বিমানবন্দরে ছুরিকাঘাতে আনসার সদস্যের মৃত্যু

প্রকাশিত: ২:১৭ পূর্বাহ্ণ, নভেম্বর ৭, ২০১৬

হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এক যুবকের ছুরিকাঘাতে সোহাগ আলী নামে এক আনসার সদস্য নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় ঘাতকসহ আহত হয়েছেন আরো ৮ জন।

রবিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টার দিকে বিমানবন্দরের তিন নম্বর বহির্গমন লাউঞ্জে এই ঘটনা ঘটে।

হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের স্পর্শকাতর এলাকায় এক যুবকের এলোপাথাড়ি ছুরিকাঘাতে কর্তব্যরত চার পুলিশ ও আনসার সদস্যসহ কমপক্ষে আটজন আহত হয়েছেন। আহতদের উদ্ধার করে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

ঘটনার আকস্মিকতায় পুরো বিমানবন্দর এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। বিমানবন্দরে আসা স্বজনরা দিগ্বিদিক ছোটাছুটি শুরু করেন। পরে অতিরিক্ত পুলিশ ও আমর্ড পুলিশ সদস্যরা ধারালো ছোরাধারী যুবককে আটক করতে সক্ষম হন। আটক যুবককেও হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তার অবস্থাও গুরুতর।

বিমানবন্দর থানা ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, রবিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে বিমানবন্দরের ৬ নম্বর গেট দিয়ে ২২-২৩ বছর বয়সী এক যুবক ভেতরে প্রবেশ করতে যায়। এ সময় কর্তব্যরত এপিবিএন সদস্যর সাথে কথা বলার সময় যুবকের সাথে থাকা ছোরার খোঁচা লাগে। এতে তিনি সামান্য আহত হন। এরপরই তিনি যুবককে ধরতে গেলে অজ্ঞাত যুবকটি ছোরা হাতে নিয়েই বিমানবন্দরের ড্রাইভওয়েতে দৌড়াতে থাকে।

৩ নম্বর গেটের সামনে দিয়ে আবারো ভেতরে প্রবেশের চেষ্টা করলে তখন এপিবিএন সদস্যের চিৎকার শুনে দুই আনসার সদস্য তাকে আটক করতে যান। তখন তাদেরও ছুরিকাঘাত করে যুবকটি। একইভাবে ছোরা হাতে চিৎকার করে দৌড়াতে থাকলে ডিউটিরত অপর দুই এপিবিএন সদস্য তাকে আটকাতে যায়। কিন্তু এবারো যুবকটি এপিবিএনের দুই সদস্যকে এলোপাথাড়ি ছুরিকাঘাত করে পালানোর চেষ্টা করে।

এ সময় পুরো ড্রাইভওয়ে এলাকাসহ পুরো বিমানবন্দরে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরে আমর্ড পুলিশ ও আনসার সদস্যরা মিলে ঘেরাও দিয়ে যুবককে আটক করতে সক্ষম হন। এসময় যুবককে মারধর করা হয়। পরে তাকে হাসপাতালে পাঠানো হয়।

বিমানবন্দর থানার ডিউটি অফিসার আলমগীর হোসেন বলেন, এক আনসার সদস্যের সাথে একজন ক্লিনারের কথাকাটাকাটির সূত্র ধরে আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে।

বিমানবন্দরের অপর একটি সূত্র জানায়, ঘটনার পর পরই বিমানবন্দর এপিবিএন কার্যালয়ে সব কর্মকর্তারা জরুরি বৈঠকে বসেন।