সিলেট কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের শিক্ষার্থী খুন : আদালতে এক ঘাতকের স্বীকারোক্তি

প্রকাশিত: ১০:২৬ অপরাহ্ণ, জুলাই ২৫, ২০১৯

সিলেট কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের শিক্ষার্থী খুন : আদালতে এক ঘাতকের স্বীকারোক্তি

দলবল নিয়ে কাঠের রোল, লাটি, রড ও ধারালো ছুরি দিয়ে খুন করা হয় তুহিনকে। এমনই তথ্য দিয়ে সিলেটের দক্ষিণ সুরমার আলমপুরের কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের শিক্ষার্থী তানভির হোসেন তুহিন (১৮) হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি দিয়েছে পুলিশের হাতে গ্রেফতারকৃত আবু তায়েফ (১৮)। বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) দুপুরে তায়েফকে সিলেট মহানগর আমলী ৫ নং আদালতের বিচারক সাইফুর রহমানের অদালতে এ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে তায়েফ। দুপুর ১২ টায় তাকে আদালতে হাজির করলে সে হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি প্রদান করে বলে জানান মোগলাবাজার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আখতার হোসেন। এরপর তায়েফকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়।
এর আগে বুধবার রাতেই দক্ষিণ সুরমা উপজেলার কদমতলী এলাকার আব্দুল আলিমের ছেলে আবু তায়েফকে আটক করে পুলিশ। ওই রাতেই নিহত তুহিনের চাচা নাজিম উদ্দিন বাদী হয়ে তায়েফসহ ১০ জনকে আসামী করে মামলা করেন। ওই মামলায় তায়েফকে গ্রেপ্তার দেখায় পুলিশ। বুধবার দুপুরে কথাকাটাকাটির জেরে সহপাঠিদের হাতে খুন হন তানভীর হোসেন তায়েফ।
জানা যায়, বুধবার সকালে কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের একটি কোর্সের শিক্ষার্থী তুহিনের জুতা ক্লাসের সামনে থেকে হারিয়ে যায়। এনিয়ে সহপাঠী কামরানের সাথে তর্কতর্কি হয় তার। তর্কাতর্কির জেরে দুপুরে দলবল নিয়ে এসে তুহিনকে মারধর করে কামরান। এসময় কাঠের টুকরো দিয়ে তুহিনের মাথায় আঘাত করে তারা। আহত অবস্থায় তাকে প্রথমে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি ঘটলে দুপুরে তাকে ঢাকায় প্রেরণ করা হয়। বিকেলে ঢাকায় যাওয়ার পথে সে মারা যায়। তুহিন গোলাপগঞ্জ উপজেলার হেতিমগঞ্জের কোনাচর দক্ষিণভাগ পলিকাপন গ্রামের মানিক মিয়ার পুত্র। এ ঘটনায় বুধবার রাতেই নিহতের চাচা নাজিম উদ্দিন বাদী হয়ে কামরান, আবু তায়েফসহ ১০ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
ওসি আখতার হোসেন জানান, মামলার অন্যান্য আসামীদের গ্রেপ্তারে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।

সর্বমোট পাঠক


বাংলাভাষায় পুর্নাঙ্গ ভ্রমণের ওয়েবসাইট