কাল থেকে ‘জনগণের দোড়গোড়ায়’ টিকা ক্যাম্পেইন

প্রকাশিত: ১:১৫ অপরাহ্ণ, আগস্ট ৬, ২০২১

কাল থেকে ‘জনগণের দোড়গোড়ায়’ টিকা ক্যাম্পেইন

মহামারি করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ তাণ্ডব দমাতে দেশজুড়ে গণটিকাদান কার্যক্রম পরিচালনা করছে সরকার। এরই ধারাবাহিকতায় আগামীকাল শনিবার (৭ আগস্ট) থেকে ৬ দিনের পরিবর্তে একদিনের জন্য ইউনিয়ন, পৌরসভা ও সিটি করপোরেশনে ভ্যাকসিন ক্যাম্পেইন চলবে। একই সাথে বাদ যাওয়া এলাকাগুলোতে আগামী ১২ আগস্ট পর্যন্ত টিকা দেওয়া হবে।

শুক্রবার (৬ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মহাখালীর বিসিপিএস প্রাঙ্গণে দেশব্যাপী কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্পেইন নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ বি এম খুরশীদ আলম।

খুরশীদ আলম জানান, আগামী ৭ আগস্ট থেকে ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে প্রান্তিক জনগণকে ভ্যাকসিনেশনের আওতায় আনার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। ক্যাম্পেইনে সারাদেশের ৪ হাজার ৬০০টি ইউনিয়নে, ১ হাজার ৫৪টি পৌরসভায় এবং সিটি করপোরশেন এলাকার ৪৩৩টি ওয়ার্ডে মোট ৩২ হাজার ৭০৬ জন টিকাদানকারী এবং ৪৮ হাজার ৪৫৯ জন স্বেচ্ছাসেবীর মাধ্যমে একযোগে কোভিড-১৯ টিকা প্রদান করা হবে।

তিনি বলেন, ১৮ বছর বয়সীদের অনেকের আইডি কার্ড নেই। এতে বিশৃঙ্খলা তৈরি হবে। তাই বয়স ১৮ না করে ২৫ নির্ধারণ করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে যারা আগে রেজিস্ট্রেশন করেছেন তারা যেখানে কেন্দ্র নির্ধারণ করেছেন সেখানে টিকা নেবে। ক্যাম্পেইনের টিকাদান আলাদাভাবে পরিচালিত হবে।

তিনি জানান, যে কোনো ভ্যাকসিনেশন কার্যক্রম সুনির্দিষ্টভাবে প্রদানে পরিকল্পনা করা সম্ভব হয় না। আমরা আমাদের সক্ষমতা অনুযায়ী পরিকল্পনা তৈরি করেছি। দেশে টিকার ঘাটতি থাকলেও সবাইকে টিকা প্রদানে সরকার বদ্ধপরিকর। এখন পর্যন্ত ১ কোটি ৯৯ হাজারে অধিক মানুষকে প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে বলেও নিশ্চিত করেন তিনি।

স্বাস্থ্যের মহাপরিচালক বলেন, কোভেক্সসহ বিভিন্ন টিকা উৎপাদনকারীদের সাথে কথা হয়েছে। দেশেও টিকা উৎপাদনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। তাই নেতিবাচক চিন্তা ও কুসংস্কার পরিহার করে টিকা গ্রহণের মাধ্যমে করোনা প্রতিরোধে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।

ভ্যাকসিন ক্যাম্পেইনের উদ্দেশ্য প্রসঙ্গে খুরশীদ আলম বলেন, টিকাকে কেন্দ্র করে সারাবিশ্বেই রাজনীতি রয়েছে। ইতোমধ্যেই টিকা প্রদানের পরিমাণ বেড়েছে। গত দশদিনে ৩০ লাখ টিকা দেওয়া হয়েছে। বড় আকারে ভ্যাকসিন ক্যাম্পেইন না করতে পারলে বিরাট জনগোষ্ঠীকে কাভার করা যাবে না। এটা আমাদের কাছে একটি পাইলট প্রোজেক্ট। এ থেকে আমরা শিক্ষা গ্রহণ করব।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা, এমআইএস পরিচালক অধ্যাপক ডা. মিজানুর রহমান, ইপিআই কর্মসূচির ব্যবস্থাপক ডা. মওলা বক্স চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।