১৪ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৩০শে পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১০:১৭ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২১, ২০১৬
তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে খালেদা জিয়া যে ফর্মূলা দিয়েছেন তা অবাস্তব, অসাংবিধানিক ও অস্বাভাবিক।
তিনি বলেন, খালেদার এই প্রস্তাব কোনো আলোচনার ভিত্তি হতে পারে না।
সোমবার তথ্য অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনকাঠামো নিয়ে সম্প্রতি বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উত্থাপিত ১৩ দফা প্রস্তাবের পর্যবেক্ষণ জানাতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
উত্থাপিত এ প্রস্তাব নাকচ করলেও তথ্যমন্ত্রী জানান, নতুন করে প্রস্তাব আনলে আলোচনার বিষয়টি ভাবা হবে।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়াকে ৭২ সালের সংবিধান পড়তে হবে। খালেদা নতুন প্রস্তাব নিয়ে আসুন, তখন আলোচনার বিষয়টি ভাবা হবে।
ইনু বলেন, খালেদা জিয়ার প্রস্তাবনা সকল বিবেচনায় অযৌক্তিক, অবাস্তব, অসাংবিধানিক ও অস্বাভাবিক। তার প্রস্তাবনার উদ্দেশ্য দেশে অনিশ্চয়তা সৃষ্টি করে সাংবিধানিক শূন্যতার দিকে ঠেলে দেওয়া।
তিনি আরো বলেন, অসাংবিধানিক কোনো প্রস্তাব নিয়ে আলোচনায় বসবো না। এর অর্থ এই অসাংবিধানিক কোনো প্রস্তাবকে ‘এন্টারটেইন করা’।
উল্লেখ্য, বিএনপি চেয়ারপারসনের ১৩ দফা প্রস্তাবে বলা হয়- সকল রাজনৈতিক দলের ঐক্যমতের ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে, রাষ্ট্রপতি সকল রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করে সর্বসম্মতিক্রমে ঐক্যমতের ভিত্তিতে বাছাই কমিটি গঠন করবেন।
রাষ্ট্রপতির কাছে রাজনৈতিক দলগুলো প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারের নাম প্রস্তাব করবে এবং রাষ্ট্রপতি প্রস্তাবিত নামগুলো বাছাই কমিটিতে পাঠাবেন, সেখান থেকে অভিন্ন নামগুলো রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠাতে হবে। অভিন্ন নাম পাওয়া না গেলে রাষ্ট্রপতি বারবার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করবেন।
খালেদার এই প্রস্তাবের মধ্য থেকে ‘সকল রাজনৈতিক দল’, ‘সর্বসম্মতিক্রমে’, ‘ঐক্যমত্য’, ‘অভিন্ন নাম’, ‘বারবার আলোচনা’- শব্দগুলোকে চিহ্নিত করেন ইনু।
এসব শব্দের ব্যাখ্যায় ইনু বলেন, খালেদা জিয়া সকল রাজনৈতিক দলের যে সংজ্ঞা দিয়েছেন, তাতে জামায়াত, ফ্রিডম পার্টি, মুসলিম লীগ আছে। তিনি সকল রাজনৈতিক দলের আড়ালে জামায়াত, মুসলিম লীগসহ স্বাধীনতাবিরোধী, যুদ্ধাপরাধী এবং বঙ্গবন্ধুর খুনিদের দল ফ্রিডম পার্টিকে হালাল করার অপপ্রয়াস করেছেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, সর্বসম্মতিক্রমে ও ঐক্যমতের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত, অভিন্ন নাম খুঁজে বের করতে বারবার আলোচনা করতে হবে বলে খালেদা জিয়া দেশ অনিশ্চয়তা সৃষ্টি এবং সাংবিধানিক শূন্যতা তৈরি করতে চাইছেন।
তিনি আরো বলেন, সরকারের মেয়াদ শেষ হওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে। বারবার আলোচনার নামে অনির্দিষ্টকাল ধরে আলোচনা করে সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা অস্বীকার করার উপায় নেই।
EDITOR & PUBLISHER :
DR. ARIF AHMED MOMTAZ RIFA
MOBILE : 01715110022
PHONE : 0821 716229
OFFICE : SHUVECHCHA-191
MIAH FAZIL CHIST R/A
AMBAKHANA WEST
SYLHET-3100
(Beside Miah Fazil Chist Jame Masjid & opposite to Rainbow Guest House).
E-mail : sylhetsangbad24@gmail.com
Hello : 01710-809595
Design and developed by M-W-D