আ,লীগে কে হবেন শেখ হাসিনার উত্তরসূরি?

প্রকাশিত: ১০:১৮ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২১, ২০১৬

আওয়ামী লীগের ২০ তম জাতীয় সম্মেলনকে সারাদেশ থেকে নেতাকর্মীরা ঢাকায় জড়ো হয়েছেন সেখানে আলোচনা মূলত দলের পরবর্তী সাধারণ সম্পাদক কে হবেন তা নিয়ে।

কিন্তু কারো মধ্যেই দলের সভানেত্রী কে হবেন তা নিয়ে কোনো আলোচনা নেই।

গত ৩৫ বছর ধরে আওয়ামী লীগের সভানেত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন শেখ হাসিনা। এর আগে রাজনীতি থেকে অবসর নেয়া বা দলীয় প্রধানের পদ থেকে সরে যাওয়ার বিষয়টি তিনি নিজেই কয়েকবার বলেছিলেন।

কিন্তু প্রতিবারই দলের নেতা-কর্মী-সমর্থকরা সমস্বরে আজীবন তাকেই দলের নেত্রী হিসেবে চান এমন কথাই জানিয়েছেন নেতাকর্মীরা।

আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ের সামনে জড়ো হওয়া কাউন্সিলর ও ডেলিগেটরা এর কারণ বর্ণনা করেছেন।

তাদের একজন পংকজ সাহা বলেন, শেখ হাসিনা যেভাবে দল ও দেশ চালাচ্ছেন তাতে করে যতদিন তিনি কর্মক্ষম আছেন ততদিন পরিবর্তনের প্রয়োজন নেই। তবে প্রয়োজন হলে আর শেখ হাসিনা চাইলে সজীব ওয়াজেদ জয়কে তারা পরবর্তী নেতা মেনে নেবেন।

১৯৮১ সালে আওয়ামী লীগের এরকম এক কাউন্সিলে যখন নেতা নির্বাচন নিয়ে প্রচন্ড অন্তর্দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েছিল দলটি, তখন প্রবাসে নির্বাসিত শেখ হাসিনাকেই দলীয় প্রধান নির্বাচন করা হয়।

এরপর ১৯৮১ সালে দেশে ফিরে তিনি দলের হাল ধরলেন। তার নেতৃত্বেই আওয়ামী লীগ দীর্ঘ ২১ বছর পর ১৯৯৬ সালে নির্বাচনে জিতে ক্ষমতায় ফিরে আসে।

আওয়ামী লীগ এবং বিএনপি, বাংলাদেশের এই দুটি প্রধান দলের নেতৃত্বই দুটি পরিবারের উত্তরাধিকারের রাজনীতিকে ঘিরে আবর্তিত হচ্ছে।

বিএনপির নেতা-কর্মীরা মনে করেন, তাদের দলে খালেদা জিয়ার উত্তরসূরী কে হবেন, সেই প্রশ্ন অনেকটাই মীমাংসিত। খালেদা জিয়ার ছেলে তারেক রহমান যদিও এখন লন্ডনে নির্বাসনে, দলে দ্বিতীয় প্রধান গুরুত্বপূর্ণ নেতা হিসেবে তার অবস্থান এখন তর্কাতীত।

কিন্তু আওয়ামী লীগে সজীব ওয়াজেদ জয়কে এখনো সেরকম কোনো আনুষ্ঠানিক নেতৃত্বের ভূমিকায় দেখা যায়নি। স্বভাবতই প্রশ্ন উঠে, শেখ হাসিনার পর তাহলে কে আওয়ামী লীগের হাল ধরবেন?

দলের একজন কর্মী দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘আল্লাহ যতদিন শেখ হাসিনাকে বাঁচিয়ে রাখবেন ততদিন তিনি আওয়ামী লীগ ও দেশকে পরিচালনা করবেন। তারপর বঙ্গবন্ধু পরিবারে সজীব ওয়াজেদ জয়ের মতো মেধাবী ব্যক্তিত্ব রয়েছেন, তাদের থেকেই নেতৃত্ব আসুক।

এসএম খায়রুল ইসলাম নামে আরেকজন বলেন, শেখ হাসিনার পর কে আসবে সময় এলে শেখ হাসিনাই সেটি বিবেচনা করবেন।

নরসিংদীর শিবপুর থেকে সম্মেলনে যোগ দিতে আসা অর্চনা রাণী ঘোষ বলেছেন, নতুন কাউকে প্রয়োজন নেই। তবে যদি শেখ হাসিনা তার পরিবারের কাউকে দিতে চান তাহলে তারা তা মেনে নেবেন।

ঝিনাইদহ থেকে আসা তরিকুল ইসলাম বলেন, দলের সভাপতি হিসেবে শেখ হাসিনার বিকল্প কোনো কিছু চিন্তারই সুযোগ নেই। আর সভাপতি পদের প্রশ্নে বা এ পদে শেখ হাসিনার বিকল্প কিংবা তার পরে কে নেতৃত্ব দিবেন এমন প্রশ্নে কেন্দ্রীয় নেতাদের মতামতও প্রায় একই ধরনের।

দলটির বিদায়ী কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলছেন, দলের জন্য এ মুহূর্তে শেখ হাসিনাই শেষ কথা। দলের সব কর্মী, সমর্থক, নেতা ও কাউন্সিলর চান শেখ হাসিনা আরো অবদান রাখবেন দেশের জন্য আর সেজন্যই বিকল্প ভাবার সুযোগ নেই।

বিবিসি অবলম্বনে

সর্বমোট পাঠক


বাংলাভাষায় পুর্নাঙ্গ ভ্রমণের ওয়েবসাইট