রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতন ।। সীমান্তের ৫ গ্রামে আগুন, আত্মগোপনে পাহাড়ে হাজারো নারী-পুরুষ

প্রকাশিত: ১০:৪৪ পূর্বাহ্ণ, নভেম্বর ৩০, ২০১৬

কক্সবাজার : মায়ানমারের আরাকান রাজ্যের মগ সেনাদের দমন পীড়ন কোনো মতেই যেন থামছে না। গত ২ দিন ধরে সীমান্ত এলাকার ঢেকিবুনিয়া, কুমিরখালী, শিলখালী, বলিবাজার ও নাগপুরাসহ ৫টি গ্রামে মগ সেনারা তাণ্ডব চালিয়ে বাড়ি-ঘর পুড়িয়ে দিয়েছে।

এতে প্রাণ বাঁচাতে রাতের আঁধারে চলে আসার জন্য হাজারেরও অধিক রোহিঙ্গা সীমান্তের কুমিরখালী পাহাড়ে অপেক্ষা করছে। গত সোমবার রাতে ও মঙ্গলবার ভোররাতে প্রায় ৫ শতাধিক রোহিঙ্গা উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা বস্তিতে আশ্রয় নিয়েছে।

রেজু বিজিবি’র নায়েব সুবেদার নুরুল আমিন জানান, দুটি টমটম ও একটি ছাড়পোকা ভর্তি প্রায় ৩৪ জন রোহিঙ্গা নাগরিক মেরিন ড্রাইভ সড়ক দিয়ে কক্সবাজার যাওয়ার পথে তাদের আটক করে বালুখালী বিজিবি’র নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে। এসব রোহিঙ্গাদের সহায়তা করার দায়ে টেকনাফের মোহাম্মদ আমিন (৩০), মোহাম্মদ ইব্রাহিম (৩২), মোহাম্মদ সেলিম (২০) ও উসমান (১৬)সহ ৪ জন দালালকে আটক করে উখিয়া থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।

কুতুপালং শরণার্থী ক্যাম্পের প্রত্যক্ষদর্শী বাসিন্দা মোহাম্মদ তারেক (৪৫) জানান, গত সোমবার রাতে ও মঙ্গলবার ভোর সকালে প্রায় ৫ শতাধিক রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ-শিশু কুতুপালং বস্তিতে আশ্রয় নিয়েছে। সে জানায়, ২টি শরণার্থী ক্যাম্পে বর্তমানে প্রায় সাড়ে ১০ হাজার রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়েছে। সে আরো জানায়, বেশির ভাগ রোহিঙ্গা সড়ক পথে দেশের বিভিন্ন স্থানে চলে যাচ্ছে।

মঙ্গলবার সকালে কুতুপালং রোহিঙ্গা বস্তি ঘুরে জানা যায়, মগ সেনারা মংন্ডু নেমে ৪নং কুমিরখালী পাড়ার পূর্ব পার্শ্বে হারাইঙ্গাঘোনা, তুলাতলী, লম্বাবিল গ্রামে ব্যাপক ধরপাকড় চালিয়ে ২ জন রোহিঙ্গা যুবককে ধরে নিয়ে যাওয়ার পর থেকে ওই গ্রামের মানুষ নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য পার্শ্ববর্তী পাহাড়ে আশ্রয় নিয়েছে।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী হারাইঙ্গাঘোনা থেকে আসা মোহাম্মদ রফিক (২৪) জানায়, মগ সেনা, পুলিশ ও রাখাইনরা ফের গ্রামে হামলা করতে পারে এ আশংকায় ঘরবাড়ি ছেড়ে হাজারেরও অধিক নারী-পুরুষ-শিশু কুমিরখালীর সীমান্তে জড়ো হয়েছে। এপারে বিজিবি’র কঠোর নিরাপত্তার কারণে চলে আসতে না পারলেও যে কোন সময় রাতের আধাঁরে চলে আসতে পারে।

নাগপুরা থেকে পালিয়ে আসা আব্দুল গফুর (৪০) জানায়, গত ২ দিন ধরে মগসেনারা সীমান্তের ঢেকিবনিয়া, কুমিরখালী, শিলখালী, বলিবাজার ও নাগপুরা সহ ৫টি গ্রামে বাড়িঘর জ্বালিয়ে দিয়েছে। পুড়িয়ে দিয়েছে ধানের খামার। এসময় মগসেনারা বাড়িতে ঢুকে যুবক ছেলেদের ধরে নিয়ে যাচ্ছে আর যুবতী মেয়েদের ধর্ষণ করছে।

সে জানায়, সীমান্ত এলাকার পাড়া গুলোতে ঘরবাড়ি পুড়ে যাওয়া আগুনের লেলিহান শিখা এপারের অনেকেই দেখেছে। এসময় বয়োবৃদ্ধ মরিয়ম খাতুন (৫৫) জানায়, তার ছেলে ইমাম শরীফ (২৮) ও তার পুত্র বধু মনোয়ারা (২২) ৩ জনের সংসার তছনছ করে দিয়েছে মগসেনারা।

সে কান্না জড়িত কণ্ঠে জানায়, গত সোমবার রাতে ভাত খেয়ে তারা ঘুমাচ্ছিল। এসময় হঠাৎ মগসেনারা ঘরে আগুন দিলে ঘর থেকে বেরিয়ে আসি। এসময় মগসেনারা তার ছেলে ইমাম শরীফকে ধরে নিয়ে গেছে। ছেলের বউকে নিয়ে কোন রকম পাড়া প্রতিবেশীর সাথে পালিয়ে এসেছি। এভাবে নতুন করে আশ্রয় নেওয়া বেশ কয়েকজন রোহিঙ্গা নাগরিক তাদের হৃদয় বিদারক ঘটনা জানিয়েছেন।

মায়ানমারের গৌজবিলের রহিমুল্লাহ (২২) জানায়, মায়ানমার সেনাবাহিনী গ্রামে এসে আগুন দেয় এবং হেলিকাপ্টার থেকে গুলী বর্ষণ করে। এতে কতজন হতাহত হয়েছে তা তার জানা নেই। তবে তার শরীরের বেশ কয়েকটি স্থানে গুলী লেগেছে বলে জানায়।

মঙ্গলবার সকাল ১১ টায় উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সমন্বয় সভায় সংসদ সদস্য আব্দুর রহমান বদি অনুপ্রবেশ প্রতিরোধে নাফ নদীতে যে সব নৌকা রয়েছে ওইসব নৌকার মাঝিদের দায়ী করে বলেন, তাদের কারণে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করতে পারছে। তাই এসব নৌকার মাঝিদের তালিকা করার নির্দেশ দিয়ে পুলিশ ও বিজিবি’র প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, স্থায়ী কিছু যানবাহন শ্রমিক রোহিঙ্গাদের সু-নির্দিষ্ট স্থানে পৌঁছে দিতে সহযোগীতা করছে। ওইসব শ্রমিকদের তালিকা করে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের সভায় নির্দেশ দেওয়া হয়।

কক্সবাজার ৩৪ বিজিবি’র অধিনায়ক লে.কর্ণেল ইমরান উল্লাহ সরকার সাংবাদিকদের জানান, অনুপ্রবেশকারী ৩৪ জন রোহিঙ্গাকে মায়ানমারে ফেরত পাঠানো হয়েছে। তাদের সহায়তা করা দায়ে ৪ জন দালালকে উখিয়া থানা পুলিশের নিকট সোর্পদ্দ করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ প্রতিরোধে সীমান্তে ও সড়কে কঠোর নজরদারি রাখা হয়েছে।

রোহিঙ্গা নির্যাতন ৫ বোন গণধর্ষণের শিকার : সলিমা বেগম, রেহেনা বেগম, মুমিনা বেগম, শাকিরা আর তসলিমার পাঁচবোন। মায়ানমার সেনাদের ভয়ে ছোট চারবোন এক ভাইসহ বড় বোনের বাড়িতে পালিয়ে ছিলো। কিন্তু বিধি বাম। ওই বাড়িতেই হানা দেয় সেনার দল। স্বামীর সামনেই ছলিমা ও তার চার বোনের উপর একের পর এক নির্যাতন চালায় সেনারা। গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন চালায়।

এসব কথা বলতে গিয়ে রেহেনার গলা ধরে আসে। আর পারে না। পাশের দোভাষী শহীদুল জানালেন, ওরা বলতে চায়না।

গত সোমবার টেকনাফে অনিবন্ধিত লেদা ক্যাম্পে গিয়ে এই পাঁচ বোন ছাড়াও আরো ৪০ জন বিভিন্ন বয়সী নারীদের সঙ্গে কথা কথা হয়। মুখে তাদের কথা নেই, চোখ বলে দেয় কতটা কষ্ট এসব কিশোরী এবং তরুণীদের।

ছলিমা জানান, তারা সবাই মায়ানমারের মংডু শহরের ছোট গরজিল, রাইম্য বিল ও রাইক্যং গ্রামের বাসিন্দা। রোহিঙ্গা নির্যাতনের শিকার ছলিমারা ৫জনসহ আরো ২০জনের মতো একটি দল গত রোববার টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের লেদা শরনণার্থী ক্যাম্পে এসে পৌঁছান। প্রায় কিশোরী দুই বোন সেনাদের অত্যাচারে অসুস্থ হয়ে পড়েছে। লেদা ক্যাম্পের স্থাীয় বাসিন্দারা তাদের জায়গা দিয়েছে এবং টুকটাক করে চিকিৎসা করাচ্ছে।

সলিমা বেগম জানান, সৈন্যদের অভিযানের মুখে পড়ে বড় ভাই দিল আহমেদ পালিয়ে গেছে। কিন্তু সে মারা গেছে নাকি জীবত আছে তা আমি জানিনা। এরকম নির্যাতন চলছে অবিরাম। সলিমা বলেন,অনেক গ্রামের বাড়িতে আগুনে পুড়িয়ে অনেক মানুষকে হত্যা করেছে তারা। তারা নারীদের ধর্ষন, জবাই, আগুনে পুড়িয়ে ও গুলী করে রোহিঙ্গা মুসলিমদের হত্যার করছে।

মেঝ বোন রেহেনা বলেন, আমি ও ছোট তিনবোন এরমধ্যে দুইটা এখনো ‘মাইয়া ফোয়া হয়নাই’ (কিশোরী), সেনাদের ভয়ে বড় বোনের বাড়িতে গিয়ে পালিয়েছি। রক্ষা হয়নি। এক ভোরে মায়ানমারের সৈন্যরা দুলাভাই এর বাড়িতে ঢোকে। চার বোনকে একসাথে বেঁধে রাখে। তারপর দুলাভাইকে ঘরের বাহিরে নিয়ে যায় এবং জবাই করে মেরে ফেলে।

তারপর অত্যাচার চলে আমাদের উপর। কান্নায় বুক ফেটে যায় বোনদের। চোখের পানি গড়িয়ে পড়ে। কতরাত ধরে নির্ঘুম তা তাদের চোখের দিকে তাকালেই বোঝা যায়।

অনুপ্রবেশকারীরা বলেন, এখানে কড়া নজরদারির কারণে কারণে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে ঢুকতে পারছেনা।

টেকনাফ লেদা ক্যাম্পের বাসিন্দা দেলোয়ার ও আসমত বলেন,, রোহিঙ্গারা রাতে কয়েকটি সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে বাংলাদেশে ঢুকছেন। তবে এখন সীমান্তে আরও বেশি নজরদারি বাড়ায় বৃদ্ধি করা রোহিঙ্গারা আগের মত ঢুকতে পারছেনা।

মায়ানমারের কয়োরি পাড়া গ্রামের বাসিন্দা নুর বাহার জানান, তার স্বামী দিলদার হোসেন একজন জেলে। মাছ শিকার করে তাদের পরিবারের সংসার চলে। তার চার ছেলে-মেয়ে রয়েছে। মিয়ানমারের সৈন্যরা বাড়িতে ঢুকে তাকে বের করে দিয়ে তার স্বামীকে ঘরে আটকে দেয়। পরে সৈন্যরাও বাহির থেকে ঘরের চার পাশে আগুন জ্বালিয়ে দেয়। এইভাবে আমার স্বামীর মত অনেককে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করেছে।

২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আবুজার আল জাহিদ বলেন, নাফ নদীর যেসব পয়েন্ট দিয়ে রোহিঙ্গারা বেশি প্রবেশের চেষ্টা করছে সেসব পয়েন্টে বিজিবির নজরদারি আরও বাড়ানো হয়েছে।

নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের আর্তনাদ

মায়ানমারে সামরিক জান্তা ও রাখাইন সম্প্রদায়ের উগ্র গোষ্ঠী কর্তৃক অব্যাহত হামলার অবর্ণনীয় নির্যাতন থেকে বাঁচতে অসহায় মুসলিম নারী-শিশুসহ অসংখ্য বনী আদমের আর্তনাদ থেমে নেই। এমন কোন দিন নেই যেখানে আক্রান্ত না হয়ে থাকছে না আরাকানের রোহিঙ্গা মুসলমানরা।

গুলী করে হত্যা, নারী ধর্ষণসহ বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগের ঘটনা রাখাইন রাজ্যে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীদের জন্য সৃষ্ট সহিংসতার পর থেকে নিত্য-নৈমিত্যিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। জান-মালের নিরাপত্তা বলতে কোন নিশ্চয়তা নেই সেখানকার মুসলমানদের।

সনজিদা মায়ানমারের রাখাইন রাজ্যের মুসলিম নারী। দেশটির সেনাবাহিনী ধরে নিয়ে গেছে তার স্বামী শামসুল আলমকে। প্রাণভয়ে তিনি বাকি ৩ সন্তানকে নিয়ে গোপনে সীমান্ত পার হয়ে বাংলাদেশে ঢুকে পড়েন। এখানে এসে আশ্রয় মিলেছে অনিবন্ধিত রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে। প্রাণ না হারানোর শংকা কাটলেও মানবেতর জীবন কাটাতে হচ্ছে সনজিদাকে। না পাচ্ছেন খাবার, না হচ্ছে চিকিৎসা। স্বামীর জন্য ব্যাকুল সনজিদা কথা বলতে গিয়ে আবেগজনিত কান্নায় ভেঙ্গে পড়ছেন বারবার।

শুধু সনজিদা নন, মায়ানমারের সামরিক জান্তার অমানবিক নির্যাতনে নিজ ভূমি ছেড়ে বাংলাদেশে আসা অসংখ্য রোহিঙ্গা মুসলমানদের মানবেতর দিন যাপন করতে হচ্ছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, মায়ানমারে বেপরোয়া নির্যাতন থেকে রেহাই পেতে গত ১২ নবেম্বর থেকে এপর্যন্ত অন্তত ৪০হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করেছে। শুধু গত দু’দিনেই এসেছে ৩ হাজারের মতো। এদের মধ্যে রয়েছে দুগ্ধপোষ্য শিশু থেকে বৃদ্ধরাও। সরেজমিনে উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা পল্লী এলাকায় দেখা যায়, এখানকার বাসিন্দার সংখ্যা দ্বিগুণ হয়েছে। অনিবন্ধিত ক্যাম্পে আশ্রয় নিয়েছে অসংখ্য রোহিঙ্গা। এখানেই খাতুন নামে পঞ্চাষোর্ধ এক নারী জানান, তিনি মংডুর খিয়ারীপাড়া থেকে মায়ানমারের সেনাবাহিনীর নির্যাতন সইতে না পেরে দু’দিন আগে বাংলাদেশে এসেছেন। তার সঙ্গে আরও ১২ জন এসেছেন। সবাই কুতুপালং অনিবন্ধিত ক্যাম্পের ই-ব্লকে আশ্রয় নিয়েছেন।

খাতুন জানান, সেনাবাহিনী তার যুবক জামাতা জাহেদ হোসেনকে ঘর থেকে ধরে নিয়ে হত্যা করেছে, ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দিয়েছে। দিজা বেগম চার সদস্য নিয়ে এসেছেন। পরিবারের আরও তিনজন রয়ে গেছে রাখাইন রাজ্যে। তাদের জন্য মন কাঁদলেও ঠিক জানেন না কী হয়েছে ওই তিনজনের ভাগ্যে। জীবনের মায়ায় রাজিউল্লাহ নামের এক যুবক স্ত্রীকে নিয়ে নাফ নদী পাড়ি দিয়ে এসেছেন। ঠাঁই মিলেছে বি-ব্লকে। অত্যাচারের বর্ণনা দিতে গিয়ে তিনি কেঁদে ফেলেন।

একইভাবে হাফেজ আহমদ (৫৫), রাজিয়া খাতুন (৫৫), ফাতেমা খাতুন (৩৩), ছেনুয়ারা (১৪), কুলসুমা বেগম (৩৩) ছেলে-মেয়েসহ অত্যাচার সইতে না পেরে নিজ ভূমি ছেড়ে এসেছেন বাংলাদেশে। স্থানীয়রা জানায়, ক্যাম্পগুলোতে হঠাৎ লোক বেড়ে যাওয়ায় খাদ্যপণ্য ও চিকিৎসা সেবা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, উখিয়ার কুতুপালং ও লেদা অনিবন্ধিত রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ৬ হাজার ৭৬২ পরিবারে মোট ৩৫ হাজার ৫৬৫ জন বসবাস করছে। এছাড়া কক্সবাজার এলাকায় প্রায় ৪৮ হাজার নিবন্ধিত রোহিঙ্গা রয়েছে। ধারণা করা হয়, অন্তত ২ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে বসবাস করছেন। উখিয়া কুতুপালং শরণার্থী শিবিরের ইনচার্জ আরমান শাকিব জানান, অনিবন্ধিত শিবিরে রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশের কথা তিনি শুনেছেন।

তবে নিবন্ধিতদের এলাকাতে একজনও অবৈধ অনুপ্রবেশকারী নেই বলে জানান তিনি। আরমান শাকিব আরও জানান, কুতুপালং শরণার্থী শিবিরে ১৩ হাজার নিবন্ধিত রোহিঙ্গা রয়েছেন। আর শিবিরের তিন দিক ঘিরে অনিবন্ধিত ক্যাম্পে রোহিঙ্গা রয়েছে ৫০ হাজারেরও