১৪ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৩০শে পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১:০৭ পূর্বাহ্ণ, জুলাই ২৪, ২০১৬
আওয়ামী লীগ নেতা সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের জনসভায় গ্রেনেড হামলা মামলায় আসামী হিসেবে যুক্ত হতে যাাচ্ছেন সিলেট সিটি কর্পোরেশন ও হবিগঞ্জ পৌরসভার বরখাস্ত হওয়া দুই মেয়র। সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী ও হবিগঞ্জের মেয়র গোলাম কিবরিয়া (জিকে) গৌছকে ঐ মামলায় সংযুক্ত করতে চান তদন্ত কর্মকর্তা। ইতোমধ্যে তিনি আবেদনও করেছেন আমলগ্রহণকারী জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের (দিরাই, সুনামগঞ্জ) আদালতে। সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া হত্যা মামলায় কারাগারে আটক থাকা আরিফুল হক ও জিকে গৌসকে দিরাইয়ের গ্রেনেড হামলা মামলায়ও প্রেফতার দেখানোর জন্য ঘটনার ১২ বছর পর বুধবার এ আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) হবিগঞ্জ জোনের সহকারী পুলিশ সুপার বসু দত্ত চাকমা। এ আবেদনর শুনানির জন্য আদালত ২৮ জুলাই তারিখ নির্ধারণ করেছেন।
আদালতে করা আবেদনে বসু দত্ত চাকমা উল্লেখ করেন, প্রাথমিকভাবে সাক্ষ্য প্রমাণে সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের জনসভায় গ্রেনেড হামলার ঘটনায় আরিফুল হক চৌধুরী ও জিকে গৌছের সম্পৃক্ততার প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে।
প্রসঙ্গত, ২০০৪ সালের ২১ জুন দুপুরে সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের নির্বাচনী এলাকা সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলা সদরের জগন্নাথ জিওর মন্দিরের কাছে জনসভামঞ্চের পাশে গ্রেনেড বিস্ফোরিত হয়। ঐ হামলায় ঘটনাস্থলে ওয়াহিদ মিয়া নামে এক যুবলীগ কর্মী নিহত ও ২৯ জন আহত হন। হামলার সময় সুরঞ্জিত সেন অল্পের জন্য রক্ষা পান। এ ঘটনায় অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করে দিরাই থানায় মামলা করেন এসআই হেলাল উদ্দিন।
২০০৬ সালের ৪ সেপ্টেম্বর হরকাতুল জিহাদের সিলেট অঞ্চলের সংগঠক শরিফ শাহেদুল আলম ওরফে বিপুল ও হাফেজ সৈয়দ নাঈম ওরফে আরিফ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে আটক হলে তাদের স্বীকারোক্তি থেকে গ্রেনেড হামলার বিষয়টি প্রকাশ পায়। পরে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) মামলার অধিকতর তদন্ত করে ২০০৮ সালের ১৪ ডিসেম্বর আদালতে চার্জশিট দাখিল করে। সিআইডি পুলিশের ইন্সপেক্টর শফিকুর রহমানের দাখিল করা চার্জশিটে হরকাতুল জিহাদের শীর্ষস্থানীয় জঙ্গি মুফতি হান্নান, তার ভাই মহিবুল্লাহ ওরফে অভি, মইনুদ্দিন ওরফে আবু জান্দাল, দেলোয়ার হোসেন ওরফে রিপন, নাজিউর রহমান ওরফে নাজু, শরীফ সাহেদুল আলম বিপুল ও হাফিজ সৈয়দ নাঈম আহমদ আরিফকে অভিযুক্ত করা হয়। ঘটনাটি চাঞ্চল্যকর হওয়ায় মামলাটি সিলেট বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করা হয়। ২০১০ সালের ৩০ জুন সিলেটের দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মাহবুব উল ইসলামের আদালতে মামলার চার্জ গঠন করা হয়।
পরবর্তীতে তদন্তে কিছু বিষয় অস্পষ্ট থাকায় এবং আসামিদের দেওয়া জবানবন্দির সাথে তদন্ত প্রতিবেদনের অসামঞ্জস্য থাকায় রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১০ সালের ১২ অক্টোবর সিলেটের দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মাহবুব উল ইসলাম অধিকতর তদন্তের জন্য মামলার সব নথিপত্র পুনরায় সুনামগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
EDITOR & PUBLISHER :
DR. ARIF AHMED MOMTAZ RIFA
MOBILE : 01715110022
PHONE : 0821 716229
OFFICE : SHUVECHCHA-191
MIAH FAZIL CHIST R/A
AMBAKHANA WEST
SYLHET-3100
(Beside Miah Fazil Chist Jame Masjid & opposite to Rainbow Guest House).
E-mail : sylhetsangbad24@gmail.com
Hello : 01710-809595
Design and developed by M-W-D