গুলশানে ডিএনসিসি মার্কেটের আগুন নিয়ন্ত্রণে, ২০১৭ সালের সুপারিশ মানা হয়নি

প্রকাশিত: ১:৪২ অপরাহ্ণ, মার্চ ৩০, ২০১৯

গুলশানে ডিএনসিসি মার্কেটের আগুন নিয়ন্ত্রণে, ২০১৭ সালের সুপারিশ মানা হয়নি

রাজধানীর ২০১৭ সালে আগুন লাগার পর দেওয়া সুপারিশ মানা হয়নি বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা।

ঘটনাস্থলে থাকা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের পরিচালক (অপারেশন ও মেইনটেন্যান্স) মেজর এ কে এম শাকিল নেওয়াজ সাংবাদিকদের বলেন, ‘এর আগে ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে একই মার্কেটে অগ্নিকাণ্ডের পর মার্কেট কমিটির কাছে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে যেসব সুপারিশ করা হয়েছিল তা বাস্তবায়ন করা হয়নি।’

ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক বলেন, ‘এই মার্কেটের ব্যাপারে আমাদের অনেক নির্দেশনা আছে। এ মার্কেট কমিটিকে তিন থেকে চারবার সাবধানতা নোটিশ দেওয়া হয়েছে। তারপরও তারা শুধরায়নি।’

‘সমিতির সঙ্গে আমরা যোগাযোগ করেছি। তারপরে এই মার্কেটের ব্যাপারে আমাদের অবজেকশন আছে। এটা নিয়ে রিট চলতেছে’, যোগ করেন ফায়ার সার্ভিসের এই পরিচালক।

শনিবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে ফের ডিএনসিসি মার্কেটের কাঁচাবাজার অংশে ওই আগুনের সূত্রপাত হয়। অগ্নিকাণ্ডের কারণ এখনও জানা যায়নি। এর আগে ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে এই মার্কেটটি অগ্নিকাণ্ডে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল।

ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের সদর দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বলেন, ‘প্রায় তিন ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। বর্তমানে আগুন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে এসেছে। এটি আর ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা নেই। সকাল ৮টা ২৫ মিনিটের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।’

ফায়ার সার্ভিসের ওই কর্মকর্তা আরো বলেন, ভোরে খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে ফায়ার সার্ভিস। ফায়ার সার্ভিসের ২০টি ইউনিট কাজ করছে। সেনা ও নৌ বাহিনীও পরবর্তী সময়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে যোগ দেয়।

এ অগ্নিকাণ্ডে হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।

ডিএনসিসি কাঁচাবাজার অংশে মূলত বিভিন্ন মুদি ও খাদ্য সামগ্রীর দোকান রয়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। সেখানে প্রায় তিনশ দোকান রয়েছে। আগুনের ফলে প্রচুর মালামালের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানান ব্যবসায়ীরা।

ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মার্কেটটি ঘিরে রেখেছে। প্রতিটি দোকানের মালিককেই শুধু ভেতরে ঢুকতে দিচ্ছে। বাইরের কেউ মার্কেটে যেতে পারছেন না। ব্যবসায়ীরা তাদের দোকান থেকে মালামাল সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছেন। অনেক মালামাল পুড়ে একেবারে ছাই হয়ে গেছে। ব্যবসায়ীরা যতটুকু পারছেন তাদের মালামাল রক্ষার চেষ্টা করছেন।

অগ্নিকাণ্ডের খবরে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গেছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম।

এর আগে এই মার্কেটে ২০১৭ সালের ৩ জানুয়ারি অগ্নিকাণ্ডে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটেছিল। পুড়ে গিয়েছিলো শত শত দোকান।

ওই সময়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাকে নাশকতা বলে অভিযোগ করেছিলেন ব্যবসায়ীরা। সেসময় সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে মার্কেটটি তৈরি করে দেওয়া হয়েছিল, যাতে ব্যবসায়ীরা ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে পারেন। কিন্তু মার্কেটটিতে অগ্নিনির্বাপণের কোনো ব্যবস্থা ছিল না বলে অভিযোগ ব্যবসায়ীদের।

সেসময় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের পক্ষ থেকে বেশকিছু সুপারিশও করা হয়েছিল। কিন্তু সেসব সুপারিশ আমলে নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা ও ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা।

সর্বমোট পাঠক


বাংলাভাষায় পুর্নাঙ্গ ভ্রমণের ওয়েবসাইট