বিশ্বনাথে স্ত্রীকে নির্যাতনের অভিযোগে স্বামী গ্রেপ্তার

প্রকাশিত: ১১:৩৬ পূর্বাহ্ণ, জানুয়ারি ৩১, ২০১৯

বিশ্বনাথে স্ত্রীকে নির্যাতনের অভিযোগে স্বামী গ্রেপ্তার

সিলেটের বিশ্বনাথে নির্যাতনের অভিযোগে স্ত্রীর দায়েরকৃত মামলায় জিয়াউল হক শামীম (৪৫) নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ। তিনি উপজেলার অলংকারী ইউনিয়নের অলংকারী গ্রামের মৃত ইউনুছ আলীর পুত্র। দুই সন্তানের জনক জিয়াউল হক শামীমের বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ এনে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে গতকাল মঙ্গলবার বিশ্বনাথ থানায় একটি মামলা দায়ের করে তার স্ত্রী সোনারা বেগম (৪০)। মামলা নং- ২৫। মামলায় জিয়াউল হক শামীম ও তার বড় ভাই সেলিম মিয়া (৪৭) নাম উল্লেখ করে আরো ৪/৫ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। মামলা দায়েরের পর বুধবার (৩০ জানুয়ারি) সকালে নিজ বাড়ি থেকে জিয়াউল হক শামীমকে গ্রেফতার করে থানা পুলিশ।

মামলার এজাহারে বাদী সোনারা বেগম উল্লেখ করেন, ২০০০ সালে জিয়াউল হক শামীমের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে জিয়াউল হক তার বড় ভাই সেলিম মিয়ার প্ররোচনায় বিভিন্ন সময়ে যৌতুকের টাকা দাবি করে স্ত্রী সোনারা বেগমকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে আসছেন। একপর্যায়ে সোনারা বেগম তার পিত্রালয় থেকে যৌতুক বাবদ ১লক্ষ টাকা এনে তার স্বামী জিয়াউল হক শামীমকে দেন। এছাড়া সোনারা বেগমের সুখের কথা চিন্তা করে তার ভাইয়েরা প্রতি মাসে ১০ হাজার টাকা করে দিয়ে আসছেন জিয়াউল হককে।

সম্প্রতি পুনরায় আরো ১ লক্ষ টাকা যৌতুকের টাকা দাবি করে সোনারা বেগমকে বিভিন্ন সময়ে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন শুরু করেন জিয়াউল। এরই ধারাবাহিতায় গত রোববার বিকেলে সোনারা বেগমকে তার পিত্রালয় থেকে যৌতুকের দাবিকৃত ১লক্ষ টাকা এনে দেওয়ার কথা বললে অপারগতা প্রকাশ করেন সোনারা। এসময় জিয়াউল হক উত্তেজিত হয়ে সোনারা বেগমকে লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়িভাবে আঘাত করে আহত করেন। বিষয়টি মোবাইল ফোনের মাধ্যমে সোনারা বেগমের ভাইকে জানায় তার বড় মেয়ে। খবর পেয়ে স্বামীর বাড়ি থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় সোনারা বেগমকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন তার ভাই কয়েছ মিয়া।

সোনারা বেগম ও জিয়াউল হক শামীম দম্পতির ১৫ ও ১৪ বছর বয়সী দুটি কন্যা সন্তান রয়েছে। এঘটনায় গত রোববার থানায় মামলা দায়েরের পর আজ বুধবার সকালে বিশ্বনাথ থানার এসআই দেবাশীষ শর্ম্মা’র নেতৃত্বে একদল পুলিশ নিজ বাড়ি থেকে মামলার প্রধান অভিযুক্ত জিয়াউল হক শামীমকে গ্রেফতার করে।

মামলা দায়ের ও গ্রেফতারের সত্যতা স্বীকার করে বিশ্বনাথ থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) শামসুদ্দোহা পিপিএম বলেন, গ্রেফতারকৃত আসামীকে বুধবার দুপুরে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

সর্বমোট পাঠক


বাংলাভাষায় পুর্নাঙ্গ ভ্রমণের ওয়েবসাইট