গুলিবিদ্ধ হয়ে রাজশাহী বিএনপির সহসভাপতি নিহত

প্রকাশিত: ৫:৫৭ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১৬, ২০১৬

Manual2 Ad Code

রাজশাহী : গুলিবিদ্ধ হয়ে রাজশাহী মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি খন্দকার মাইনুল ইসলাম (৫৯) নিহত হয়েছেন। মাইনুল ইসলাম পেশায় একজন প্রথম শ্রেণির ঠিকাদার। তিনি জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।

বুধবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।

নগরীর হোসনীগঞ্জ এলাকার নিজ বাসা থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যায় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক আরিফুল হক জানান, হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার আগেই খন্দকার মাইনুল ইসলামের মৃত্যু হয়েছে। তার দুই কান দিয়ে রক্ত বের হচ্ছিল। তবে তার বাম কানে ছিদ্র রয়েছে। ময়নাতদন্ত ছাড়া মৃত্যুর কারণ নিশ্চিতভাবে বলা যাবে না।

রাজশাহী ফায়ার স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন অফিসার শরীফুল ইসলাম জানান, ফায়ার স্টেশনের পাশেই খন্দকার মাইনুল ইসলামের বাসা। তিনি গুলিবিদ্ধ হয়েছেন, এমন খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা তার বাসায় ছুটে যান। এরপর দুপুর ২টা ১০ মিনিটে ফায়ার সার্ভিসের গাড়িতে করেই তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

Manual6 Ad Code

তিনি জানান, খন্দকার মাইনুল ইসলামের বাসার সামনে প্রাচীরের ভেতরেই বসার জন্য একটি ঘুন্টিঘর আছে। ওই ঘরের মেঝেতেই তিনি অচেতন অবস্থায় পড়ে ছিলেন। তার কানের পাশে ছিদ্র ছিল এবং সেখান দিয়ে প্রচুর রক্তক্ষরণ হচ্ছিল।

Manual5 Ad Code

খন্দকার মাইনুল ইসলামের ঘনিষ্ঠজনেরা জানিয়েছেন, ঠিকাদারী ব্যবসার কারণে তার প্রচুর টাকা ঋণ হয়ে গিয়েছিল। এ কারণে তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে তারা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন। তবে তাৎক্ষণিকভাবে নিহতের পরিবারের কোনো সদস্যের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা বলা যায়নি।

Manual8 Ad Code

খন্দকার মাইনুল হক আত্মহত্যা করেছেন, নাকি তাকে হত্যা করা হয়েছে তা পুলিশ নিশ্চিত নয় বলে জানিয়েছেন বোয়ালিয়া থানার ওসি শাহাদাত হোসেন খান।

তিনি বলেন, ‘পুলিশ বিষয়টি নিয়ে অনুসন্ধান করছে। পুলিশের পাশাপাশি র‌্যাব ও সিআইডির কর্মকর্তারাও ঘটনাস্থলে আছেন। ঘটনাস্থল থেকে একটি পিস্তল উদ্ধার করা হয়েছে। সেটি পরীক্ষা করা হবে। নিহতের লাশেরও ময়নাতদন্ত করা হচ্ছে।

Manual6 Ad Code

সর্বমোট পাঠক


বাংলাভাষায় পুর্নাঙ্গ ভ্রমণের ওয়েবসাইট

Manual1 Ad Code
Manual7 Ad Code