সুবিধাভোগী নেতাদের অপরাজনীতি একদিন ধ্বংস হবেই : কামরুল হাসান শাহীন

প্রকাশিত: ১২:২৭ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১১, ২০১৯

সুবিধাভোগী নেতাদের অপরাজনীতি একদিন ধ্বংস হবেই : কামরুল হাসান শাহীন

১১ অক্টোবর ২০১৯, শুক্রবার : তৃণমূল বিএনপির রাজনীতিতে যাঁরা নিবেদিতপ্রাণ বলে পরিচিত ছিলেন, দলের দুর্দিনে যাঁরা ত্যাগীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হন, আজ তাঁরাই নিপতিত হয়েছেন চরম দুর্দিনে। কিছু সুবিধাভোগী আর স্বার্থবাজ নেতারা তাঁদের দূরে ঠেলে রেখেছেন। দলীয় কর্মকাণ্ডেও অংশ নেওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন না তাঁরা। সংশ্লিষ্ট এলাকার শীর্ষ নেতারাও মুখ ফিরিয়ে রাখেন, কাছে ভিড়তে দেন না। স্বার্থবাজ নেতাদের ঘিরে রাখেন নব্য সুযোগসন্ধানী নেতারা। সিলেট জেলা, মহানগর, উপজেলা ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকায় বিএনপি রাজনীতির ওপর অনুসন্ধান চালিয়ে এমন চিত্রই পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন এক সময়ের তুখোড় ছাত্র নেতা, সিলেট জেলা ছাত্রদলের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি, সদ্য বিলুপ্ত সিলেট জেলা বিএনপির ১১নং সদস্য কামরুল হাসান শাহীন।

তিনি বলেন , নিবেদিতপ্রাণ নেতাকর্মীরা দলে কোণঠাসা আর ভুঁইফোড় সুবিধাভোগীরা বিপুল দাপটে, পদ বানিজ্য করে অর্থ-বিত্ত-ক্ষমতায় তাঁরা পরিপুষ্ট। আর ত্যাগীরা বঞ্চিত-নিপীড়িত, তাঁদের মুখে শুধুই হতাশার সুর। বিভিন্ন কমিটিতে পদ নিয়ে কিছু নেতা দুর্নীতি-অনিয়মে আকণ্ঠ নিমজ্জিত, তাই দেখে নিবেদিতপ্রাণ নেতারা প্রতিবাদ করতে গিয়ে হচ্ছেন নির্যাতিত। তাঁদের অনেকে ক্ষোভে-দুঃখে দলীয় কর্মকাণ্ড থেকে হাত গুটিয়ে নিয়েছেন, কেউ কেউ আবার অন্য দলেও যোগ দিয়েছেন। এই অবস্থা বিএনপির সহযোগী সংগঠনগুলোতেও। রাজনীতি এখন ব্যবসা। রাজপথ নয়, স্বার্থবাজ নেতার পকেটে থাকলে পদ পাওয়া যায়। এ জন্য দায়ী কেন্দ্র থেকে উপজেলা পর্যায়ের নেতৃত্ব। জনগণের কাছে দলের ইতিহাস আদর্শ বিষয়ে বক্তব্য তুলে ধরার ভাবনা বর্তমান নেতাদের নেই। রাজনীতির দুর্বৃত্তায়নের কারণে সচেতন লোকজন দল থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন। তবে, আখের গোছানোয় ব্যস্ত নেতাদের অপরাজনীতি একদিন ধ্বংস হবেই।

কারাবন্দি খালেদা জিয়া প্রসঙ্গে কথা বললে কামরুল হাসান শাহীন দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বলেন, একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রী, একটি বড় দলের চেয়ারপারসন এবং ৭৪ বছর বয়সী প্রবীণ একজন নারীর প্রতি এই অমানবিক আচরণ এবং এক ধরনের নিপীড়নের দ্বিতীয় কোনো নজির নেই। দেশের স্বার্থের জন্য, জনগণের কল্যাণের জন্য এবং গণতন্ত্রের জন্য জীবনের একটি বড় অংশ তিনি বিসর্জন দিয়েছেন। এর প্রতিদান হিসেবে এটাই কি তার প্রাপ্য?

‘আমাদের আন্দোলনে পরিবর্তন আনা উচিৎ এবং নেত্রীকে মুক্ত করার জন্য দুর্বার আন্দোলন প্রয়োজন, এটাই বাস্তবতা এবং এটা তৃণমূলের দাবি। দলীয় প্রধানের মুক্তি ও দলকে বাঁচাতে অবিলম্বে যোগ্য নেতৃত্ব বাছাইয়ের তাগিদও দিয়েছেন এই নেতা।

প্রিয় নেতা তারেক রহমানের প্রতি বিশেষ অনুরোধ জানিয়ে বলেছেন কর্মি হচ্ছে দলের প্রাণ।পরিচয়বিহীন অনেক ত্যাগি কর্মিরা জেল-জুলুম নির্যাতনের স্বীকার হয়ে ও দলিয় পরিচয় না পাওয়ার কারনে আজ নিষ্কৃয়। আমরা বিগত দিন গুলিতে কর্মিদের সাংগঠনিক মূল্যায়ন করতে ব্যর্থ হয়েছি। তাই অধিকার আদায়েরর আন্দোলন সফল করতে হলে প্রয়োজন ব্যাপক সাংগঠনিক শক্তি যাহা সর্বোচ্ছ জনসমর্থন থাকা সত্বেও আমরা বিগত ১২ বছরে তৈরি করতে পারি নাই।

বিএনপি দেশ পরিচালনার বাহিরে আজ প্রায় ১২ বছর। আপনি চিকিৎসা সেবা নিতে দেশের বাহিরে থেকে ও দেশের জনগণের প্রত্যাশা পূরুনের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। আগামীতে মায়ের মুক্তি, গণতন্ত্র ও সহায়ক সরকার প্রতিষ্টা করার জন্য আন্দোলনের বিকল্প নাই। এবারের আন্দোলনে দেশের জনগনের প্রত্যাশা পূরুনে ব্যর্থ হলে দেশ পরিচালিত হবে শোষনের শাষক দ্বারা।

চূডান্ত আন্দোলন ডাকার আগে বিএনপি অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের মেয়াদ উত্তির্ণ সকল কমিটি দেওয়ার জন্য দায়ত্বশীলদের নির্দেশ দেওয়ার অনুরোধ করছি। অতিতে আমরা দেখেছি গ্রেপ্তার হামলা মামলা স্বীকার হওয়া অনেক কর্মি পরিচয় না পাওয়ার কারনে দলের আর্দশকে সমুন্নত রেখে নিষ্কৃয় হয়ে আছেন।তাই আজ যে কোন আন্দোলন সফল করতে তাদের ও মূল্যায়নের প্রয়োজন।আমাদের মনে রাখতে হবে সু-সংগঠিত সাংগঠনিক শক্তি না থাকলে জনসমর্থন দিয়ে ভাল ফলাফল আশা করা ভুল।

পরিশেষে কামরুল হাসান শাহীন বলেন গণতন্ত্রের মা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি প্রিয়নেতা তারেক রহমানের বিরুদ্ধে সকল ষডযন্ত্র রুখে দিতে আমরা রাজপথে থাকবো ইন্শাল্লাহ্।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

সর্বমোট পাঠক


বাংলাভাষায় পুর্নাঙ্গ ভ্রমণের ওয়েবসাইট