‘বিকাশ’র লগো নকল করে ‘বিকাচ’র প্রতারণার ফাঁদ

প্রকাশিত: ২:৩৪ পূর্বাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২৪, ২০১৬

জ্বীনের বাদশা’র পরিচয় দিয়ে প্রতারণার পর এবার ‘বিকাশ’র লগো নকল করে ‘বিকাচ’র নামে নতুন প্রতারণার ফাঁদ সৃষ্টি করেছে প্রতারককারীরা। এসব প্রতারককারীরা সাধারণ মানুষকে তাদের নতুন ফাঁদে আটকে হাতিয়ে নিচ্ছে হাজার হাজার টাকা। সিলেটের প্রবাসী অধ্যুষিত অঞ্চলগুলোতে এসব প্রতারক চক্র বেশি করে নিজেদের প্রতারণার ফাঁদ সৃষ্টিতে ব্যস্ত রয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে- ইংরেজিতে বিকাশ (বিকেএএসএইচ) বানানে ‘এস’র পরিবর্তে ‘সি’ ব্যবহার করে ‘বিকাচ’ নামক প্রতারণার নতুন নকল লগো তৈরি করে প্রতারণার নতুন ফাঁদ সৃষ্টি করেছে প্রতারককারীরা। বিকাশ ও বিকাচ’র লগো একই রকমের হওয়ার কারণে সাধারণ মানুষ সহজেই প্রতারকদের এ ফাঁদে আটকে গিয়ে হারাচ্ছেন নিজেদের কষ্টার্জিত অর্থ।

এ ব্যাপারে ফজল আলী (ছদ্মনাম) বলেন- ২২ সেপ্টেম্বর বিকেল ৫.৩১ মিনিটে আমার মোবাইলে ০১৮৭৮-১৭৯২০৬ নাম্বার থেকে ২৪৫০ টাকা এসেছে মর্মে ‘বিকাশ’র নকল করা লগো ‘বিকাচ’র ম্যাসেচ আসে। এর কিছুক্ষণ পর ০১৭৯০-৩৫৫১২৭ থেকে ফোন আসে যে ভুল করে এটাকাগুলো আমার বিকাশ নাম্বারে চলে এসেছে। যদি আমি টাকাগুলো ০১৮৩১-০০৩৮৯৭ নাম্বারে পাঠিয়ে দেই। সহজে তাদের কথা বিশ্বাস করে আমি ৫.৪২ মিনিটে ওই নাম্বারে (০১৮৩১-০০৩৮৯৭) ২৪৪০ সেন্ডমানি করে দেই। এরপর আমার বিকাশ অ্যাকাউন্টের ব্যালেন্স অনুসন্ধান করে বুঝতে পারি যে আমি প্রতারণ শিকার হয়েছি। এসময় ম্যাসেচ চেক করে দেখি তা বিকাশ থেকে আসেনি, এসেছে বিকাচ থেকে।

বিশ্বনাথ পুরান বাজারের ব্যবসায়ী আবদুর রহিম (ছন্মনাম) বলেন- সম্প্রতি আমাকে বিকাশ’র কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে ফোন করে বলে ‘বিকাশ’ নাম্বারের রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। আর এজন্য গোপন পিন নাম্বার, নাম, জাতীয় পরিচয়পত্র নাম্বার প্রয়োজন। আমিও সহযে তাদের কথাগুলো বিশ্বাস করে তা দিয়ে দেই। কিছু সময় পর দেখতে পাই আমার একাউন্টে থাকা ৭শ’ টাকা উধাও হয়ে গেছে। তখন বুঝতে পারি, যে আমি প্রতারণার ফাঁদে পড়েছি। সাথে সাথে গোপন পিন নাম্বার পরিবর্তন করে ফেলি।

সর্বমোট পাঠক


বাংলাভাষায় পুর্নাঙ্গ ভ্রমণের ওয়েবসাইট