নোয়াখালীতে আওয়ামী লীগের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার সময় অস্ত্রধারীদের ভিডিও ভাইরাল

প্রকাশিত: ১১:৩০ পূর্বাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ৭, ২০২১

নোয়াখালীতে আওয়ামী লীগের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার সময় অস্ত্রধারীদের ভিডিও ভাইরাল

Manual6 Ad Code

নোয়াখালীর মাইজদীতে আওয়ামী লীগের ত্রিমুখী ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার সময় অস্ত্র হাতে তিন যুবকের একটি ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে।

গত রোববার বিকেলে জেলা শহর মাইজদীতে আওয়ামী লীগের ত্রিমুখী ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার মধ্যে তিন যুবককে অস্ত্র হাতে ৩৮ সেকেন্ডের একটি ভিডিও দেখা যায়। ওই ভিডিও চিত্রে দেখা যায় ১০-১২ সহযোগী বেষ্টিত অস্ত্রধারী এক যুবক প্রতিপক্ষের দিকে গুলি করছেন এবং বাবি দুজন প্রতিপক্ষদের ধাওয়ার মুখে অস্ত্রহাতে অন্য সহযোগীদের সাথে দৌড়ে পালিয়ে যাচ্ছে।

Manual4 Ad Code

সোমবার ফেসবুকে অস্ত্রধারীদের ভিডিওটি ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে। এতে স্থানীয় সচেতন মহল গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে এবং অস্ত্রধারীদের চিহ্নিত করে দ্রুত আইনের আওতায় আনার এবং অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারের দাবি জানান।

Manual8 Ad Code

সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: সাহেদ উদ্দিন জানান, অস্ত্রধারীদের একটি ভিডিও তিনি দেখেছেন। পুলিশ অস্ত্রধারীদের চিহিৃত করে গ্রেফতারের চেষ্টা চালাচ্ছে।

Manual2 Ad Code

উল্লেখ্য, নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের ২০১৯ সালের ২০ নভেম্বর মাইজদী শহীদ ভুলু স্টেডিয়ামে সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের ঘোষিত পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণার দাবিতে রোববার বিকেলে নোয়াখালী-৪ আসনের এমপি একরামুল করিম চৌধুরীর পক্ষে জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সামনে এক বিশাল শোডাউন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান একেএম সামছুদ্দিন জেহান, শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল ওয়াদুদ পিন্টু, আবদুল মমিন বিএসসি, আতাউর রহমান নাছের, জেলা যুবলীগ আহবায়ক ইমন ভট্ট, যুগ্ম আহবায়ক একরামুল হক বিপ্লব প্রমুখ। একপর্যায়ে সমাবেশ শেষ পর্যায়ে পৌর বাজারের সামনের থেকে জিলা স্কুলের সামনে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান শিহাব উদ্দিন শাহীনের সমর্থনে একটি মিছিল আসার চেষ্টা করলে এমপি সমর্থকদের ধাওয়া খেয়ে ব্যর্থ হয়ে ও পুলিশের তোপের মুখে তারা মফিজ প্লাজার দিকে চলে যায়। এ সময় বিক্ষুদ্ধরা ৩/৪টি মোটরসাইকেল ভাংচুর করে। এ সময় ১০ জন আহত হন।

আহতদের মধ্যে আ: রহমান রাজু (২০), মো: মোহন (১৮) নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অন্যদেরকে প্রাইভেট হাসপাতলে চিকিৎসা দেয়া হয়। একপর্যায়ে জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়সহ এমপি সমর্থকরা প্রধান সড়ক দখলে নেয়। পরে পৌর মেয়র শহিদ উল্যাহ খান সোহেলের সমর্থনে একটি মিছিল বের হয়ে প্রধান সড়কের দিকে যাওয়ার পথে এমপি সমর্থকরা বাধা দেয়। এতে দুই পক্ষের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয় ও পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে এবং দুই পক্ষকে সরিয়ে দেয়। পরে তারা পৌর ভবনে অবস্থান নেয়। পরে তিন পক্ষই সোমবার সমাবেশ আহ্বান করে।

Manual6 Ad Code

শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষার্থে প্রশাসন সোমবার ভোর ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি করে।
সোমবার ভোর ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সদর উপজেলার মাইজদী শহর ও আশপাশ (মাইজদী, দত্তেরহাট, সোনাপুর) এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি ঘোষণা করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম খান।


 

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

সর্বমোট পাঠক


বাংলাভাষায় পুর্নাঙ্গ ভ্রমণের ওয়েবসাইট

Manual1 Ad Code
Manual2 Ad Code