পর্দা উঠল ঢাকা লিট ফেস্টের

প্রকাশিত: ৯:৪৬ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১৭, ২০১৬

বাংলা সাহিত্য-সংস্কৃতিকে বিশ্বময় পরিচিত করার লক্ষ্য্ নিয়ে শুরু হয়েছে ৩ দিনব্যাপী ষষ্ঠ ঢাকা লিট ফেস্ট।

বৃহস্পতিবার দুপুরে বাংলা একাডেমির আব্দুল করিম সাহিত্য বিশারদ মিলনায়তনে এ ফেস্টিভ্যাল উদ্বোধন করেন সাহিত্যে নোবেল বিজয়ী ব্রিটিশ সাহিত্যিক ভি এস নাইপল।

এ সময় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, ‘ঢাকা লিট ফেস্টের মাধ্যমে বাংলা সাহিত্যর বিশ্বায়ন হচ্ছে। এ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বিশ্ব দরবাবে মঞ্চায়ন হচ্ছে বাংলা ও বাংলাদেশি সাহিত্য।’

তিনি আরো বলেন, ‘ঢাকা লিট ফেস্টের সবচেয়ে বড় উল্লেখযোগ্য বিষয় বাংলা সাহিত্যের অনুবাদ। বাংলাদেশি সাহিত্যিকদের অনবদ্য বিখ্যাত সব সৃষ্টি এ ফেস্টিভালকে উপলক্ষ করে অনুবাদ করা হচ্ছে। এতে করে বিশ্ববাসী বিখ্যাত সব বাংলা সাহিত্য পড়ার সুযোগ পাচ্ছে।’

বাংলা সাহিত্য অনুবাদের জন্য ‘ঢাকা ট্রান্সলেশন সেন্টার’কে ধন্যবাদ জানান অর্থমন্ত্রী।

অর্থমন্ত্রীর বক্তব্যের পরপরই নোবেল জয়ী ব্রিটিশ সাহিত্যিক ভি এস নাইপল স্টেজে এসে ফিতা কেটে ঢাকা লিট ফিস্টের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করেন।

এরআগে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর বলেন, ‘ঢাকা লিটারারি ফেস্টিভ্যালের মাধ্যমে প্রমাণ হয় বাংলাদেশ সকল ধর্ম, সংস্কৃতি ও সাহিত্য নিরপেক্ষ দেশ। এদেশে সকল ধর্ম ও সব ধরনের সাহিত্য-সংস্কৃতির চর্চার জন্য সকলের সমান অধিকার রয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘নিরাপত্তা ঝুঁকির মধ্যেও এ নন্দিত আয়োজনের জন্য আয়োজকদের ধন্যবাদ জানাই।’

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের শুরুতেই সংগীত শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যার নির্দেশনায় রবীন্দ্রসংগীত পরিবেশন করে সুরের ধারা। তারপর শুরু হয় মূল পর্বের অনুষ্ঠান। শুরুতেই বক্তৃতা দেন ঢাকা লিট ফেস্টের তিন পরিচালক যথাক্রমে কাজী আনিস আহমেদ, আহসান আকবর ও সাদাফ সায। কাজী আনিস আহমেদ ধন্যবাদ জানান বিদেশি অতিথি ও উপস্থিত সকলকে। পাশাপাশি লিট ফেস্টের আকর্ষণগুলো তুলে ধরেন তিনি।

বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর থেকে বাংলা একাডেমি আয়োজিত বিভিন্ন সাংস্কৃতিক উৎসবগুলোর কথা উল্লেখ করেন।

তিন দিনের এই সাহিত্য উৎসব চলবে ১৯ নভেম্বর পর্যন্ত। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের বিশেষ পৃষ্ঠপোষকতায়, বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে আয়োজিত এই উৎসবে অংশ নিচ্ছেন ২ শতাধিক শিল্পী, সাহিত্যিক, লেখক, গবেষক, সাংবাদিকসহ আরো অনেকে।