক্তি পাওয়ার পরপরই তাকে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই তিনি চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আরো বেশ কয়েকদিন হাসপাতালেই অবস্থান করবেন বলে জানা গেছে।

স্বজনরা তার উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নিয়ে যাওয়ার কথাও ভাবছেন। তবে তাকে দেশের বাইরে নেওয়া হচ্ছে কিনা সে বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন হাসপাতালে মাহমুদুর রহমানের সেবাযত্নে থাকা শহীদ নামে এক স্বজন।

তিনি জানান, ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তির পর থেকেই বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষার কাজ চলছে। চিকিৎসকরা নিয়মিতই কেবিনে এসে তার সঙ্গে কথা বলছেন। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, আরো বেশ কয়েকদিন তাকে হাসপাতালে অবস্থান করতে হবে।

প্রসঙ্গত, সর্বশেষ মামলায়ও সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে দৈনিক আমার দেশ’র সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের জামিন বহাল থাকায় বুধবার দুপুর একটার দিকে গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার-২ থেকে মুক্তি পান।

২০১৩ সালে দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার কার্যালয় থেকে গ্রেপ্তারের পর দীর্ঘ ১৩১৯ দিন কারাভোগ করেন মাহমুদুর রহমান। এর আগে ২০১০ দীর্ঘ ১০ মাস কারাভোগ করেন আলোচিত এই কলম সৈনিক। বাংলাদেশের ইতিহাসে কোনো সম্পাদকের এতো দীর্ঘ কারাভোগের ঘটনা এটিই প্রথম।

মাহমুদুর রহমানের নামে অন্তত ৭০টি মামলা বিচারাধীন রয়েছে বলে জানা গেছে।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

সর্বমোট পাঠক


বাংলাভাষায় পুর্নাঙ্গ ভ্রমণের ওয়েবসাইট