খাদ্যের মোড়কে খবরের কাগজ ব্যবহার বন্ধসহ ১২টি সতর্কতা

প্রকাশিত: ১২:০১ পূর্বাহ্ণ, মার্চ ১৩, ২০২১

খাদ্যের মোড়কে খবরের কাগজ ব্যবহার বন্ধসহ ১২টি সতর্কতা

সারা দেশে খাদ্যের মোড়কে পলিথিন বা পুরনো খবরের কাগজ ব্যবহার বন্ধসহ ১২টি সতর্কতা দিয়ে সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ। দেশের রেস্তোরাগুলোতে পার্সেল হিসেবে খাবার নিলে বেশিরভাগ সময়ে পলিথিন ও পুরনো খবরের কাগজ ব্যবহার করা হচ্ছে।

নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ ১২টি বিষয়ে সতর্ক করে তা মানার জন্য খাদ্য স্পর্শক উৎপাদনকারী, আমদানিকারক, সরবরাহকারী, খাদ্য মোড়কজাতকারী, খাদ্য ব্যবসায়ী ও গ্রাহকদের নির্দেশনা দিয়েছে। কিন্তু অধিকাংশ সময়ে এসব নিদের্শনা অমান্য করা হচ্ছে।

১২টি বিষয়ে সতর্কতা দেওয়া হয়েছেঃ

১. খাদ্যে বিষক্রিয়া সৃষ্টি করে এমন খাদ্য স্পর্শক বা মোড়ক খাদ্যদ্রব্যে ব্যবহার করা যাবে না।

২. এমন কোনো খাদ্য স্পর্শক বা মোড়ক ব্যবহার করা যাবে না, যা খাদ্যের রং, গন্ধ ও উপাদানের পরিবর্তন ঘটায়।

৩. খাদ্য স্পর্শক উৎপাদনে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি ও কাঁচামাল নিরাপদ ও স্বাস্থ্যসম্মত হতে হবে।

৪. খাদ্যের মোড়কে বা প্যাকেটে ধাতব বস্তু (স্ট্যাপলার/সেফটি পিন) ব্যবহার করা যাবে না।

৫. গরম খাবার বা পানীয় পরিবেশনের ক্ষেত্রে নিম্নমানের ও রিসাইকেলড পলিথিন বা পুরনো খবরের কাগজ ব্যবহার করা যাবে না।

৬. গরম খাবার বা পানীয় পরিবেশনের ক্ষেত্রে নিম্নমানের ও রিসাইকেলড প্লাস্টিক কাপ/বক্স/পাত্র ব্যবহার করা যাবে না।

৭. খাদ্য স্পর্শক হতে নির্গমিত বস্তু ও বস্তু কণা অনুমোদিত সীমার মধ্যে থাকতে হবে।

৮. ভোক্তার জন্য বিভ্রান্তিকর কোনো তথ্য খাদ্য স্পর্শক বা মোড়কে উল্লেখ করা যাবে না।

৯. খাদ্য স্পর্শক ব্যবসায়ীকে খাদ্য স্পর্শক উৎপাদনের ক্ষেত্রে প্রতিপালিত শর্তাবলী, অনুমতি, মান, ফলাফল, নিরাপত্তা ও প্রক্রিয়াকরণ সংক্রান্ত নথিপত্রের মুদ্রিত বা ইলেকট্রনিক কপি যথাযথভাবে সংরক্ষণ করতে হবে।

১০. খাদ্য স্পর্শক উৎপাদনে ব্যবহৃত উপকরণ ক্রয়ের রশিদ বা চালান খাদ্য স্পর্শকের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরেও তিন মাস সংরক্ষণ করতে হবে।

১১. খাদ্য স্পর্শক উৎপাদক বা বিপননকারীর নাম, ঠিকানা ও রেজিস্ট্রেশন নম্বর স্পষ্টভাবে খাদ্য স্পর্শক বা মোড়কে উল্লেখ করতে হবে।

১২. নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক বা কর্তৃপক্ষ কর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত খাদ্য স্পর্শক উৎপাদন, আমদানি ও বিতরণের যেকোনো পর্যায়ে এর মান যাচাইয়ের জন্য খাদ্য স্পর্শক স্থাপনা পরিদর্শন ও নমুনা সংগ্রহ করতে পারবে।

নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের পরিচালক আব্দুর রহমান বলেন, অপরাধের তারতম্যের ওপর শাস্তি প্রয়োগ হয়। কারাদণ্ড, অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডের নিয়ম আছে আইনে।



 

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

সর্বমোট পাঠক


বাংলাভাষায় পুর্নাঙ্গ ভ্রমণের ওয়েবসাইট