খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতি বিএনপির জন্য শাপে বর হতে পারে!

প্রকাশিত: ১:১০ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১২, ২০১৮

খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতি বিএনপির জন্য শাপে বর হতে পারে!

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন যদি সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয় তাহলে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন হবে বলে মন্তব্য করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক মির্জা তাসলিমা সুলতানা।

তবে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে কি-না তা নিয়ে জনমনে সন্দেহ রয়েছে বলে মনে করেন সুলতানা। বিএনপিসহ অনেকগুলো বিরোধী দল নির্বাচনে অংশ নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়ায় রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা কিছুটা কেটেছে বলে মনে করেন সুলতানা। খবর বিবিসি’র।

‘সবাই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলে নির্বাচন অর্থবহ হয়’, বলেন তাসলিমা সুলতানা। ‘অন্যান্য দল যেহেতু মাঠে আছে, সেক্ষেত্রে নির্বাচন হলে একটা চাপ সরকারি দলের ওপর থাকবে।

খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতি : শাপে বর হতে পারে?
সরকার তাদের কঠোর অবস্থান ধরে রাখলে নির্বাচনের সময় বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার জোটের হয়ে প্রচারণা চালাতে পারার সম্ভাবনাও ক্ষীণ।

কিন্তু খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতি জোটের জন্য ইতিবাচক ফল নিয়ে আসতে পারে বলে মনে করেন সুলতানা। সুলতানা বলেন, ‘গত কিছুদিন ধরে সেরকম শক্তিশালী কোনো বিরোধী দল না থাকায় দেশের সাধারণ মানুষকে ভুগতে হয়েছে।’

‘জনগণ দেখেছে অন্য কোনো মতকে কোথাও থাকতে দেয়া হচ্ছে না।’ এই কারণেই বিএনপি’র প্রতি মানুষের এক ধরণের সহানুভূতি তৈরি হয়েছে বলে মনে করেন সুলতানা।

সুলতানার ধারণা, খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতি সাধারণ মানুষের মধ্যে বিএনপি’র জন্য সহানুভূতি তৈরি করতে পারে, যা নির্বাচনে তাদের জন্য ভালো ফলাফল পেতেও সহায়তা করতে পারে।

‘গণতন্ত্র পুনপ্রতিষ্ঠার জন্য ছাড় দিতে প্রস্তুত বিএনপি’

বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, ‘বর্তমান অবস্থায় নির্বাচনে যাওয়ার কোনো পরিবেশ নেই।’ ‘সরকার কোনো দাবিই মানে নাই, আমাদের নেতাকর্মীদেরও ক্রমাগত গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।’

জনগণকে একটি বিকল্প উপায় দেয়ার লক্ষ্যে বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, বলেন খান। তবে খান মনে করেন, মনোনয়ন দেয়ার প্রক্রিয়া বিএনপি’র জন্য যথেষ্ট চ্যালেঞ্জিং হবে।

‘বিশ দলীয় জোট এবং ঐক্যফ্রন্ট, দুই জোটেই বিএনপি প্রধান রাজনৈতিক দল। কাজেই এই দুই জোটের অনেক প্রার্থী বিএনপি’র প্রতীকে নির্বাচন করতে চাইবেন, সেটাই স্বাভাবিক।’

‘ঐক্যফ্রন্টে বিএনপিকে ছাড় দিতে হবে বেশি’
বিএনপি’র সাথে জামায়াতে ইসলামীর সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি নিয়ে শুরুতে ঐক্যফ্রন্টের অনেক শরিক দলই আপত্তি তুলেছিল।

সেবিষয়ে প্রশ্ন করা হলে খান বলেন, ‘এটি এখনো সমস্যা হিসেবে প্রতীয়মান হয়নি, সমস্যা হিসেবে আসলে তখন দেখা যাবে।’ খান মনে করেন, ২০ দলীয় জোট এবং ঐক্যফ্রন্টে সবচেয়ে বেশি ছাড় দিতে হবে বিএনপিকেই।

‘কিন্তু দেশে গণতন্ত্র পুনপ্রতিষ্ঠার জন্য এই ছাড় দিতে প্রস্তুত আমরা।’ খান জানান নির্বাচনের তারিখ ২৩শে ডিসেম্বর থেকে একমাস পেছানোর জন্য নির্বাচন কমিশনের কাছে দাবি জানিয়েছেন তারা। মঙ্গলবার কমিশনারের সাথে বৈঠক করবেন তারা।

সর্বমোট পাঠক


বাংলাভাষায় পুর্নাঙ্গ ভ্রমণের ওয়েবসাইট