বাংলাদেশে বিরোধী দলের সমর্থকদের গুলি করছে পুলিশ

প্রকাশিত: ১২:৫৭ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২৯, ২০১৬

নিউইয়র্ক ভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বলছে, বাংলাদেশের নিরাপত্তা বাহিনী ইচ্ছাকৃতভাবে বিরোধী দলের সদস্য ও সমর্থকদের পায়ে গুলি করছে।

আহতরা ব্যাখ্যা করেছে তাদেরকে পুলিশের হেফাজতে থাকা অবস্থায় গুলি করা হয় এবং পরে মিথ্যা দাবি করা হয় যে তারা বন্দুক যুদ্ধে অথবা বিক্ষোভের সময় গুলিবিদ্ধ হয়েছে।

হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। ৪৫ পৃষ্ঠার ঐ প্রতিবেদনে এসব অভিযোগের প্রেক্ষিতে বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষকে দ্রুত, নিরপেক্ষ এবং স্বাধীন তদন্তের আহ্বান জানানো হয়েছে।

সংস্থাটির এশিয়া বিষয়ক পরিচালক ব্রাড এডামস বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিচার বর্হিভূত হত্যাকাণ্ড অথবা সহিংসতার বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছেনে কিন্তু প্রকৃতপক্ষে তিনি ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর এই অবস্থা আরো খারাপ হয়েছে।

এই প্রতিবেদনে ২৫ জনের কাছ থেকে তথ্য প্রমাণ জোগার করা হয়েছ। যাদের বেশির ভাগই বিরোধী দল বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর সদস্য ও সমর্থক। এরা বলেছেন পুলিশ কোন উস্কানি ছাড়াই তাদের পায়ে গুলি করে। এদের মধ্যে বেশ কয়েকজন চিরতরে পঙ্গু হয়ে গেছেন।

হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বলছে, পায়ে গুলি করার এই প্রবণতা লক্ষ্য করা গেছে ২০১৩ সালের শুরুর দিকে। সেসময় যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে মাওলানা দেলোওয়ার হোসেন সাঈদীর ফাঁসির আদেশ হলে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ হয়।

২০১৪ সালের জানুয়ারিতে সাধারণ নির্বাচনের আগে আবারো বিক্ষোভ হয়।

সংস্থাটি বলছে এই সময়ে মধ্যে এবং এখন পর্যন্ত তারা অনেকগুলো ঘটনার তথ্য সংগ্রহ করেছে যেখানে নির্যাতন, জোরপূর্বক নিখোঁজ, বিচার বর্হিভূত হত্যাকাণ্ড ও বিধিবহির্ভূত গ্রেপ্তারের অভিযোগ রয়েছে।

বাংলাদেশ সরকারের উচিত জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক সংস্থা এবং জাতিসংঘের বিশেষ প্রতিনিধিদেরকে আহ্বান জানানো যাতে করে তারা এসব ঘটনার তদন্ত করে, এবং ন্যায় বিচার, জবাবদিহিতা ও নিরাপত্তা বাহিনীর সংস্কারের জন্য উপযুক্ত সুপারিশ করতে পারে- বলছে সংস্থাটি।

সূত্র : বিবিসি

সর্বমোট পাঠক


বাংলাভাষায় পুর্নাঙ্গ ভ্রমণের ওয়েবসাইট