এম সি কলেজ ছাত্রাবাসে গণধর্ষণের চার্জশিট অসম্পূর্ণ, গডফাদারদের চিহ্নিত করার দাবি

প্রকাশিত: ৬:২৫ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ৩, ২০২০

এম সি কলেজ ছাত্রাবাসে গণধর্ষণের চার্জশিট অসম্পূর্ণ, গডফাদারদের চিহ্নিত করার দাবি

সিলেটের মুরারিচাঁদ (এমসি) কলেজের ছাত্রাবাসের ধর্ষকদের সহযোগী ও তাদের প্রশ্রয়দাতাদের খুঁজে বের করার দাবি জানিয়েছে সিলেটের বিভিন্ন শ্রেণীপেশার নাগরিকদের সমন্বয়ে গড়ে ওঠা প্ল্যাটফর্ম ‘দুষ্কাল প্রতিরোধে আমরা’। বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতি এই দাবি জানানো হয়।
বিবৃতিতে ‘দুষ্কাল প্রতিরোধে আমরা’র পক্ষ থেকে বলা হয়, এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে যারা এমন বর্বরোচিত ঘটনা ঘটিয়েছে তারা একদিনে এরকম বেপোরোয়া হয়ে ওঠেনি। দীর্ঘদিন ধরেই তারা এরকম অপকর্ম ঘটিয়ে আসছে। এই একই গোষ্ঠী এমসি কলেজের ছাত্রাবাসেও অগ্নিসংযোগ করে। মারামারি ও খুনোখুনি তাদের নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে ওঠে টিলাগড়-বালুচর এলাকা হয়ে ওঠেছে নগরবাসীর আতঙ্কের নাম। রাজনৈতিক নেতাদের প্রশ্রয় আর আস্কারা পেয়েই ছাত্রলীগ নামধারী দুর্বৃত্তরা একের পর এক অপকর্ম ঘটিয়ে চলছে। যা ঐতিহ্যবাহী এমসি কলেজসহ পুরো সিলেটকেই কলঙ্কিত করছে।
আমরা মনে করি, কেবলমাত্র ধর্ষণে সরাসরি সম্পৃক্তদের বিচারের আওতায় আনলেই এই এলাকার অপরাধ ও অপকর্ম বন্ধ করা যাবে না। বরং গডফাদারদের ছত্রছায়ায় নতুন নতুন অপরাধী তৈরি হবে। এজন্য আমরা প্রথম থেকেই টিলাগড় এলাকার গডফাদারদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়ে আসছি।
বিবৃতিতে বলা হয়, বৃহস্পতিবার ছাত্রাবাসে ধর্ষণের মামলায় অভিযোগপত্র প্রদান করেছে পুলিশ। কিন্তু,এই অভিযোগপত্র আমাদের পুরোপুরি সন্তুষ্ট করতে পারেনি। ডিএনএ রিপোর্ট নির্ভর একটি প্রতিবেদন আদালতে জমা দেওয়া হয়েছে। এতে পুলিশের নিজস্ব তদন্তের কোনো ছাপ নেই। আসামীরা কাদের সহযোগিতায় পালালো, কারা তাদের আত্মগোপনে সহায়তা করেছে, কাদের সহযোগিতায় বন্ধ ছাত্রাবাসে তারা আস্তানা গড়ে তুললো- এসব ব্যাপারে অভিযোগপত্রে কিছু উল্লেখ নেই।
‘দুষ্কাল প্রতিরোধে আমরা’ সংগঠকরা বলেন, আমরা মনে করি এটি একটি অসম্পূর্ণ অভিযোগপত্র। পুলিশ ধর্ষকদের নেপথ্যে থাকা গডফাদারদের আড়াল করার চেষ্টা করেছে। চাঞ্চল্যকর এই মামলার সর্ম্পরক চার্জশিট প্রদান করে গডফাদারদের চিহ্নিত করার দাবি জানানো হয় বিবৃতিতে।-বিজ্ঞপ্তি।


 

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

সর্বমোট পাঠক


বাংলাভাষায় পুর্নাঙ্গ ভ্রমণের ওয়েবসাইট