১৫ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১লা মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৩:১৮ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১৪, ২০১৬
মেলবোর্ন : সুসান কারল্যান্ড অস্ট্রেলিয়ার একজন খ্যাতনামা মিডিয়া ব্যক্তিত্ব এবং এসবিএস কমেডি প্যানেল এবং সালাম ক্যাফে’র স্কেচ প্রদর্শনীতে তার ভূমিকার জন্য অধিক পরিচিত। তিনি এটির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য এবং উপস্থাপক।
সুসান মোনাশ বিশ্ববিদ্যালয়ের জেন্ডার স্টাডিজ, রাজনীতি, এবং সমাজবিজ্ঞানের শিক্ষক। এছাড়াও, মুসলিম নারী এবং অস্ট্রেলিয়ায় মুসলমানদের নিয়ে নিয়ে বিশেষভাবে কাজ করছেন।
এ বছর অস্ট্রেলিয়ার ‘গোল্ড লজিয়ে’ বিজয়ী ওয়ালিদ আলির স্ত্রী। এ দম্পতি এখন মেলবোর্নে একসঙ্গে সুখে বসবাস করছেন। তাদের দুই সন্তান একজন আয়েশা (১৩) এবং ৯ বছর বয়সী যায়েদ।
তিনি অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নের একটি খ্রিস্টান পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন। এর পর ১৯ বছর বয়সে তিনি ইসলাম গ্রহণ করেন।
সুসান কারল্যান্ড নতুন এক সাক্ষাৎকারে ইসলামে ধর্মান্তরিত হওয়া সম্পর্কে মুখ খুলেছেন। সাম্প্রতি ‘অস্ট্রেলিয়ান ওইমেন’স উইকলি’কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে সুসান স্বীকার করেছেন তিনি তার আধ্যাত্মিকতার অনুসন্ধানে প্রকৃত ধর্ম হিসেবে ইসলামকে খুঁজে পেয়েছেন।
খ্রিস্টান পরিবারে জন্ম নেয়া সুসান কিশোরী বয়স থেকেই আধ্যাত্মিকতার অনুসন্ধান করেন। কিন্তু ব্যাপটিস্ট চার্চ তার আধ্যাত্মিক অনুসন্ধানের তৃষ্ণাকে কখনোই সন্তুষ্ট করতে পারেনি।
১৭ বছর বয়সে তার ধর্মীয় বিশ্বাস নিয়ে সুসানের মনে নানা প্রশ্নের জন্ম দেয়। বিভিন্ন ধর্মের অন্বেষণকালে শুরুর দিকে ইসলামের প্রতি সুসানের আগ্রহ ছিল না।
সুসান বলেন, ‘আমার মনে হতো মানুষ কেন একটি আদিম, সেকেলে, যৌনবৈষম্য ধর্মের অংশ হতে চায়?’
কিন্তু এর দুই বছর পরেই ১৯ বছর বয়সে সুসান ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। ওই দুই বছরে তিনি বিভিন্ন ধর্মের বইয়ের মধ্যে ডুবে থাকেন এবং ইসলাম ধর্মই তার জন্য সঠিক- এটা নিশ্চিত হতে তিনি মোনাস বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি মুসলিম নারীদের গ্রুপে যোগদান করেন।
তিনি বলেন, ‘ইসলামে সামাজিক ন্যায়বিচারের দিকটি আমাকে বেশি আগ্রহী করে তুলে। আমি লক্ষ্য করেছি সমাজের অসহায় মানুষদের জন্য প্রকৃত উদ্বেগ ইসলামে রয়েছে যা অন্য কোনো ধর্মে পাওয়া যায় না।’
ইসলামে ধর্মান্তর তার জন্য একটি চ্যালেঞ্জ ছিল। সুসান জানান, তার মা এ নিয়ে ‘দ্বিধান্বিত’ ছিলেন। কিন্তু বর্তমানে তাদের মধ্যে এখন ভাল সম্পর্ক বিরাজ করছে এবং তার মা বিষয়টি মেনে নিয়েছেন।
৯/১১ কিছু আগে সুসান ইসলাম গ্রহণ করেন। কিন্তু এখন তার গৃহীত ধর্ম ঘনিষ্ঠভাবে বিশ্ব সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে যুক্ত বলে অস্ট্রেলিয়াসহ বিশ্বের অনেক মানুষের ধারণা।
তিনি বলেন, ‘মুসলিমদের সম্পর্কে মিডিয়ায় যা দেখানো হচ্ছে তার নিরানব্বই শতাংশই নেতিবাচক। যে কারণে মানুষের মনে এমন একটি ভ্রান্ত ধারণা জন্মেছে। কিন্তু ভোক্তা হিসেবে আমাদের নিজেদেরকে জাগ্রত করা প্রয়োজন।’
সুসান বলেন, ‘স্পষ্টভাবে কিছু মানুষের মধ্যে এ বিশ্বাস জন্মছে যে, সব মুসলমানই সন্ত্রাসী এবং তারা মানুষ হত্যা করে।’
দুই সন্তানের এই জননী এবং তার স্বামী এই ধরনের গঁৎ বাঁধা কথা বা ধারণাকে দূর করার চেষ্টা করছেন কিন্তু তারা এটি করতে গিয়ে কিছু মানুষের নীতিবাচক প্রতিক্রিয়া মুখোমুখি হচ্ছেন।
সুসান বলেন, অস্ট্রেলিয়ার মুসলমানদের অধিকার নিয়ে কথা বলা এবং হিজাব পরিধান করার কারণে ইতোপূর্বে তাকে সোশ্যাল মিডিয়ায় কিছু লোক ইসলাম ও তাকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেছে।
কিন্তু তিনি প্রতিটি অপবাদকে ইতিবাচকে পরিণত করেন। প্রতিটি ঘৃণাপূর্ণ টুইটের জন্য তিনি ১ ডলার করে দান করেন। এজন্য গত বছরের অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত তিনি ৪,০০০ ডলার ইউনিসেফকে দান করেছেন।
সুসান ইসলাম নিয়ে পিএইচডি করেছেন। তিনি তার পিএইচডি’র মাধ্যমে দেখানোর চেষ্টা করেন কিভাবে নারীরা নারীবাদকে মোকাবেলা করছেন।
সুসান বিশ্বাস করেন ইসলাম ও নারীবাদের মধ্যে আসলে কোন অসঙ্গতি নেই।
গত মাসে ‘গোল্ড লজিয়ে’ পুরস্কার গ্রহণের পর সুসানের স্বামী ওয়ালিদ আলি স্ত্রী সুসানের প্রশংসায় পঞ্চমুখ ছিলেন।
স্ত্রী সুসান সম্পর্কে ওয়ালিদ আলি বলেন, ‘তিনি অধিক তীক্ষ্ণ, মজাদার এবং অসীম কমনীয় এবং অধিক গুণী একজন নারী। তার জন্য আমি সত্যিই আনন্দিত ও গর্বিত।’
তিনি সুসানকে একজন ‘মডারেট মুসলিম’ হিসেবে বর্ণনা করেন।
মেইল অন লাইন অবলম্বনে মো. রাহুল আমীন
EDITOR & PUBLISHER :
DR. ARIF AHMED MOMTAZ RIFA
MOBILE : 01715110022
PHONE : 0821 716229
OFFICE : SHUVECHCHA-191
MIAH FAZIL CHIST R/A
AMBAKHANA WEST
SYLHET-3100
(Beside Miah Fazil Chist Jame Masjid & opposite to Rainbow Guest House).
E-mail : sylhetsangbad24@gmail.com
Hello : 01710-809595
Design and developed by M-W-D