খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে বিএনপির সমাবেশ কাল

প্রকাশিত: ৪:৫০ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২৩, ২০১৯

খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে বিএনপির সমাবেশ কাল

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী জানিয়েছেন, খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে রবিবার (২৪ নভেম্বর) প্রেসক্লাবের সামনে অথবা দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ হবে।

শনিবার (২৩ নভেম্বর) দুপুরে নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।

রিজভী বলেন, ‘আমরা ইতোমধ্যে পুলিশের কাছে আবেদন করেছি, ওই দুইটি স্থানের মধ্যে যে কোনো একটিতে সমাবেশ হবে।’

এক প্রশ্নের জবাবে রিজভী বলেন, আজকে একটি দলের বিশেষ কর্মসূচি থাকায় প্রশাসন আমাদের অনুরোধ করেছে। সেজন্য আমরা শনিবারের পরিবর্তে পূর্বঘোষিত কর্মসূচিটি রবিবার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার শারীরিক অসুস্থতা দিনের পর দিন ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। অথচ তার জামিন কিংবা সুচিকিৎসার ব্যাপারে প্রতিহিংসাপরায়ণ সরকারের নিষ্ঠুরতা থামছেই না। সরকারের আচরণে জনগণের মনে এখন একটি প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে যে, দেশের একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার নীল নকশা বাস্তবায়নের পথে সরকারপ্রধান দ্রুততার সঙ্গে এগিয়ে যাচ্ছেন কি না।

প্রধানমন্ত্রীর বর্তমান ভারত সফর নিয়ে রিজভী বলেন, প্রধানমন্ত্রী ভারত সফরে গিয়ে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। দেশের মানুষের প্রত্যাশা ছিল- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তিস্তার পানি নিয়ে একটা সুরাহা করে আসবেন। শেখ হাসিনা ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাক্ষাৎ কেবল শাড়ি আদান-প্রদানের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল। তিস্তা নদীর পানির ন্যায্য পাওনা দূরে থাক, কোনো হিস্যাই পাওয়া যায়নি।

‘সরকার দেশের সবকিছুই নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছে, কিন্তু বিএনপির মুখ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে নাই’, ওবায়দুল কাদেরের এই বক্তব্যের জবাবে তিনি বলেন, ওবায়দুল কাদের নিজের অজান্তেই স্বীকার করে নিলেন যে, আইন-আদালত, প্রশাসনকে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে বন্দি করে রাখা হয়েছে। মানুষের ভোটাধিকারও নিয়ন্ত্রণ করেছেন তারা। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে নিয়ন্ত্রণ করে বিএনপিসহ বিরোধীদলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে হাজার হাজার মিথ্যা ও গায়েবি মামলা দিতে সক্ষম হয়েছেন। গণমাধ্যমকে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে মুক্তমত প্রকাশের স্বাধীনতাকে হরণ করতে সক্ষম হয়েছেন। তার বক্তব্যে একচেটিয়া স্বৈরশাসকদের বক্তব্যেরই প্রতিধ্বনি ফুটে উঠেছে।

সর্বমোট পাঠক


বাংলাভাষায় পুর্নাঙ্গ ভ্রমণের ওয়েবসাইট