১৭ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৪ঠা ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১:৫২ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ৪, ২০১৮
বাংলাদেশে এক আন্দোলনের মুখে সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিলের পর এখন এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাখান করে রাতে রাজধানীর শাহবাগ মোড় অবস্থান নিয়েছে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের সংগঠন মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড ও মুক্তিযোদ্ধার পরিবার নামের দুইটি সংগঠন।
সংগঠনটির কেন্দ্রীয় এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার নেতা কর্মীরা মুক্তিযোদ্ধা কোটা বহাল রাখার দাবিতে বুধবার রাত সাড়ে আটটার দিকে শাহবাগ মোড় অবরোধ করেন। এর আগে তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন। খবর বিবিসির।
বৃহস্পতিবারও শাহবাগের মোড়ে তাদের বিক্ষোভ চালিয়ে যেতে দেখা গেছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে লোকসমাগমও বেড়েছে।
তারা শাহবাগের অবস্থান থেকে স্বাধীনতা বিরোধী শক্তির বিরুদ্ধে বিভিন্ন শ্লোগান এবং বক্তৃতা অব্যাহত রেখেছেন।
ঢাকার কেন্দ্রিয় এই মোড়টি আটকে থাকায় যানবাহনগুলোকে ঘুরপথে যেতে হচ্ছে।
বুধবার রাত দু’টার দিকে মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের সভাপতি আতিকুর বাবু বিবিসি বাংলাকে বলেছেন, শাহবাগ মোড়ে রাস্তায় তাদের এই অবরোধ সারারাত থাকবে এবং বৃহস্পতিবার দিনেও অব্যাহত থাকবে।
তিনি আরও জানিয়েছেন, শনিবার তারা ঢাকায় ‘মহাসমাবেশ’ ডেকেছেন। তাদের সংগঠন এবং মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যরা সারাদেশ থেকে ঢাকায় এসে ঢাকার ঐ সমাবেশে যোগ দেবেন।
আতিকুর বাবু বলেছেন, ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা পুনর্বহাল না হওয়া পর্যন্ত তাদের আন্দোলন চলবে।
তাদের সমাবেশ থেকে সংগঠনটির নেতাদের বক্তব্যেও কোটা বাতিলের সিদ্ধান্তে কঠোর সমালোচনা করা হয়। তারা বলেছেন, ‘মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের বিষয়টি স্বাধীনতাবিরোধীদের কাছে হেরে যাওয়ার শামিল।’
রাতে মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের নেতা কর্মীরা শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নেয়ার পর সরকার সমর্থক ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী সেখানে গিয়ে তাদের দাবির প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন।
এতদিন সরকারি চাকরিতে নিয়োগে ৫৬ শতাংশ পদ বিভিন্ন কোটার জন্য সংরক্ষিত ছিল।
এই কোটা ব্যবস্থায় মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানের জন্য ছিল ৩০শতাংশ, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর জন্য ৫ শতাংশ, ১০ শতাংশ ছিল নারীদের জন্য, প্রতিবন্ধীর ১ শতাংশ এবং ১০ শতাংশ ছিল জেলা কোটা।
কোটা পদ্ধতি সংস্কার করে ১০ শতাংশে নামিয়ে আনার দাবিতে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ এর ব্যানারে আন্দোলন জোড়ালো হয়েছিল গত ফেব্রুয়ারি মাসে। এপ্রিলে সেই আন্দোলন তীব্র হয়ে দেশের বেশিরভাগ উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছড়িয়ে পড়েছিল।
শুরুতে সরকার কোটা পদ্ধতির পক্ষে শক্ত অবস্থান নিলেও সেই আন্দোলনের মুখে এক পর্যায়ে মন্ত্রী পরিষদ সচিবের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছিল।
আর এই কমিটির পর্যালোচনা প্রতিবেদনের ভিত্তিতে মন্ত্রীসভা সরকারি চাকরির প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেনীর পদের জন্য কোটা বাতিলের প্রস্তাব অনুমোদন করেছে।নিম্নপদের জন্য কোটা পদ্ধতি বহাল রাখা হয়েছে।
কোটা বাতিলের সিদ্ধান্তের পর বুধবার বিকালে গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একটি সংবাদ সম্মেলনে মন্তব্য করেছিলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধার নাতিই যখন কোটা চায় না, তখন কোটা রেখে লাভ আছে? সেজন্য আমি বলছি, কোটা থাকলে শুধু আন্দোলন। তাই কোটার দরকার নেই। কোটা না থাকলে আন্দোলন নেই, সংস্কারও নেই।’
তিনি বলেন, ‘যদি কারও কোটা চাই, তাহলে এখন কোটা চাই বলে আন্দোলন করতে হবে। সেই আন্দোলন যদি ভালোভাবে করতে পারে, তখন ভেবেচিন্তে দেখা হবে কী করা যায়। এরপর যদি কেউ কোনো কোটা চায়, তাহলে তাকে আন্দোলন করতে হবে। আন্দোলন ছাড়া কোটা দেব না।’
মন্ত্রীসভার এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাখান করে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড বলেছে, প্রথম এবং দ্বিতীয় শ্রেণীর পদে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের এই সিদ্ধান্ত তাদেরকে কষ্ট দিয়েছে। এছাড়া নিম্ন পদে বহাল রেখে মুক্তিযোদ্ধাদের অপমান করা হয়েছে বলেও সংগঠনটির নেতারা মনে করেন।
EDITOR & PUBLISHER :
DR. ARIF AHMED MOMTAZ RIFA
MOBILE : 01715110022
PHONE : 0821 716229
OFFICE : SHUVECHCHA-191
MIAH FAZIL CHIST R/A
AMBAKHANA WEST
SYLHET-3100
(Beside Miah Fazil Chist Jame Masjid & opposite to Rainbow Guest House).
E-mail : sylhetsangbad24@gmail.com
Hello : 01710-809595
Design and developed by M-W-D