নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন বিএনপি নেতা শাহ জামাল নুরুল হুদা

প্রকাশিত: ১০:৫১ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০১৯

নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন বিএনপি নেতা শাহ জামাল নুরুল হুদা

২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, বুধবার : আসন্ন পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন সিলেট জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি শাহ জামাল নুরুল হুদা। তিনি সিলেট সদর উপজেলায় ‘স্বতন্ত্র’ প্রার্থী হিসেবে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন। তবে, মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষদিন বুধবার তিনি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান।

দলের সিদ্ধান্তের প্রতি সম্মান জানিয়েই নির্বাচন থেকে তিনি সরে দাঁড়িয়েছেন বলে দাবি করছেন। বিকেলে সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘বিগত নির্বাচনগুলোতে অংশগ্রহণ ও আমার নির্বাচনী এলাকার জনগণের ইচ্ছা আকাংখার প্রতিফলন ঘটাতে এবারের উপজেলা পরিষদ নির্বচানে আমি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করি। তবে বিপুল জনসমর্থন থাকা সত্ত্বেও দলের আহবানে সাড়া দিয়ে আমি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালাম।’

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘বিগত ২০০৯ ও ২০১৪ সালের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সিলেট সদর উপজেলা থেকে আমি চেয়ারম্যান প্রার্থী ছিলাম। বিশেষ করে ২০১৪ সালের নির্বাচনে আমি দলীয় সমর্থন নিয়ে যখন বিজয়ের একেবারেই কাছাকাছি, তখন আওয়ামী বাকশালিরা নানা কুট কৌশলের মাধ্যমে আমার বিজয় ছিনিয়ে নিয়েছিলো।’

শাহ জামাল নুরুল হুদা বলেন, ‘রাজনৈতিক অঙ্গনেও একেবারেই তৃণমুলের সাথে রয়েছে আমার গভীর সম্পর্ক। আমি সিলেট সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি ছিলাম। বর্তমানে আমি সিলেট জেলা বিএনপির সহসভাপতির দায়িত্বে রয়েছি। একাধিক মিথ্যা মামলায় কারাবরণও করেছি। সর্বশেষ, জাতীয় নির্বাচনের আগে গত বছরের ২৪ নভেম্বর পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়ে দীর্ঘদিন কারাবরণ করেছি।’

উপজেলা নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ না করায় স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দেওয়া এই প্রার্থী বলেন, ‘বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা আমাকে নানাভাবে দলের সিদ্ধান্ত মেনে নেয়ার আহবান জানান। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ভাইস চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান, বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির, সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আবুল কাহের চৌধুরী শামীম, সাধারণ সম্পাদক আলী আহমদ আমাকে দলের সিদ্ধান্ত মেনে নেয়ার আহবান জানান।’

তিনি বলেন, দল যেখানে এই সরকারের অধীনে আর কোন নির্বাচনে অংশ না নেয়ার ঘোষণা দিয়েছে, সেখানে বিএনপির একজন দায়িত্বশীল কর্মী হিসেবে সেই সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে আমি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালাম। তিনি গণআন্দোলনের মাধ্যমে খালেদা জিয়াকে এদেশের জনগণ কারাগার থেকে মুক্ত করে আনবে বলেও উল্লেখ করেন।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আজির উদ্দিন চেয়ারম্যান, উপদেষ্টা আলহাজ শহীদ আহমদ চেয়ারম্যান, হাজী জমির উদ্দিন চেয়ারম্যান ও ইলিয়াস আলী মেম্বার, মোগলগাঁও ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি বশির উদ্দিন মেম্বার, বিএনপি নেতা আব্দুর রহমান, রফিকুল ইসলাম, ওয়ারিছ আলী, আকবর আলী, আব্দুল খালিক, মনির উদ্দিন, এনাম মেম্বার, শফিক মেম্বার, মাছুম মিয়া, আজিজ খান সজিব, রুস্তুম, আঙ্গুর আলম, আবদাল হোসেন নাহিদ, ফরহাদ, ফারুক আহমদ, মনজুল আহমদ, গোলাম কিবরিয়া প্রমুখ।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

সর্বমোট পাঠক


বাংলাভাষায় পুর্নাঙ্গ ভ্রমণের ওয়েবসাইট