দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে হাসিনা-শি জিনপিং

প্রকাশিত: ৪:১৫ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১৪, ২০১৬

দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে অংশ নিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কার্যালয়ে পৌঁছেছেন বাংলাদেশ সফররত চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। বেলা সোয়া তিনটার দিকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শিমুল কক্ষে একান্ত বৈঠকে অংশ নেন দুই নেতা।

চীনের প্রেসিডেন্ট শুক্রবার বিকালে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে পৌঁছালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে স্বাগত জানান।

দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরের অংশ হিসেবে ঢাকায় ব্যস্ত সময় পার করছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং।

প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে সেখানে বেশ কয়েকটি চুক্তি স্বাক্ষর ও আনুষ্ঠানিকতা পালন করা হবে।

চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের বাংলাদেশ সফরকালে ২৫টির বেশি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর হবে।

শুক্রবার বিকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অবস্থিত করবী হলে চুক্তিগুলো স্বাক্ষর হওয়ার সময় চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপস্থিত থাকবেন।

শি জিনপিং কম্বোডিয়া অবস্থান করার কারণে দেশটির উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা তার সঙ্গে থাকায় সব চুক্তি এখনো পর্যন্ত চীনের চূড়ান্ত অনুমোদন পায়নি। তবে ২৫টি চুক্তি ও এমওইউ এরই মধ্যে চীনের পক্ষ থেকে চূড়ান্ত করে দেয়া হয়েছে। চীনের সঙ্গে এবার যত চুক্তি হচ্ছে তার অধীনে বাংলাদেশকে ৪০ বিলিয়ন ডলারের বেশি ঋণের ঘোষণা দিতে পারেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং।

সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের আওতায় ২৯টি প্রকল্পে ১৯ বিলিয়ন ডলার ঋণ প্রদানের ঘোষণা দেয়া হতে পারে। তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অধীনে বাংলাদেশে একটি তথ্য প্রযুক্তি প্রাণকেন্দ্র নির্মাণ খাতে প্রায় ১০ বিলিয়ন ডলার ঋণের প্রকল্প রয়েছে। তথ্য প্রযুক্তির এই কেন্দ্রে চীনের বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগ করবেন। বিদ্যুৎ খাতে সবচেয়ে বড় প্রকল্প হল ঢাকায় বিদ্যুৎ ব্যবস্থা সম্প্রসারণ ও জোরদার করা।

এই প্রকল্পে চীনের ঋণের পরিমাণ দাঁড়াবে বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৪ হাজার কোটি টাকা। চীনের অর্থনৈতিক কমিটি প্রকল্পটি অনুমোদন করেছে। ফলে এই প্রকল্পে অর্থায়নে চুক্তি হবে। পায়রায় একটি মেগা পাওয়ার প্লান্ট নির্মাণে চুক্তি হতে পারে।

চট্টগ্রামের আনোয়ারায় ৭৭৪ একর ভূমির ওপর চীনা বিনিয়োগকারীদের জন্য বিশেষায়িত অঞ্চল প্রতিষ্ঠায় চুক্তি হতে পারে। ঢাকা-সিলেট মহাসড়ককে চার লেনে উন্নীত করার চুক্তি সই হবে।

বাংলাদেশ টেলিভিশনের চারটি পৃথক স্টেশন নির্মাণে অর্থায়ন ও প্রযুক্তিগত সহায়তা চুক্তি হতে পারে। সন্ত্রাস দমনে গোয়েন্দা তথ্য আদান-প্রদানের লক্ষ্যে পৃথক একটি চুক্তি সই হবে। চীনের সঙ্গে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি হবে প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের নিজের উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত রোড অ্যান্ড বেল্টে বাংলাদেশের যোগদানের বিষয়টি।

এই চুক্তির মাধ্যমে সমুদ্রপথে চীন, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, মিয়ানমার, বাংলাদেশ, শ্রীলংকা ও ভারতের মধ্যে সংযোগ স্থাপিত হবে। এটাকে বলা হচ্ছে- একুশ শতকের মেরিটাইম সিল্ক রোড। শি জিনপিংয়ের রোড অ্যান্ড বেল্ট ইনিশিয়েটিভের আওতায় বিশ্বের ৬৫টি দেশ চীনের সঙ্গে সংযুক্ত হবে।