৪ঠা ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৯শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ২:০৬ অপরাহ্ণ, জুন ২৫, ২০১৯
হবিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র পদে উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগ দলীয় ‘নৌকা’ প্রতীকের প্রার্থী মো. মিজানুর রহমান মিজান বিজয়ী হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ১৩ হাজার ২০৮ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী প্রার্থী এডভোকেট নিলাদ্রী শেখর পুরকায়স্থ টিটু ‘নারিকেল গাছ’ প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৫ হাজার ৫৮৭ ভোট। নির্বাচনে মোট ৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এর মাঝে একজন বিএনপি নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে লড়েছেন। পৌরসভার উপ-নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সিলেটের সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা খোরশেদ আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে সোমবার সকাল ৯টায় ২০টি কেন্দ্রে একযোগে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। চলে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। সকাল থেকে বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে ভোটাররা কেন্দ্রগুলোতে জড়ো হন। কয়েকটি কেন্দ্রে দীর্ঘ লাইনও তৈরী হয়। প্রচন্ড রোদ উপেক্ষা করেও ভোটাররা লাইনে দাঁড়ান। এবারই প্রথম হবিগঞ্জে ইভিএম পদ্ধতিতে ভোটগ্রহণ করা হয়।
ভোটারদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, প্রথমবারের মতো ইভিএম(ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন) পদ্ধতিতে ভোটগ্রহণের ফলে অনেকের মাঝে আগ্রহ তৈরী হয়। নতুন এ পদ্ধতি সম্পর্কে জানতেই মূলত ভোটারদের মাঝে এ আগ্রহ ছিল। এদিকে, নির্বাচনকে নির্বিঘœ করতে ৬ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয় বলে জানান হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ উল্ল্যা।
তিনি বলেন, প্রতিটি কেন্দ্রে ১০ জন করে পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়। অনেক কেন্দ্রে আবার তার চেয়ে বেশিও মোতায়েন ছিল। যেহেতু জেলার শুধু একটিমাত্র স্থানে নির্বাচন, তাই নিরাপত্তা ব্যবস্থা একটু বেশি নেয়া সম্ভব হয়েছে। স্ট্রাইকিং ফোর্স ছিল। সাদা পোশাকে পুলিশ টহল দেয়। প্রতিটি কেন্দ্রে অতিরিক্ত সাদা পোশাকেও পুলিশ মোতায়েন ছিল। যেকোন অপ্রীতিকর ঘটনা প্রতিরোধে সর্বাত্মক ব্যবস্থা রাখা হয়।
৪৭ হাজার ৮শ’ ২০ জন ভোটারের এ পৌরসভায় উপ-নির্বাচনে লড়াই করেন ৫ জন প্রার্থী। এরা হলেন আওয়ামী লীগ মনোনিত মিজানুর রহমান মিজান (নৌকা), বিএনপি নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী এম. ইসলাম তরফদার তনু (মোবাইল ফোন), আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. মর্তুজ আলী (চামচ), পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট নিলাদ্রী শেখর পুরকায়স্ত টিটু (নারিকেল গাছ) ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি সৈয়দ কামরুল হাসান (জগ)।
উল্লেখ্য, গত ৩০ ডিসেম্বর জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে গত বছরের ২৮ নভেম্বর পৌরসভার মেয়র পদ থেকে পদত্যাগ করেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সমবায় বিষয়ক সম্পাদক জি কে গউছ। এরপর ওই পদটি শূন্য ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। বর্তমানে ভারপ্রাপ্ত মেয়রের দায়িত্ব পালন করছেন পৌরসভার প্যানেল মেয়র দিলীপ দাস।
EDITOR & PUBLISHER :
DR. ARIF AHMED MOMTAZ RIFA
MOBILE : 01715110022
PHONE : 0821 716229
Office : Central Market (1st floor),
Bandar Bazar (Court Point),
Sylhet – 3100, Bangladesh.
E-mail : sylhetsangbad24@gmail.com
Hello : 01710-809595
Design and developed by M-W-D