মেয়র আরিফুল হকের জামিন আপিলে বহাল

প্রকাশিত: ৬:০৩ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ৮, ২০১৬

সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া হত্যা মামলায় সিলেট সিটি করপোরেশনের বরখাস্তকৃত মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীকে দেয়া হাইকোর্টের দেয়া জামিন বহাল রেখেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।

বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ এই আদেশ দেয়।

গত মঙ্গলবার হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ মেয়র আরিফুলকে জামিন দিয়েছিল। এই জামিন আদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষে। আবেদনের পক্ষে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা ও আরিফুলের পক্ষে ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন শুনানি করেন।

শুনানি শেষে আপিল বিভাগ রাষ্ট্রপক্ষে স্থগিতাদেশ আবেদন খারিজ করে দেয়।

আরিফুলের জামিন প্রশ্নে জারি করা রুলের নিষ্পত্তি করে মঙ্গলবার এ জামিন মঞ্জুর করেন বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়ার হাইকোর্ট বেঞ্চ।

এর আগে ৯ আগস্ট আরিফুলকে কেন জামিন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন একই হাইকোর্ট বেঞ্চ। দশদিনের মধ্যে সরকারের সংশ্লিষ্টদেরকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়।

গত ২২ মার্চ মায়ের অসুস্থতার কারণে হাইকোর্টের অন্য একটি বেঞ্চ আরিফুল হক চৌধুরীকে ১৫ দিনের জন্য জামিন দিয়েছিলেন। জামিনে মুক্তির পর ১০ এপ্রিল আবার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে আত্মসমর্পণ করলে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। এরপর থেকে তিনি কারাগারেই আছেন।

২০০৫ সালের ২৭ জানুয়ারি হবিগঞ্জ সদরের বৈদ্যেরবাজারে জনসভা শেষে বের হওয়ার পথে গ্রেনেড হামলার শিকার হন সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়া। ওই হামলায় গুরুতর আহত অবস্থায় ঢাকা নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।

মামলাটির প্রথম দফার অভিযোগপত্রে আরিফুলের নাম ছিল না। তবে সংশোধিত সম্পূরক অভিযোগপত্রে তার নাম আসে। সম্পূরক অভিযোগপত্র দাখিলের পর ২০১৪ সালের ২১ ডিসেম্বর মেয়র আরিফুলসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।

পরে ওই বছরের ৩০ ডিসেম্বর আরিফুল বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন জানান। আদালত তা নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠিয়ে দেন।

বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা আরিফুল হক সিলেট মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটিরও সদস্য। ২০১৩ সালে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সাবেক মেয়র বদরুদ্দিন আহমেদ কামরানকে হারিয়ে তিনি সিলেটের মেয়র নির্বাচিত হন। কারাগারে আটক থাকা অবস্থায় গত বছরের জানুয়ারিতে তাকে মেয়র পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

সর্বমোট পাঠক


বাংলাভাষায় পুর্নাঙ্গ ভ্রমণের ওয়েবসাইট