সিলেট’সহ তিন জেলায় বজ্রপাতে ৭ জনের মৃত্যু

প্রকাশিত: ২:২৭ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২০, ২০১৬

দেশের তিন জেলা সুনামগঞ্জ, টাঙ্গাইল ও কিশোরগঞ্জে বজ্রপাতে সাতজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো দুইজন। এর আগে সোমবারও তিন জেলায় বজ্রপাতে সাতজনের মৃত্যু হয়।

মঙ্গলবার সকালে এসব হতাহতের ঘটনা ঘটে।

সুনামগঞ্জে ২ জন

সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলায় মারা গেছেন দুই ব্যবসায়ী। দিরাই থানার ওসি আব্দুল জলিল জানান, মঙ্গলবার সকালে করিমপুর ইউনিয়নের মাটিয়াপুর গ্রাম থেকে কয়েকজন লোক নৌকায় করে চাপতির হাওরে যাচ্ছিলেন। এ সময় বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই দুইজনের মৃত্যু হয়।

নিহতরা হলেন- ওই গ্রামের শামীম মিয়া (৪০) ও তহুর মিয়া (৩৫)। তারা দুইজনই বাঁশ কেনাবেচা করতেন।

লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান ওসি জলিল।

টাঙ্গাইলে ৩ জন

টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলায় মারা গেছেন বাবা ও দুই ছেলে। আহত হয়েছেন আরো একজন। মধুপুর বনাঞ্চল এলাকার বেরবাইদ ইউনিয়নের মাগন্তিনগর পচারচনা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

মধুপুর থানার ওসি মো. শফিকুল ইসলাম জানান, ওই গ্রামের নিখিল ও তার পরিবারের সদস্যরা ভোরবেলা বাইরে যাচ্ছিলেন। এ সময় বজ্রপাত হলে ঘটনাস্থলেই বাবা ও দুই ছেলে মারা যান।

নিহতরা হলেন নিখিল হাজং (৪৫), তার ছেলে জর্জ সিমসাং (১০) ও লোটন সিমসাং (৮)।

এ সময় পরিবারের অপর সদস্য নিখিলের স্ত্রী জনতা সিমসাং আহত হন।

মধুপুর ফায়ার সার্ভিসের পরিদর্শক এস কে তুহিন বলেন, জনতা সিমসাংয়ের শরীরের বেশির ভাগ ঝলসে গেছে। তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় মধুপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেছেন চিকিৎসকরা।

কিশোরগঞ্জে ২ জন

কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলায় মারা গেছেন ছেলেসহ মা। আহত হয়েছেন মেয়ে।

করিমগঞ্জ থানার ওসি জাকির রাব্বানী বলেন, মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে গুজাদিয়া ইউনিয়নের করমসী গ্রামের কৃষক মারুফ মিয়ার বাড়িতে বজ্রপাত হয়।

নিহতরা হলেন মারুফ মিয়ার স্ত্রী ললিতা (৪০) ও তাদের ছেলে রিমন (১৫)।

বজ্রপাতে তাদের মেয়ে বিউটি (২০) গুরুতর আহত হওয়ায় তাকে তাড়াইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানান ওসি জাকির। সোমবারও কিশোরগঞ্জ জেলায় বজ্রপাতে তিনজন নিহত ও দুইজন আহত হন।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

সর্বমোট পাঠক


বাংলাভাষায় পুর্নাঙ্গ ভ্রমণের ওয়েবসাইট