সিলেটের কানাইঘাটে যৌতুকবিহীন ২০ জোড়া বিয়ে

প্রকাশিত: ১১:৪০ অপরাহ্ণ, জুলাই ৬, ২০১৯

সিলেটের কানাইঘাটে যৌতুকবিহীন ২০ জোড়া বিয়ে

উৎসবমুখর পরিবেশে ২০ জোড়া যৌতুকবিহীন বিয়ে অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে। ব্যতিক্রমধমী এই অনুষ্ঠান নিয়ে এলাকায় ছিল দিনভর ভিন্ন আমেজ। ‘ইসলাহুল মুসলিমিন পরিষদ’ বাংলাদেশের উদ্যোগে সিলেটের কানাইঘাটে ৪র্থ বারের মতো হতদরিদ্র ২০ জোড়া যৌতুকবিহীন গণবিয়ে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। শনিবার দুপুর ১২টায় কানাইঘাট বড়চতুল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাওলানা আবুল হোসেন চতুলীর নিজ বাড়ি রাউতগ্রাম মাদানীনগরে জনপ্রতিনিধি, সরকারী কর্মকর্তা, এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ ও আলেম-ওলামাদের উপস্থিতিতে এ যৌতুকবিহীন গণবিবাহ অনুষ্ঠিত হয়। ইসলাহুল মুসিলিমিনের পক্ষ থেকে যৌতুকবিহীন এ গণবিয়ে অনুষ্ঠানে দরিদ্র পরিবারের ২০ জোড়া নবদম্পতি প্রত্যেককে তাদের ভরণ-পোষণের জন্য একটি করে সেলাই মেশিন, ১টি ছাগল এবং সংসার সাজানোর বিবাহ উপহার সামগ্রী এবং আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়ার জন্য বিভিন্ন সহযোগিতা প্রদান করা হয়। নব দম্পতিদের পরিবার ও তাদের স্বজনরা যৌতুকবিহীন বিয়ের আয়োজন ও সংসার সাজানোর জিনিসপত্র পেয়ে আনন্দে অবেগ আপ্লুত হয়ে অনেকে কেঁদে ফেলেন।

গণবিবাহ অনুষ্ঠানে উপস্থিত সবাই এ ধরনের মহতী উদ্যোগ গ্রহণ করায় ইসলাহুল মুসলিমিনের চেয়ারম্যান আল্লামা ফরিদ উদ্দিন মাসুদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং চেয়ারম্যান মাওলানা আবুল হোসাইনকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন এবং যারা দরিদ্রতার কারণে অর্থের অভাবে তাদের ছেলে-মেয়েদের বিয়ে দিতে পারছেন না সমাজহিতৈষী ব্যক্তিবর্গকে এ ধরনের মহতী উদ্যোগে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। বড়চতুল ইউপি চেয়ারম্যান মাওলানা আবুল হোসেনের তত্ত্বাবধানে অনুষ্ঠিত বিয়ে অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে যৌতুকবিহীন বিয়েকে সাধুবাদ জানিয়ে বর ও কনেপক্ষের স্বজনদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করে বক্তব্য রাখেন- কানাইঘাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুুল মুমিন চৌধুরী, কানাইঘাট সার্কেলের সিনিয়র এএসপি আবদুল করিম, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা আব্দুল্লা শাকির, কানাইঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ আবদুল আহাদ, শাবিপ্রবি কলেজ পরিদর্শক এম তাজিম উদ্দিন প্রমুখ।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

সর্বমোট পাঠক


বাংলাভাষায় পুর্নাঙ্গ ভ্রমণের ওয়েবসাইট