২০শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৬ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৩:১৫ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২২, ২০১৬
প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশে দারিদ্র্য বলে কিছু থাকবে না। এ দেশের প্রতি ঘরেই জ্বলবে আলো।
আজ শনিবার দুপুরে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের ২০তম জাতীয় সম্মেলনে দেওয়া বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, সরকার হতদরিদ্রের হার ১২ ভাগের নিচে নামিয়ে এনেছে। বাংলাদেশে দারিদ্র্য বলে কিছু থাকবে না। তিনি বলেন, ২০৪১ সালে ৮ থেকে ১০ ভাগের ওপর প্রবৃদ্ধি নিয়ে যাবে সরকার। মাথাপিছু আয় এমনভাবে বাড়ানো হবে, যাতে বাংলাদেশের মানুষ দরিদ্র না থাকে। ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ হবে। প্রতিটি মানুষ সুশিক্ষায় শিক্ষিত হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের কোনো ঘর অন্ধকারে থাকবে না, প্রতি ঘরে আলো জ্বালব। শত ভাগ মানুষ বিদ্যুৎ পাবে।’
‘আমরা চাই সকলের সাথে বন্ধুত্ব, কারো সাথে বৈরিতা নয়’, বলেন প্রধানমন্ত্রী।
বক্তব্যের শুরুতে সম্মেলনে আগত দেশি-বিদেশি রাজনৈতিক নেতারাসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষকে ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, ৩০ লাখ শহীদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানান। জাতীয় চার নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, মনসুর আলী ও কামরুজ্জামানের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এর আগে সকাল ১০টা ১০ মিনিটে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বেলুন উড়িয়ে সম্মেলনের অনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। পরে তিনি শান্তির প্রতীক পায়রা উড়ান।
এরপর ১০টা ১৩ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী আওয়ামী লীগের সম্মেলন উদ্বোধন ঘোষণা করেন।
এরপর আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাছান মাহমুদের উপস্থাপনায় পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন দেশ থেকে আসা রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা বক্তব্য দেন।
দুপুর একটা ২২ মিনিটের দিকে প্রধানমন্ত্রী বক্তব্য শুরু করেন। দুপুর ২টার দিকে প্রধানমন্ত্রী তাঁর বক্তব্য শেষ করেন।
দীর্ঘ বক্তব্যে শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগকে ধরে রেখেছে তৃণমূল নেতাকর্মীরা । কত মানুষ জীবন দিয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন ঢাকার রোজ গার্ডেনে আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠিত হয়। এ সময় তিনি আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী, সাধারণ সম্পাদক শামসুল হকের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
গণমানুষের সমর্থনে বাংলাদেশে আসা
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘গণমানুষের সমর্থনে আমি বাংলাদেশে ফিরে আসি। আওয়ামী লীগের কাছে আমি কৃতজ্ঞ, তারা আমাকে বাংলাদেশে আসার সুযোগ করে দিয়েছিল।’
‘আমি দেখেছি মানুষের হাহাকার, আমি দেখেছি গৃহহারা মানুষের হাহাকার। স্বচক্ষে নিজে যেমন দেখেছি, আমি আমার পিতার কাছ থেকে শুনেছি শোষিত, বঞ্চিত মানুষের কথা।’
সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী সৃষ্টির জন্য ১৪৫টি সামাজিক নিরাপত্তা কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। বর্তমানে ৫৫ লাখ মানুষ ভাতা পাচ্ছে। অনগ্রসর হিজড়া, বেদে, হরিজনদের ভাতা দেওয়া হচ্ছে। চা শ্রমিকদের অনুদান দেওয়া হচ্ছে। সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষকে নিরাপত্তা দেওয়া হচ্ছে।
১০ টাকায় ব্যাংক অ্যাকাউন্ট
শেখ হাসিনা বলেন, কৃষক যাতে ১০ টাকায় ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলতে পারে, সেই ব্যবস্থা করা হয়েছে। একটি মানুষও যাতে না খেয়ে কষ্ট পায়, সে ব্যবস্থা করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দারিদ্র্যমুক্ত করতে হলে শুধু ভাতা দিলেই চলবে না। ক্ষুদ্রঋণের পরিবর্তে ক্ষুদ্র সঞ্চয় চালু করা হয়েছে। স্বল্প সুদে ঋণ দেওয়া হচ্ছে। পরিবারভিত্তিক কার্যক্রম চালানো হচ্ছে।
ডিজিটাল বাংলাদেশ স্বপ্ন নয়
শেখ হাসিনা বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ স্বপ্ন নয়, মোবাইল ফোন অথবা অনলাইনে তথ্য পেতে ৪৯৯টি কৃষি তথ্য যোগাযোগকেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। পাঁচ হাজার ২৭৫টি ডিজিটাল সেন্টার করা হয়েছে। তিনি বলেন, বেকার যুবকদের জন্য কর্মসংস্থান ব্যাংক করা হয়েছে। তারা বিনা জামানতে দুই লাখ টাকা যেন ঋণ নিতে পারে, সে ব্যবস্থা করা হয়েছে।
লক্ষ্য অর্থনীতিকে গতিশীল করা
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকারের লক্ষ্য অর্থনীতিকে গতিশীল করা। ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলা হচ্ছে। এতে বিপুল মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। কৃষিকে যান্ত্রিকীকরণ করা হচ্ছে।
সন্ত্রাসকে প্রশ্রয় দেওয়া হবে না
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। বাংলাদেশ হবে দক্ষিণ এশিয়ার একটি শান্তিপূর্ণ দেশ।’
‘টেররিজমকে কখনোই আমরা প্রশ্রয় দিব না। বাংলাদেশের মাটি, এ দেশের ভূখণ্ড সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের জন্য ব্যবহার করতে পারবে না।’
EDITOR & PUBLISHER :
DR. ARIF AHMED MOMTAZ RIFA
MOBILE : 01715110022
PHONE : 0821 716229
OFFICE : SHUVECHCHA-191
MIAH FAZIL CHIST R/A
AMBAKHANA WEST
SYLHET-3100
(Beside Miah Fazil Chist Jame Masjid & opposite to Rainbow Guest House).
E-mail : sylhetsangbad24@gmail.com
Hello : 01710-809595
Design and developed by M-W-D