সিলেট নগরীর ২৭ ওয়ার্ডে কোরবানীর স্থান নির্ধারণ

প্রকাশিত: ৬:০০ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ৯, ২০১৬

আসন্ন ঈদ-উল-আযহায় সিলেট মহানগরীতে ২৭টি স্থান পশু কোরবানির জন্য নির্দিষ্ট করেছে সিটি কর্পোরেশন (সিসিক)। নগরীর ২৭টি ওয়ার্ডে এই ২৭টি স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে।
সিলেট সিটি করপোরেশন সূত্র জানায়, গত বছরও পশু কোরবানি দেয়ার জন্য নগরীর ২৭টি স্থান নির্ধারণ করা হয়েছিল। তবে সেবার প্রচারণার অভাবে তা সফল হয়নি। এবার যাতে নগরবাসী নির্ধারিত স্থানে কোরবানি দেন, সে লক্ষ্যে সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে প্রচারণা চালানো হচ্ছে।
সূত্র জানায়, নগরীর ২৭টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলরবৃন্দ নির্দিষ্ট স্থানে পশু কোরবানি দিতে ওয়ার্ডবাসীর মধ্যে প্রচারণা চালাচ্ছেন। এছাড়া সিসিক’র পক্ষ থেকে এসএমএস’র মাধ্যমে এ ব্যাপারে নগরবাসীকে উদ্ধুদ্ধ করা হচ্ছে। ঈদের আগে এ ব্যাপারে নগরীতে মাইকিংও করা হবে। এছাড়া নির্ধারিত স্থানে পশু কোরবানি দিতে ইমাম সমিতিকেও ভূমিকা রাখার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
সিলেট সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, যততত্র কোরবানি দেয়া হলে তা নগরীকে অপরিচ্ছন্ন করে তুলবে। কিন্তু নির্ধারিত স্থানে পশু কোরবানি দিলে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সহজ ও দ্রæততর হবে। ফলে কোরবানি দেয়ার ২৪ ঘন্টার মধ্যেই নগরী থেকে সকল বর্জ্য অপসারণ করা সম্ভব হবে।
তবে সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে এও বলা হচ্ছে, কেউ নির্ধারিত স্থানে পশু কোরবানি দিতে না চাইলে সিসিক’র পক্ষ থেকে চাপাচাপি করা হবে না।
সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এনামুল হাবীব বলেন, নিজ নিজ বাসা-বাড়িতে কোরবানি দেয়া সিলেটের মানুষের ঐতিহ্য। নিজেদের বাসা-বাড়িতে কোরবানি দিতেই সিলেটের মানুষ স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। এজন্য কেউ নির্ধারিত স্থানে পশু কোরবানি দিতে না চাইলে সিটি করপোরেশন চাপ দেবে না। তবে নিজেদের বাসা-বাড়িতে কোরবানি দেয়ার ক্ষেত্রে সচেতন থাকতে হবে। ১৮ বছরের নীচে কেউ যাতে কোরবানি না দেয়, সে বিষয়টি খেয়াল রাখতে হবে।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

সর্বমোট পাঠক


বাংলাভাষায় পুর্নাঙ্গ ভ্রমণের ওয়েবসাইট