৩০শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৭ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৪:৫৫ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২৩, ২০১৮
সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম কায়সারুল ইসলাম এ আদেশ দেন।
এর আগে আজ দুপুর ১২টা ৫৫ মিনিটে ব্যারিস্টার মইনুলকে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালতে হাজির করা হয়। দুপুর সোয়া ১টার দিকে অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম কায়সারুল ইসলামের আদালতে তাঁর জামিন আবেদনের ওপর শুনানি হয়।
ব্যারিস্টার মইনুলের পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, ঢাকা বারের সভাপতি গোলাম মোস্তফা খান, সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট মাসুদ আহমেদ তালুকদার, সানাউল্লাহ মিয়া, জয়নাল আবেদীন মেজবাহ, আবুল কালাম আজাদসহ একাধিক আইনজীবী। রাষ্ট্রপক্ষে অংশ নেন পাবলিক প্রসিকিউটর আবদুল্লাহ আবু, অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল, ঢাকা বারের সাবেক সভাপতি কাজী নজীবুল্লাহ হিরুসহ একাধিক আইনজীবী।
শুনানির সময় উভয়পক্ষের আইনজীবীদের মধ্যে হট্টগোলের সৃষ্টি হলে কয়েক দফা শুনানি কার্যক্রম বন্ধ থাকে। পরে আদালতের বিচারক জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। সিএমএম আদালতের হাজতখানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোতালেব হোসেন এ তথ্য জানিয়েছেন।
এদিকে ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনকে আদালতে হাজির করা নিয়ে আজ আদালত প্রাঙ্গণে কড়া নিরাপত্তা ছিল। অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
সোমবার রাত ১০টার দিকে রাজধানীর উত্তরা থেকে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ও ইংরেজি দৈনিক নিউ নেশনের সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ।
গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মাহাবুব আলম জানান, সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টিকে নিয়ে মানহানিকর উক্তির অভিযোগে রংপুরে দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছিল। এ মামলায় পুলিশ ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনকে জেএসডির সভাপতি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা আ স ম আবদুর রবের উত্তরার বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে।
রাত ১০টার দিকে ব্যারিস্টার মইনুলকে গ্রেপ্তারের পর ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। এর পর সেখানে হাজির হন ব্যারিস্টার মইনুলের আত্মীয়স্বজন ও আইনজীবী। সেখানে তাঁর আইনজীবী ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, ‘মাসুদা ভাট্টি মানহানির মামলা করেন। আরো দুজন মহিলা মামলা করলেন সম্পূর্ণভাবে বেআইনিভাবে। আমি মনে করি, এটা মানহানির মামলা না। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার জন্য দেশের গণতন্ত্রের পক্ষের শক্তি হিসেবে ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’
গত ১৬ অক্টোবর একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের টকশোতে সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টিকে চরিত্রহীন বলায় ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের বিরুদ্ধে ঢাকা, ভোলা, জামালপুর, ময়মনসিংহ, রংপুর ও কুড়িগ্রামে একটি করে এবং কুমিল্লায় দুটি মামলা করা হয়। এসব মামলার মধ্যে ঢাকা, জামালপুর ও কুড়িগ্রামের মামলায় হাইকোর্ট থেকে আগাম জামিন নিয়েছিলেন ব্যারিস্টার মইনুল।
EDITOR & PUBLISHER :
DR. ARIF AHMED MOMTAZ RIFA
MOBILE : 01715110022
PHONE : 0821 716229
OFFICE : SHUVECHCHA-191
MIAH FAZIL CHIST R/A
AMBAKHANA WEST
SYLHET-3100
(Beside Miah Fazil Chist Jame Masjid & opposite to Rainbow Guest House).
E-mail : sylhetsangbad24@gmail.com
Hello : 01710-809595
Design and developed by M-W-D