পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে ঢুকে হামলা ভারতের

প্রকাশিত: ৩:১৭ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২৯, ২০১৬

Manual5 Ad Code

ভারতের উরি সেনাঘাঁটিতে জঙ্গি হামলার পর চলমান রাজনৈতিক উত্তেজনার মধ্যে সীমান্তে গুলিবিনিময় করেছে ভারত ও পাকিস্তানের সেনাবাহিনী। এ ঘটনায় দুই পাকিস্তানি সেনা নিহত হয়েছেন বলে পাকিস্তানের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে।

Manual2 Ad Code

ভারতীয় সেনাবাহিনী ঘোষণা করেছে যে তারা গতরাতে কাশ্মীরে নিয়ন্ত্রণ রেখার অন্যদিকে পাকিস্তানের ভেতরে অভিযান চালিয়েছে।

এ সময় ‘সন্ত্রাসবাদীদের’ ঘাঁটিতে হামলা চালানো হয়েছে বলেও ভারতীয় সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে।

Manual4 Ad Code

কিছুক্ষণ আগে দিল্লিতে এক সংবাদ সম্মেলনে এই খবর জানিয়েছেন ভারতের ডিরেক্টর জেনারেল অফ মিলিটারি অপারেশনস লেফটেন্যান্ট জেনারেল রনবীর সিং।

তিনি বলেন, গতকাল রাতের ওই হামলায় সন্ত্রাসবাদীদের এবং যারা তাদের মদত দিচ্ছিল, তাদের উল্লেখযোগ্য ক্ষতি হয়েছে, মারা গেছে অনেকে। এই হামলার খবর আমি নিজেই পাকিস্তানের ডিজিএমওকে ফোন করে আজ সকালে জানিয়েছি।’

Manual1 Ad Code

এই অভিযান ইতোমধ্যেই শেষ হয়েছে এবং এ ধরনের হামলা এখনই আবারো চালানোর কোনো পরিকল্পনা নেই বলেও জানিয়েছেন রনবীর সিং।

ভারতীয় এই সেনা কর্মকর্তা বলেন, গতকাল তারা নির্দিষ্ট তথ্য পান যে নিয়ন্ত্রণ রেখার পাকিস্তানি অংশের ভেতরে কয়েকটি জায়গায় ‘সন্ত্রাসবাদীরা’ তৈরি হয়েছে ভারতে ঢুকার জন্য। তাদের পরিকল্পনা ছিল জম্মু-কাশ্মীর আর ভারতের অন্যান্য রাজ্যে হামলা চালানোর।

Manual3 Ad Code

এসব ঘাটিতে ভারতীয় সেনাবিাহিনীর অভিযান চালানোর কথা জানিয়ে ভারতের ডিজিএমও বলেন, ‘আমরা উল্লেখযোগ্য ক্ষতিসাধন করতে পেরেছি। এই ঘটনার পরে যে কোনো পরিস্থিতির জন্য তৈরিও আছি আমরা।’

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আর সেনাবাহিনীর ওই যৌথ সংবাদ সম্মেলনে কোনো সাংবাদিককে প্রশ্ন করতে দেওয়া হয়নি।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে ভারতের এক সেনা কর্মকর্তা বলেন, ‘দক্ষিণ কাশ্মীরের নওগাম সেক্টরে ভারতীয় সেনাঘাঁটির ওপর গুলিবর্ষণ করছে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী। তারা মর্টার গোলাও নিক্ষেপ করেছে। ভারতীয় সেনাবাহিনী পাল্টা গুলি চালিয়েছে।’

অন্যদিকে বিনা উসকানিতে ভারতই প্রথমে গুলিবর্ষণ শুরু করেছে বলে দাবি পাকিস্তানের।

২০০৩ সালে সীমান্তে যুদ্ধবিরতির চুক্তি স্বাক্ষর করেছিল ভারত ও পাকিস্তান। তবে তারপরও বেশ কয়েকবার গুলিবিনিময় করেছে উপমহাদেশের প্রতিবেশী এই দুই দেশ। প্রতিবারই চুক্তি ভঙ্গের জন্য একে অপরকে দোষারোপ করেছে দুই দেশের সেনাবাহিনী।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে সংশ্লিষ্ট এক সূত্র রয়টার্সকে বলেন, ‘অস্ত্রবিরতি চুক্তির লঙ্ঘনের ঘটনা এটাই প্রমাণ করে যে, পাকিস্তান আন্তর্জাতিক নিয়মনীতি অগ্রাহ্য করছে। এটা নিয়ে বৈশ্বিক ফোরামে আলোচনা করা হবে।’

গত সপ্তাহে জম্মু-কাশ্মীরের উত্তরাঞ্চলের সীমান্তবর্তী উরি এলাকায় ভারতীয় সেনা ব্রিগেডের সদর দপ্তরে হামলা হয়। এতে ১৮ সেনা ও চার হামলাকারী নিহত হন। আহত ৩৫ সেনাকে সামরিক বাহিনীর হেলিকপ্টারে করে সরিয়ে নেওয়া হয়। এরপর থেকেই উত্তেজনা বিরাজ করছে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে।

বিবিসি ও রয়টার্স অবলম্বনে

Manual1 Ad Code
Manual3 Ad Code